পীরগাছায় তিস্তার ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে ৪টি গ্রাম
https://www.obolokon24.com/2018/07/river.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)।
রংপুরের পীরগাছায় গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর ভাঙনে ৪টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিনসহ প্রায় আটটি গ্রাম, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং একটি ক্লিনিক হুমকির মুখে পড়েছে। গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে ওই ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলী জমিসহ বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়েছে। ফলে নদী পাড়ের লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত শিবদেব চর, আমিন পাড়া , গাবুড়াসহ ৪টি গ্রাম গত সাত দিনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এসময় বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বসতভিটা হারিয়ে প্রায় ২ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে। বর্তমানে নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ওইসব পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে থেতরাই, জুয়ান, সদরা, পূর্ব ছাওলা ও চৌমুহনিসহ প্রায় আটটি গ্রাম হুমকির মূখে পড়েছে। সেই সাথে গ্রামগুলোতে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, একটি ক্লিনিক, তিনটি হাটবাজার ও পাচঁটি মসজিদসহ প্রায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে নদী ভাঙনের আশংকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে নদী পাড়ের লোকজন রাত জেগে সম্পদ রক্ষার শেষ চেষ্টা টুকু চালিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনে কয়েক শ’ একর জমিতে লাগানো কলাবাগান বিলীন হয়ে গেছে। ফলে নদী পাড়ের লোকজন চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এ ভাঙনের শিকার হতে হচ্ছে প্রতি বছর নদী পাড়ের লোকজনদের। তারা জানান, ছাওলার ১০নং বোল্ডারের পাড় থেকে আরও ৩ কিলোমিটার বোল্ডার দিয়ে বাধঁ নির্মাণ করে নদী শাসন করলে এ গ্রামগুলো রক্ষা হতো। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে ১নং ও ২নং বেড়ি বাধঁ নির্মাণ করলেও নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রামগুলো রক্ষা পাচ্ছেনা। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে বোল্ডারের মাথা হতে পূর্বশিবদেবচর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকা বোল্ডার ফেলে বাধঁ নির্মাণ করে নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রামগুলি রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানায়। তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার নুরু বক্স জানান, প্রতি বছর নদী ভাঙনের ফলে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে আসছে। এ অঞ্চলে গত ৫ বছরে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমিসহ প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও একই গ্রামের আব্দুল বারী, আব্দুর সামাদ, জাবেদ আলী, আঃ বাক্কী, আব্দুর রহমান, দুদু মিয়া, আব্দুর রউফ, নুর আমিন ও আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রতি বছর এ এলাকাটি তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার হয়। তারা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিস্তা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান।
রংপুরের পীরগাছায় গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর ভাঙনে ৪টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিনসহ প্রায় আটটি গ্রাম, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং একটি ক্লিনিক হুমকির মুখে পড়েছে। গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে ওই ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলী জমিসহ বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়েছে। ফলে নদী পাড়ের লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত শিবদেব চর, আমিন পাড়া , গাবুড়াসহ ৪টি গ্রাম গত সাত দিনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এসময় বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বসতভিটা হারিয়ে প্রায় ২ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে। বর্তমানে নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ওইসব পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে থেতরাই, জুয়ান, সদরা, পূর্ব ছাওলা ও চৌমুহনিসহ প্রায় আটটি গ্রাম হুমকির মূখে পড়েছে। সেই সাথে গ্রামগুলোতে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, একটি ক্লিনিক, তিনটি হাটবাজার ও পাচঁটি মসজিদসহ প্রায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে নদী ভাঙনের আশংকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে নদী পাড়ের লোকজন রাত জেগে সম্পদ রক্ষার শেষ চেষ্টা টুকু চালিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনে কয়েক শ’ একর জমিতে লাগানো কলাবাগান বিলীন হয়ে গেছে। ফলে নদী পাড়ের লোকজন চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এ ভাঙনের শিকার হতে হচ্ছে প্রতি বছর নদী পাড়ের লোকজনদের। তারা জানান, ছাওলার ১০নং বোল্ডারের পাড় থেকে আরও ৩ কিলোমিটার বোল্ডার দিয়ে বাধঁ নির্মাণ করে নদী শাসন করলে এ গ্রামগুলো রক্ষা হতো। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে ১নং ও ২নং বেড়ি বাধঁ নির্মাণ করলেও নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রামগুলো রক্ষা পাচ্ছেনা। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে বোল্ডারের মাথা হতে পূর্বশিবদেবচর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকা বোল্ডার ফেলে বাধঁ নির্মাণ করে নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রামগুলি রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানায়। তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার নুরু বক্স জানান, প্রতি বছর নদী ভাঙনের ফলে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে আসছে। এ অঞ্চলে গত ৫ বছরে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমিসহ প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও একই গ্রামের আব্দুল বারী, আব্দুর সামাদ, জাবেদ আলী, আঃ বাক্কী, আব্দুর রহমান, দুদু মিয়া, আব্দুর রউফ, নুর আমিন ও আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রতি বছর এ এলাকাটি তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার হয়। তারা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিস্তা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান।