পীরগঞ্জে ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে এমপিও ভুক্তি করনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর
https://www.obolokon24.com/2018/07/rangpur_10.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের নিভৃত এক পল্লী ছোট মির্জাপুর গ্রাম। বড়দরগাহ বাসষ্টান্ড মহাসড়কের পশ্চিমে সাপের মতো এঁকেবেঁকে যাওয়া আকর্ষনীয় নন-এমপিও ভুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নাম ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট মির্জাপুর ও আশেপাশের এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৯৯ ইং সালে একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নাম দেন ছোট মির্জাপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো: আব্দুল হাকিম সরকার ৭৫ শতক জমি দান করেন বিদ্যালয়টিতে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা অত্যন্ত আন্তরিক, পরিশ্রমি, দক্ষ, তারুন্য চেতনায় উজ্জিবিত মো: রফিকুল ইসলাম পাভেল। ৭ জন সহকারি শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারি ও ১ জন এল,এম,এস,এস নিয়ে ১৮ বছর ধরে সম্পূর্ন বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বেতন না পেয়েও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতি বছর বিদ্যালয়টি ফলাফল অত্যন্ত ভাল। গত ৩ বছরে বিদ্যালয়টির জেএসসির তাক লাগানো ফলাফল ২০১৫ সালে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ সহ ৩জন এ প্লাস, ২০১৬ সালে ৪৭ জনের মধ্যে ২ এ প্লাস সহ শতভাগ পাশ, ২০১৭ সালে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন এ প্লাস সহ শতভাগ পাশ করেছে। উপজেলার নন-এমপিও ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ও এমপিও ভুক্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়েও এই ভাল ফলাফল সকলকে বিস্মিত করেছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকে বিদ্যালয়টির আকর্ষনীয় ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় ২০০১ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পান এবং ২০০৪ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করেন। ২০১৩ সালে নবম শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়, এবং নবম শ্রেণিতে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য ২০১৬ সালে পীরগঞ্জের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি ডিও লেটার প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষা বোর্ডকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করেছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামকরনে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
শ্রেনি পাঠ্যদান শেষেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক মিলে অতিরিক্ত শ্রেণি পাঠদান পরিচালনা করে থাকেন।
ফলে ২০১৩ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর এস,এসসিতে শতভাগ পাশ সহ ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে।
২০১৮ সালের নন-এমপিওভুক্ত নীতিমালায় এম,পিও ভুক্ত করনের জন্য যে সকল শর্ত চেয়ে নীতিমালা প্রকাশ করেছেন তার সবগুলো শর্ত শতভাগ পূরনে সফল হয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৯০ জন,সপ্তম শ্রেণিতে ৮৫ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৫০ জন, নবম শ্রেণিতে ৮১ জন ও ১০ম শ্রেনিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
শুধু লেখাপড়াতেই নয়, বিদ্যালয়ের নিজস্ব সুবিশাল খেলার মাঠে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা সহ কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিসেও তারা এগিয়ে রয়েছে। গত বছর জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপজেলা পর্যায়ে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের সুযোগ লাভ করে।
প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম পাভেল নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ফ্যান লাগিয়েছেন। সকল শিক্ষার্থীর রয়েছে স্কুল ড্রেস। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সকলে পাঠদান কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে। মোট কথা একটি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এত সুন্দর হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না।
পীরগঞ্জ উপজেলায় নন-এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই প্রতিষ্ঠানটিকে এম,পিও ভুক্তি করনের ব্যাপারে পীরগঞ্জের বধুমাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের নিভৃত এক পল্লী ছোট মির্জাপুর গ্রাম। বড়দরগাহ বাসষ্টান্ড মহাসড়কের পশ্চিমে সাপের মতো এঁকেবেঁকে যাওয়া আকর্ষনীয় নন-এমপিও ভুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নাম ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট মির্জাপুর ও আশেপাশের এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৯৯ ইং সালে একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নাম দেন ছোট মির্জাপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো: আব্দুল হাকিম সরকার ৭৫ শতক জমি দান করেন বিদ্যালয়টিতে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা অত্যন্ত আন্তরিক, পরিশ্রমি, দক্ষ, তারুন্য চেতনায় উজ্জিবিত মো: রফিকুল ইসলাম পাভেল। ৭ জন সহকারি শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারি ও ১ জন এল,এম,এস,এস নিয়ে ১৮ বছর ধরে সম্পূর্ন বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বেতন না পেয়েও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতি বছর বিদ্যালয়টি ফলাফল অত্যন্ত ভাল। গত ৩ বছরে বিদ্যালয়টির জেএসসির তাক লাগানো ফলাফল ২০১৫ সালে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ সহ ৩জন এ প্লাস, ২০১৬ সালে ৪৭ জনের মধ্যে ২ এ প্লাস সহ শতভাগ পাশ, ২০১৭ সালে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন এ প্লাস সহ শতভাগ পাশ করেছে। উপজেলার নন-এমপিও ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ও এমপিও ভুক্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়েও এই ভাল ফলাফল সকলকে বিস্মিত করেছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকে বিদ্যালয়টির আকর্ষনীয় ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় ২০০১ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পান এবং ২০০৪ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করেন। ২০১৩ সালে নবম শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়, এবং নবম শ্রেণিতে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য ২০১৬ সালে পীরগঞ্জের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি ডিও লেটার প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষা বোর্ডকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করেছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামকরনে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
শ্রেনি পাঠ্যদান শেষেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক মিলে অতিরিক্ত শ্রেণি পাঠদান পরিচালনা করে থাকেন।
ফলে ২০১৩ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর এস,এসসিতে শতভাগ পাশ সহ ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে।
২০১৮ সালের নন-এমপিওভুক্ত নীতিমালায় এম,পিও ভুক্ত করনের জন্য যে সকল শর্ত চেয়ে নীতিমালা প্রকাশ করেছেন তার সবগুলো শর্ত শতভাগ পূরনে সফল হয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৯০ জন,সপ্তম শ্রেণিতে ৮৫ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৫০ জন, নবম শ্রেণিতে ৮১ জন ও ১০ম শ্রেনিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
শুধু লেখাপড়াতেই নয়, বিদ্যালয়ের নিজস্ব সুবিশাল খেলার মাঠে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা সহ কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিসেও তারা এগিয়ে রয়েছে। গত বছর জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপজেলা পর্যায়ে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের সুযোগ লাভ করে।
প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম পাভেল নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ফ্যান লাগিয়েছেন। সকল শিক্ষার্থীর রয়েছে স্কুল ড্রেস। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সকলে পাঠদান কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে। মোট কথা একটি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এত সুন্দর হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না।
পীরগঞ্জ উপজেলায় নন-এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই প্রতিষ্ঠানটিকে এম,পিও ভুক্তি করনের ব্যাপারে পীরগঞ্জের বধুমাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।