নীলফামারীতে পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১০ জুলাই॥
এক সময়ের অর্থকড়ি ফসল পাট পুনরায় পূর্বের স্থানে ফিরে আসতে শুরু করেছে। কৃষকরা গত দুই বছর ধরে পাটের ভাল দাম পাওয়ায় জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে। এতে পাটের উপাৎদন হবে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন । পাটের নানাবিধ ব্যবহার বাড়ায় দিন দিন কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে পাট চাষে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, জেলায় এবার পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। সেখানে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩১ মেট্রিকটন বেল। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমান পাট উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুত্র মতে, গত বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয় ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর । আবাদের ওই পরিমাণ জমিতে ২০ হাজার ৬২৯ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন হয়েছিল। সে তুলনায় এবারো প্রায় সম পরিমান জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

জেলা সদরের টুপামারি ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন (৫৫) বলেন বিএনপি সরকারের সময় আমরা পাটের আবাদ করে লোকসান গুনেছি। পাট সে সময় আমাদের গলার ফাসে পরিনত হয়েছিল। ফলে আমরা পাট চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম।
এই কৃষক জানায় আমরা জানতে পেরেছি বর্তমান সরকার পাট শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলেছে। প্লাষ্টিক বস্তা ও ব্যাগের পরিবর্তে  এখন চটের বস্তা ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। পাটের নায্য দাম পাচ্ছে কৃষক। একারণে পাট আবাদে আগ্রহ তৈরী হয়েছে কৃষকের।

রামনগর ইউনিয়ের গ্রামের কৃষক বিপ্লব রায় (৪৫) বলেন,পাট এক সময়ে কৃষকদের অর্থকরী ফসল ছিল। কিন্তু বিএনপি সরকারে সময় জুটমিল গুলো বন্ধ করে দেয়ায় পলিথিনের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পাটের ব্যবহার কমে যাওয়ায় হারিয়ে যায় কৃষকের সেই অর্থকরী ফসল। বর্তমান সরকার পাট উৎপাদন ও পাচের তৈরী পন্য এর উপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাই  এখন আবারো পাটের ব্যবহার ও  চাহিদা বেড়েছে। ফলে কৃষকরা পাট আবাদের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করণে পরিবেশ বান্ধব পাটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সচেতন মানুষের মধ্যে পাটের ব্যবহার বেড়েছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় বাজার দর বেড়েছে। ফলে পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। আগামীতে নীলফামারী জেলায় পাটের আবাদ ও উৎপাদন দ্বিগুন হবে বলে তিনি আশা করেন।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1451494357977699379

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item