পীরগঞ্জে এক নৈশ প্রহরীকে চাকুরীচ্যুতির অপচেষ্টা
https://www.obolokon24.com/2018/07/rangpur_42.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জে এক মাদ্রাসার অসুস্থ্য নৈশ প্রহরী সুপারের কথায় বিশ্বাস করে চাকুরী হারাতে বসেছে। উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের পতœীচড়া বালিকা দাখিল মাদ্রসায় ঘটেছে এ ঘটনা । নৈশ প্রহরী আবুল কাশেম (৪৭)’র লিখিত আবেদনে জানাগেছে, ওই মাদ্রাসায় বিগত ১৯৯৯ ইং সনে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী নেয়ার পর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়ে মাদ্রাসার সুপার বরাবর আবেদন করলে সুপার অসুস্থ্য ওই কর্মচারীকে ছুটি না দিয়ে তিনি তার ছেলেকে দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সুপারের কথা মতো নৈশপ্রহরী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে আল-আমিনকে দিয়ে অসুস্থ্যকালীন দায়িত্ব পালন করান। এরপর সুস্থ্য হয়ে ২ মাস ১৫ দিন পর গত ১৫ মার্চ আবুল কাশেম মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে গেলে ,মাদ্রাসা সুপার আনিছার রহমান তাকে বাঁধা দিয়ে বলেন-“ তুমি পদত্যাগ করো , তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।” এদিকে গত ৬ মাস যাবত বেতন-ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই নৈশ প্রহরী। বৃহস্পতিবার আবুল কাশেম স্ত্রী শেফালী বেগমকে সাথে নিয়ে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন,একমাত্র সম্বল আমার নৈশ প্রহরীর চাকরী। সুপারের কথায় বিশ্বাস করে আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে দিয়ে অসুস্থ্য কালীন দায়িত্ব পালন করিয়েছি। এখনও অর্থের অভাবে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে পারিনি। সুপার হুজুর কৌশলে আমাকে ফাঁদে ফেলে চাকুরীচ্যুত করার অপচেষ্টা করছেন। আমি লোক মারফত জানতে পেরেছি আমার পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য কয়েক লক্ষ টাকাও নেওয়া হয়েছে। আমি কি অন্যায় করেছি,যে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে? মাদ্রাসার সুপার আনিছার রহমান বলেন,মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় তাকে পদত্যাগ করতে বলেছি এবং বেতনও বন্ধ করেছি। নৈশ প্রহরী পদে লোক নেয়ার এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মাদ্রাসার সভাপতি- আব্দুর রহমান বলেছেন, আমি অসুস্থ্য তেমন কিছু জানিনা।এ ব্যাপারে সুপারেই সব বলতে পারবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিষয়ে কি যেনো ঝামেলা হয়েছে। আমি পরে বলবো।
রংপুরের পীরগঞ্জে এক মাদ্রাসার অসুস্থ্য নৈশ প্রহরী সুপারের কথায় বিশ্বাস করে চাকুরী হারাতে বসেছে। উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের পতœীচড়া বালিকা দাখিল মাদ্রসায় ঘটেছে এ ঘটনা । নৈশ প্রহরী আবুল কাশেম (৪৭)’র লিখিত আবেদনে জানাগেছে, ওই মাদ্রাসায় বিগত ১৯৯৯ ইং সনে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী নেয়ার পর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়ে মাদ্রাসার সুপার বরাবর আবেদন করলে সুপার অসুস্থ্য ওই কর্মচারীকে ছুটি না দিয়ে তিনি তার ছেলেকে দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সুপারের কথা মতো নৈশপ্রহরী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে আল-আমিনকে দিয়ে অসুস্থ্যকালীন দায়িত্ব পালন করান। এরপর সুস্থ্য হয়ে ২ মাস ১৫ দিন পর গত ১৫ মার্চ আবুল কাশেম মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে গেলে ,মাদ্রাসা সুপার আনিছার রহমান তাকে বাঁধা দিয়ে বলেন-“ তুমি পদত্যাগ করো , তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।” এদিকে গত ৬ মাস যাবত বেতন-ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই নৈশ প্রহরী। বৃহস্পতিবার আবুল কাশেম স্ত্রী শেফালী বেগমকে সাথে নিয়ে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন,একমাত্র সম্বল আমার নৈশ প্রহরীর চাকরী। সুপারের কথায় বিশ্বাস করে আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে দিয়ে অসুস্থ্য কালীন দায়িত্ব পালন করিয়েছি। এখনও অর্থের অভাবে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে পারিনি। সুপার হুজুর কৌশলে আমাকে ফাঁদে ফেলে চাকুরীচ্যুত করার অপচেষ্টা করছেন। আমি লোক মারফত জানতে পেরেছি আমার পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য কয়েক লক্ষ টাকাও নেওয়া হয়েছে। আমি কি অন্যায় করেছি,যে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে? মাদ্রাসার সুপার আনিছার রহমান বলেন,মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় তাকে পদত্যাগ করতে বলেছি এবং বেতনও বন্ধ করেছি। নৈশ প্রহরী পদে লোক নেয়ার এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মাদ্রাসার সভাপতি- আব্দুর রহমান বলেছেন, আমি অসুস্থ্য তেমন কিছু জানিনা।এ ব্যাপারে সুপারেই সব বলতে পারবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিষয়ে কি যেনো ঝামেলা হয়েছে। আমি পরে বলবো।