ডোমারে সাপ গলায় ঝুলিয়ে দোকানে দোকানে টাকা তুলছে মানিকগঞ্জের বিলকিস বানু।
https://www.obolokon24.com/2018/04/domar_3.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী ডোমারে জীবন জীবিকার তাগিদে সাপ গলায় ঝুলিয়ে, দোকানে দোকানে টাকা তুলছে মানিকগঞ্জের বিলকিস বানু। এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ডোমার বাজার বাটার মোড় এলাকায় চান মিয়ার চায়ের দোকানে, সাপের জন্য দুধ কিনতে এসে, কথা হয় বেদেনী বিলকিস বানুর সাথে। সে জানায়, তার জীবন যুদ্ধের ইতি কথা। মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া উপজেলার বেদে ঘড়ে জন্ম, তার পিতা রাঙ্গা সর্দার। সাপের খেলা দেখা, সাপ ধরা ও বিক্রি করা তাদের মূল পেশা। ১৪ বছর বয়সে একই গোত্রের রমজান সাপুড়ের ছেলে এরশাদের সাথে বিয়ে হয় তার। সংসার জীবন চলাকালীন সময়ে বিলকিস ৩ ছেলে সন্তানের মা হয়। বড় ছেলে সফি ৫ম শ্রেনী ও ছোট ছেলে উমেল ১ম শ্রেনীতে নিজ এলাকার স্কুলে পড়ে। মেজো ছেলে সাইমূল লেখাপড়া করতে চায়না বলে তাকে সাথে রেখেছে জীবন চলার কষ্ঠের ভাগীদার হতে। স্বামী সন্তান সহ বর্তমানে তাদের গোত্রের ৬টি পরিবারের মোট ৩০জন সদস্য ঠাকুরগাঁও জেলার খোঁচাবাড়ী বাজারের একটি মাঠে তাবু টাঙ্গিয়ে বসবাস করছে তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ে সাপ দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করছে, এতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শত টাকা আয় হয় বলে বিলকিস জানায়। সে আরো বলেন, খড়া মৌসুমে ৬মাস বাহিরে থেকে অর্থ উপার্জন করি, বর্যা মৌসুমে নিজ এলাকায় ফিরে যাই। আবারো অপেক্ষা করতে হয় খড়া মৌসুমের। এমনি ভাবেই চলছে তাদের বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম। মুঠো ফোনে কথা হয় তাদের সাপুড়ে সর্দার বাবুলের সাথে, তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বেদে জাতকে পূর্ণবাসন করতে সরকারে সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
নীলফামারী ডোমারে জীবন জীবিকার তাগিদে সাপ গলায় ঝুলিয়ে, দোকানে দোকানে টাকা তুলছে মানিকগঞ্জের বিলকিস বানু। এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ডোমার বাজার বাটার মোড় এলাকায় চান মিয়ার চায়ের দোকানে, সাপের জন্য দুধ কিনতে এসে, কথা হয় বেদেনী বিলকিস বানুর সাথে। সে জানায়, তার জীবন যুদ্ধের ইতি কথা। মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া উপজেলার বেদে ঘড়ে জন্ম, তার পিতা রাঙ্গা সর্দার। সাপের খেলা দেখা, সাপ ধরা ও বিক্রি করা তাদের মূল পেশা। ১৪ বছর বয়সে একই গোত্রের রমজান সাপুড়ের ছেলে এরশাদের সাথে বিয়ে হয় তার। সংসার জীবন চলাকালীন সময়ে বিলকিস ৩ ছেলে সন্তানের মা হয়। বড় ছেলে সফি ৫ম শ্রেনী ও ছোট ছেলে উমেল ১ম শ্রেনীতে নিজ এলাকার স্কুলে পড়ে। মেজো ছেলে সাইমূল লেখাপড়া করতে চায়না বলে তাকে সাথে রেখেছে জীবন চলার কষ্ঠের ভাগীদার হতে। স্বামী সন্তান সহ বর্তমানে তাদের গোত্রের ৬টি পরিবারের মোট ৩০জন সদস্য ঠাকুরগাঁও জেলার খোঁচাবাড়ী বাজারের একটি মাঠে তাবু টাঙ্গিয়ে বসবাস করছে তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ে সাপ দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করছে, এতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শত টাকা আয় হয় বলে বিলকিস জানায়। সে আরো বলেন, খড়া মৌসুমে ৬মাস বাহিরে থেকে অর্থ উপার্জন করি, বর্যা মৌসুমে নিজ এলাকায় ফিরে যাই। আবারো অপেক্ষা করতে হয় খড়া মৌসুমের। এমনি ভাবেই চলছে তাদের বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম। মুঠো ফোনে কথা হয় তাদের সাপুড়ে সর্দার বাবুলের সাথে, তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বেদে জাতকে পূর্ণবাসন করতে সরকারে সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।