দারিদ্র আর যাযাবর জীবনের কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বেশির ভাগ বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা
https://www.obolokon24.com/2018/07/jajabar.html
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥
দারিদ্র আর যাযাবর জীবনের কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বেশির ভাগ বেদে
সম্প্রদায়ের শিশুরা। এ কারণে বংশানুক্রমে একই পেশায় থাকছে তারা। সুবিধা
বঞ্চিত এসব শিশুর জন্য সরকারি-বেসকারি উদ্যোগ থাকলেও তার দেখা নেই
ঠাকুরগাঁওয়ে। অন্যদিকে বন্য প্রাণী ধ্বংস ও নদ-নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ায়
মানবেতর জীবন যাপন করছে বেদে পরিবার গুলো। শিক্ষাতো দুরের কথা দু’বেলা
খাওয়া মুখে তোলে দেওয়াটাই যেন এসব পরিবারের বাবা মায়ের জন্য কঠিন হয়ে
পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর এলাকায়
মহাসড়কের পাশে কালো প্লাষ্টিক দিয়ে তাঁবু টাঙ্গিয়ে ১০টি বেদে পরিবার থাকছে
১মাস ধরে। কথা হয় বেদে পল্লীর সরদার ৩০বছর বয়সী নজরুল ইসলামের সাথে তিনি
জানান,তারঁ দুই ছেলে ও এক মেয়ে তিনি তাঁদের শিক্ষিত করতে চান-চান যাযাবর
জীবনের অবসান।অনেকেই এসে সাহায্য করার আশ্বাস দেন । কিন্তু তাদের ভাগ্যের
কোন পরিবর্তন হয় না। যাযাবর জীবনের অবসান হয় না। বেদে পল্লীর অনেকেই ছেলে
মেয়েদের শিক্ষিত করতে চান। কিন্তু জাত-ব্যবসার টানে আবার তারা ছুটে চলেন এক
জায়গা থেকে আরেক জায়গা। এ ভাবে চলছে তাঁদের জীবন। তবে বিভিন্ন মৌলিক
অধিকার থেকে বঞ্চিত এসব শিশুরা যেন আধারের পথেই হাটছেন।
স্কুলে
যাওয়ার কথা জানতে চেয়েছিলাম আপন,শান্ত তানজিনা,তুফান ও আজিরুনার কাছে তারা
জানায়,বাবা মায়ের জায়গা জমি নেই। নেই টাকা পয়সা এই কারণে বাবা মা পড়াশুনা
করাতে পারে না। পেশা গত কারণে অনেক সময় বাবা-মা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে যায়।
এখন থেকে সব কিছু শিখতে হবে তাদের নইলে বড় হয়ে কি করে খাবে।
বেদে
পল্লীর জসিম উদ্দীন জানান, সরকারি ভাবে যদি আবাস্থলের ও কাজের ব্যবস্থা
করা যেতো তাহলে তাঁরা কাজ করে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারতেন।
ঠাকুরগাঁও
সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন,বেদে সম্প্রদায়ের মত
যাযাবররাও দেশের নাগরিক। শিক্ষাগ্রহণ একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। যা বেদে
শিশুদের রয়েছে। এই শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে
হবে।