সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে রহস্যজনক আগুন- তদন্ত কমিটি গঠন
https://www.obolokon24.com/2018/07/saidpur_26.html
নীলফামারীর সৈয়দপুর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি শোভন চেয়ার কোচ রহস্যজনক আগুনে আগুন পুড়ে গেছে। বুধবার রাত পৌনে ৯ টার সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। রহস্যজনক এ আগুনের ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পক্ষ থেকে পাঁচ সদসস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত এক কোচ ( নম্বর ৭৩০৫) মেরামতের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আনা হয় গত ৩০ জুন। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা মেরামত শেষে গত ১৮ জুলাই কোচটি পাকশী বিভাগীয় পরিবহন শাখায় হস্তান্তরের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এনে রাখা হয়। এটি নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে সংযুক্ত করে পাকশীতে পাঠানো কথা ছিল। বুধবার (২৫ জুলাই) রাত আনুমানিক পৌঁণে নয়টায় সৈয়দপুর স্টেশন এলাকায় রক্ষিত কোচটিতে রহস্যজনক আগুন ধরে। রেলওয়ের কোচটি থেকে আকস্মিক আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখে লোকজন সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মাহ্মুদুল হাসানের নেতৃত্বে দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তারপরও আগুনে কোচের ৩২ টি আসন, বডি, দরজা, জানালা, বৈদ্যূতিক পাখাসহ সকল সরঞ্জামাদি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে পুঁড়ে যাওয়া কোচটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত -ই -খুদা রেলওয়ে কারখানায় মেরামতকৃত একটি শোভন কোচ স্থানীয় স্টেশন এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা বিভাগীয় বৈদ্যূতিক প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানকে প্রধান করে ওই কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যা সদস্যরা হলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য্য ব্যবস্থাপক (ডাব্লুএম) মো. জহিরুল ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাট ডিভিশনের কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমান, পাকশী ডিভিশনের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ্ -আল- মামুন এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ মোহাম্মদ আজাদ।
গতকাল বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রধান সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা বিভাগীয় বৈদ্যূতিক প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত -ই -খুদার বরাবরে আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে আগুনে কোচের তিন লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি এবং বিড়ি, সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।