রংপুরের পীরগাছার একমাত্র অভয়াশ্রমে চলছে মা ও পোনা মাছ নিধন
https://www.obolokon24.com/2018/04/rangpur_32.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর) :
রংপুরের পীরগাছায় একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদী থেকে কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। মরা নদী পাড়ের কিছু মৎস্যজীবী ও শৌখিন মৎস্য শিকারিরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছ শিকার করছেন।
জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদীটি কান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত। সরকারিভাবে ৩-৪ বছর আগে ওই মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার পানি কমে যাওয়া মাত্র রুই, কাতলা, মৃগেল এবং বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেয়। এসব মাছের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। নদীর বিভিন্ন স্থানে ৫-৬ টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে।
নদী পাড়ের ১০-১৫ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষাণ কুড়া নদীতে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী ও শৌখিন মৎস্য শিকারিরা কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে মাছ নিধন করেন। এ সময় অভয়াশ্রমে প্রচুর মাছ থাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মৎস্যশিকারিরা মাছ ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। জালে ধরা পড়ছে ছোট আকৃতির বোয়াল, কাতলা, টেংরা, শোল, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। অবাধে মৎস্য শিকারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সরকারি নিয়মানুযায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মা মাছসহ যেকোন ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্যজীবী এবং মৎস্য শিকারিরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ সাজসে অবাধে ওই অভয়াশ্রম থেকে মা মাছসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্যজীবি ও মৎস্য শিকারি জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তারা অবাধে মাছ শিকার করছেন। মাছ বিক্রির অর্থ তারা একাই পান না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ অনেককে ভাগ দিতে হয়।
নদী পাড়ের ঈসা খা বলেন, মাত্র তিন মাস এই অভয়াশ্রমে পোনা মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এখান থেকে প্রচুর বড় মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু মৎস্যশিকারিরা তা হতে দিচ্ছেন না। মাছগুলো বেড়ে ওঠার আগেই নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা অজ্ঞাত কারণে চুপ থাকায় মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না।
রবিউল আলম বলেন, বেড় জাল দিয়ে পানি থেকে ছেঁকে ছোট ছোট মাছ তোলা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মাষাণ কুড়া থেকে দেশী মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আমাকে কেউ অভিযোগ করলে এসব মাছ নিধন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসময় মাছ শিকারে তার যোগ সাজসের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাউজুল কবির বলেন, ‘বেড় জাল ও কারেন্ট জালের মাধ্যমে অভয়াশ্রমে মাছ ধরা আইনত নিষিদ্ধ। মাছ ধরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রংপুরের পীরগাছায় একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদী থেকে কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। মরা নদী পাড়ের কিছু মৎস্যজীবী ও শৌখিন মৎস্য শিকারিরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছ শিকার করছেন।
জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদীটি কান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত। সরকারিভাবে ৩-৪ বছর আগে ওই মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার পানি কমে যাওয়া মাত্র রুই, কাতলা, মৃগেল এবং বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেয়। এসব মাছের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। নদীর বিভিন্ন স্থানে ৫-৬ টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে।
নদী পাড়ের ১০-১৫ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষাণ কুড়া নদীতে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী ও শৌখিন মৎস্য শিকারিরা কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে মাছ নিধন করেন। এ সময় অভয়াশ্রমে প্রচুর মাছ থাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মৎস্যশিকারিরা মাছ ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। জালে ধরা পড়ছে ছোট আকৃতির বোয়াল, কাতলা, টেংরা, শোল, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। অবাধে মৎস্য শিকারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সরকারি নিয়মানুযায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মা মাছসহ যেকোন ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্যজীবী এবং মৎস্য শিকারিরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগ সাজসে অবাধে ওই অভয়াশ্রম থেকে মা মাছসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্যজীবি ও মৎস্য শিকারি জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তারা অবাধে মাছ শিকার করছেন। মাছ বিক্রির অর্থ তারা একাই পান না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ অনেককে ভাগ দিতে হয়।
নদী পাড়ের ঈসা খা বলেন, মাত্র তিন মাস এই অভয়াশ্রমে পোনা মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এখান থেকে প্রচুর বড় মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু মৎস্যশিকারিরা তা হতে দিচ্ছেন না। মাছগুলো বেড়ে ওঠার আগেই নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা অজ্ঞাত কারণে চুপ থাকায় মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না।
রবিউল আলম বলেন, বেড় জাল দিয়ে পানি থেকে ছেঁকে ছোট ছোট মাছ তোলা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মাষাণ কুড়া থেকে দেশী মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আমাকে কেউ অভিযোগ করলে এসব মাছ নিধন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসময় মাছ শিকারে তার যোগ সাজসের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাউজুল কবির বলেন, ‘বেড় জাল ও কারেন্ট জালের মাধ্যমে অভয়াশ্রমে মাছ ধরা আইনত নিষিদ্ধ। মাছ ধরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।