নীলফামারীতে সালিশে তরুণীর মাথা ন্যাড়ার ঘটনায় আটক ৩ ব্যক্তিকে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন
https://www.obolokon24.com/2018/07/nilphamari_44.html
বিশেষ প্রতিনিধি ১২ জুলাই॥
নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নে চাঁদেরহাট কলেজপাড়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গ্রাম্য সালিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক তরুণীর মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় আটক তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এঘটনায় আটক তিন ব্যক্তি একই গ্রামের সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে দিনবন্ধু রায় (৪৩), মৃত ছতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে পুস্প রায় (৪৫) ও প্রেম কুমার রায়ের ছেলে সদানন্দ রায়কে (৩০) ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার ব্যানার্জী জানান, ঘটনারসাথে জড়িত ওই তিন ব্যক্তিতে গতকাল বুধবার ভোরে আটক করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আটক তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিচারক ওই তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী সোমবার (১৬ জুলাই) আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওই তিন ব্যক্তি মামলার নামীয় আসামী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনারসাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলায় আজ্ঞাত আরো ১০ জন আসামী রযেছে।
উল্লেখ্য, জেলা শহরের পরচুলা তৈরীর একটি কারখানার শ্রমিক ওই তরুণীর বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে পরিচয়ের সূত্র ধরে অটোবাইক চালক রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ২ জুলাই নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী গ্রামের প্রেমিক রবিউলল ইসলামকে বিয়ে করে বাড়ি ছাড়ে ওই তরুণী। বিষয়টি উভয় পরিবার মেনে না নেওয়ায় গত ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বাবার বাড়িতে ফেরৎ আনা হয় তরুণীকে। এরপর গত ১০ জুলাই ভোর ৪টার দিকে ভিন্ন ধর্ম গ্রহন ও পুণরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার জন্য হিন্দু সমাজপতিতের সালিশে প্রায়শ্চিত্তের বিধান দিয়ে ওই তরুণীর মাথা চুল ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
এমন বিধানে ওই তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে গ্রামের মাতব্বররা আমার মাথা চুল ন্যাড়া করে দেন। রাজি না হওয়ায় মারধরও করা হয় আমাকে। আমি তাদের সব কথা মানতে রাজি আছি, কিন্তু মাথা ন্যাড়ার বিষয়টি মানতে পারছি না।
নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নে চাঁদেরহাট কলেজপাড়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গ্রাম্য সালিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক তরুণীর মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় আটক তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এঘটনায় আটক তিন ব্যক্তি একই গ্রামের সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে দিনবন্ধু রায় (৪৩), মৃত ছতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে পুস্প রায় (৪৫) ও প্রেম কুমার রায়ের ছেলে সদানন্দ রায়কে (৩০) ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার ব্যানার্জী জানান, ঘটনারসাথে জড়িত ওই তিন ব্যক্তিতে গতকাল বুধবার ভোরে আটক করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আটক তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিচারক ওই তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী সোমবার (১৬ জুলাই) আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওই তিন ব্যক্তি মামলার নামীয় আসামী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনারসাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলায় আজ্ঞাত আরো ১০ জন আসামী রযেছে।
উল্লেখ্য, জেলা শহরের পরচুলা তৈরীর একটি কারখানার শ্রমিক ওই তরুণীর বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে পরিচয়ের সূত্র ধরে অটোবাইক চালক রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ২ জুলাই নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী গ্রামের প্রেমিক রবিউলল ইসলামকে বিয়ে করে বাড়ি ছাড়ে ওই তরুণী। বিষয়টি উভয় পরিবার মেনে না নেওয়ায় গত ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বাবার বাড়িতে ফেরৎ আনা হয় তরুণীকে। এরপর গত ১০ জুলাই ভোর ৪টার দিকে ভিন্ন ধর্ম গ্রহন ও পুণরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার জন্য হিন্দু সমাজপতিতের সালিশে প্রায়শ্চিত্তের বিধান দিয়ে ওই তরুণীর মাথা চুল ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
এমন বিধানে ওই তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে গ্রামের মাতব্বররা আমার মাথা চুল ন্যাড়া করে দেন। রাজি না হওয়ায় মারধরও করা হয় আমাকে। আমি তাদের সব কথা মানতে রাজি আছি, কিন্তু মাথা ন্যাড়ার বিষয়টি মানতে পারছি না।