বিলুপ্ত হতে চলেছে ঢাকি, কুলা ধানের গলা
https://www.obolokon24.com/2018/07/tg.html
আব্দুল
আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ,
রাণীশৈকইল,হরিপুর ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি বাঁশের ধানের গোলা
কুলা,ডাকি,পাখা,মাছের খলই এক সময় আপামর মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও
কালের পরিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে।
আশির দশকের দিকে ওইসব ধানের গোলা, কুলা, ঢাকি
সাধারণ
মানুষের ঘরে ঘরে নতুন ধানের সময় ব্যবহার হতো। মানুষের জীবন-মানের
পরিবর্তনের ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তাদের পারিবারিক ব্যাবহার্য উপকরণে।
ফলে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের ধানের গোলার ঢাকি, কুলা,মাছের খলই,জায়গা দখল করে
নিয়েছে পাটের বস্তা।এগুলো তৈরি ঝামেলামুক্ত ও সহজে বাজারে পাওয়া যায় বলে
আধুনিক মানুষ বাঁশের গোলার পরির্বতে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে দিনদিন
অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের গোলার,ঢাকি,কুলা,পাখার কদর।
গ্রাম বাংলার বাঁশের গোলার চাহিদা কমে গেলেও ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ,রাণীশংকৈল,
হরিপুরএলাকায় নসিবগঞ্জ, শিবগঞ্জ পীরগঞ্জ,হাটে আজও এই বাশেঁর জিনিস পাওয়া
যায়।সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য পরের বাড়িতে দিনমজুর কাজে নারীদের ব্যস্ত
থাকতে হলেও অবসর সময়ে যেটুকু সময় পায় সে সময়ে বাঁশের গোলা তৈরির কাজে
ব্যস্ত থাকেন। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাশেঁর
গোলা,ঢাকি,কুলা,মাছের খলই, তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আকঁড়ে ধরে রেখেছে। তারা
জানায় আগের মত আর বাঁশের গোলা বিক্রি হয় না। বিভিন্ন প্রকার পাটের বস্তা,
প্লাস্টিক বস্তাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বাশেঁর জিনিসপত্র আর কেনছেন না
ক্রেতারা। তাই আমাদের বাশঁ মালিদের সংসার খুব কষ্টে কাটছে।