নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়লো
https://www.obolokon24.com/2018/07/parlament-of-Bangladesh.html
প্রধান খবর-জাতীয় সংসদে ২৯৮ : ০ বিভক্তি ভোটে অর্থাৎ সর্বসম্মতিক্রমে রবিবার জাতীয় সংসদে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল- ২০১৮ পাস হয়েছে। দু’দফা বিভক্তি ভোটে সরকার ও বিরোধী দলের অধিবেশনে উপস্থিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্যরা সবাই ’হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে বিলটিতে সমর্থন জানায়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই বিভক্তি ভোট চলার পর ভোট গণণা শেষে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২৯৮ : ০ ভোটের ব্যবধানে সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাসের ঘোষণা করলে সবাই তুমুল টেবিল চাপড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিলটি পাসের ফলে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়লো।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের উত্থাপন করেন আইন. বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। কোন সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করতে হলে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও এই বিলে সমর্থন দিয়েছে। এর কারণে বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
তবে বিলটি পাসের আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব এনে বিরোধী জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র ৯ জন সংসদ সদস্য বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে রোলমডেল। পৃথিবীর মধ্যে একটি দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ যার প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা ও স্পীকার হচ্ছেন নির্বাচিত নারী। নারীর এই ক্ষমতায়নের যুগে সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি করতে আনা এই বিলটি উল্টো পেছনে ঠেলে দেবে।
তাঁরা বলেন, বর্তমান সময়ে নারীরা এখন আর সংরক্ষিত অর্থাৎ করুণ নিয়ে সংসদে থাকতে চান না, বরং নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েই সংসদে আসতে চান। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে ৪০ ভাগ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান থাকলেও কোন দলই তা মানেন না। আর এ বিলটি সংবিধানের ২৮ (৪) ও ৬৬ (১) ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই এই বিলটি পাস করা হলে সংবিধান লংঘন করা হবে। তবে জাতীয় পার্টির বেগম রওশন আরা মান্নান সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে ৫০ নয়, সংরক্ষিত আসন ৭৫-এ উন্নীত করার দাবী জানান।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের উত্থাপন করেন আইন. বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। কোন সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করতে হলে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও এই বিলে সমর্থন দিয়েছে। এর কারণে বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
তবে বিলটি পাসের আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব এনে বিরোধী জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র ৯ জন সংসদ সদস্য বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে রোলমডেল। পৃথিবীর মধ্যে একটি দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ যার প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা ও স্পীকার হচ্ছেন নির্বাচিত নারী। নারীর এই ক্ষমতায়নের যুগে সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি করতে আনা এই বিলটি উল্টো পেছনে ঠেলে দেবে।
তাঁরা বলেন, বর্তমান সময়ে নারীরা এখন আর সংরক্ষিত অর্থাৎ করুণ নিয়ে সংসদে থাকতে চান না, বরং নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েই সংসদে আসতে চান। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে ৪০ ভাগ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান থাকলেও কোন দলই তা মানেন না। আর এ বিলটি সংবিধানের ২৮ (৪) ও ৬৬ (১) ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই এই বিলটি পাস করা হলে সংবিধান লংঘন করা হবে। তবে জাতীয় পার্টির বেগম রওশন আরা মান্নান সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে ৫০ নয়, সংরক্ষিত আসন ৭৫-এ উন্নীত করার দাবী জানান।