ডিমলা ও ডোমারে শিলাবৃষ্টিতে বসতঘরের টিন ঝাঁঝড়া॥ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
https://www.obolokon24.com/2018/03/rain.html
বিশেষ প্রতিনিধি.৩০ মার্চ॥ প্রচন্ড বেগে আকাশ হতে ঝরে পড়া শিলাপাতের আঘাতে
নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিলাবৃষ্টিতে এ দুটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের দুই সহ¯্রাধীক বসতবাড়ির টিনের ছাদ ফুটো হয়ে ঝাঝড়া হয়ে গেছে। শিলাপাতের সময় ৩ জনের আহত হয়েছে। এ ছাড়া প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ৩৩ হাজার কেভি সঞ্চালন লাইনে ক্রুটি দেখা দেয়ায় গোটা জেলায় পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ সকাল ১০টা হতে বন্ধ হয়ে গেলে তা পনে ছয় ঘন্টা পর চালু করা হয়।শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর হলো ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী, গোমনাতী, ভোগডাবুড়ী, বামুনীয়া ও পাঙ্গা মটুকপুর এবং ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, গয়াবাড়ী ও খড়াখড়িবাড়ী।ছোট বড় মাঝারি আকারের ব্যাপক শিলাপাতে বোরো ধানের পাতা ও কান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। একই অবস্থা ভুট্টা ক্ষেতের।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ভারী শিলাবৃষ্টির কারণে ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ ও বোরো আবাদের ব্যাপক ক্ষতি
হয়েছে। মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিলার আঘাতে ডিমলার মিনা বেগম, রমজান আলী ও চিত্তরঞ্জন নামে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ, শিমুলবাড়ী ও গোলনা ইউনিয়নে এবং সৈয়দপুর উপজেলায় হালকা শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
ডিমলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান শিলাবৃষ্টিতে এমন ক্ষয়ক্ষতি এর আগে কোনো দিন দেখা যায়নি। আম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু, ভুট্টা, গম, পিয়াজ,মরিচ বিভিন্ন ফল ও বোরো ধান সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে টিনের ঘরগুলোর। কেবল তাঁর ইউনিয়নের পূর্ব বাইশপুকুর,পশ্চিম বাইশপুকুর কোলনঝাড় গ্রামের চারশত টিনের ঘর ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫), ভোলা মামুদের ছেলে রমজান আলী (৫৪) ও নলিন রায়ের ছেলে চিত্ত রায়ের (৪৭) অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়।নাউতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, আকাশকুড়ি ও গোদার বাজারের ৬ শতাধিক পরিবারের টিনের ঘরে ভারী শীলা বৃস্টির কারনে অসংখ্য ছিদ্র হয়ে গেছে।
এদিকে ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরে বিশেষ করে ভুট্টা, গম ও পিয়াজের ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ফসল নষ্টের জন্য ডুকরে ডুকরে কাঁদছে সেখানকার কৃষককুল।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, উপজেলার দ্ইুটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়ীতে ভারী শীলাবৃস্টির কারনে টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি সরেজমিনে এলাকার পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: উম্মে ফাতিমা বলেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে তালিকা করতে বলেছি জনপ্রতিনিধিদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রজানায়, বিভিন্ন ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগণ কাজ করছে। তাদের রির্পোট পেলে বোঝা যাবে ক্ষতির পরিমান কত হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ৩৩ হাজার কেভি সঞ্চালন লাইনে ক্রুটি দেখা দেয়ায় গোটা জেলায় পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুক্রবার সকাল ১০টা হতে বন্ধ হয়ে যায়। নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কো¤পানি(নেসকো) লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, সৈয়দপুর-নীলফামারীর ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর দিয়ে গাছ থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। সেটি অপসারন করে বিকাল পনে ৫টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।#
নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিলাবৃষ্টিতে এ দুটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের দুই সহ¯্রাধীক বসতবাড়ির টিনের ছাদ ফুটো হয়ে ঝাঝড়া হয়ে গেছে। শিলাপাতের সময় ৩ জনের আহত হয়েছে। এ ছাড়া প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ৩৩ হাজার কেভি সঞ্চালন লাইনে ক্রুটি দেখা দেয়ায় গোটা জেলায় পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ সকাল ১০টা হতে বন্ধ হয়ে গেলে তা পনে ছয় ঘন্টা পর চালু করা হয়।শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর হলো ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী, গোমনাতী, ভোগডাবুড়ী, বামুনীয়া ও পাঙ্গা মটুকপুর এবং ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, গয়াবাড়ী ও খড়াখড়িবাড়ী।ছোট বড় মাঝারি আকারের ব্যাপক শিলাপাতে বোরো ধানের পাতা ও কান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। একই অবস্থা ভুট্টা ক্ষেতের।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ভারী শিলাবৃষ্টির কারণে ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ ও বোরো আবাদের ব্যাপক ক্ষতি
হয়েছে। মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিলার আঘাতে ডিমলার মিনা বেগম, রমজান আলী ও চিত্তরঞ্জন নামে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ, শিমুলবাড়ী ও গোলনা ইউনিয়নে এবং সৈয়দপুর উপজেলায় হালকা শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
ডিমলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান শিলাবৃষ্টিতে এমন ক্ষয়ক্ষতি এর আগে কোনো দিন দেখা যায়নি। আম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু, ভুট্টা, গম, পিয়াজ,মরিচ বিভিন্ন ফল ও বোরো ধান সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে টিনের ঘরগুলোর। কেবল তাঁর ইউনিয়নের পূর্ব বাইশপুকুর,পশ্চিম বাইশপুকুর কোলনঝাড় গ্রামের চারশত টিনের ঘর ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫), ভোলা মামুদের ছেলে রমজান আলী (৫৪) ও নলিন রায়ের ছেলে চিত্ত রায়ের (৪৭) অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়।নাউতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, আকাশকুড়ি ও গোদার বাজারের ৬ শতাধিক পরিবারের টিনের ঘরে ভারী শীলা বৃস্টির কারনে অসংখ্য ছিদ্র হয়ে গেছে।
এদিকে ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরে বিশেষ করে ভুট্টা, গম ও পিয়াজের ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ফসল নষ্টের জন্য ডুকরে ডুকরে কাঁদছে সেখানকার কৃষককুল।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, উপজেলার দ্ইুটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়ীতে ভারী শীলাবৃস্টির কারনে টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি সরেজমিনে এলাকার পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: উম্মে ফাতিমা বলেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে তালিকা করতে বলেছি জনপ্রতিনিধিদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রজানায়, বিভিন্ন ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগণ কাজ করছে। তাদের রির্পোট পেলে বোঝা যাবে ক্ষতির পরিমান কত হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ৩৩ হাজার কেভি সঞ্চালন লাইনে ক্রুটি দেখা দেয়ায় গোটা জেলায় পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুক্রবার সকাল ১০টা হতে বন্ধ হয়ে যায়। নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কো¤পানি(নেসকো) লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, সৈয়দপুর-নীলফামারীর ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর দিয়ে গাছ থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। সেটি অপসারন করে বিকাল পনে ৫টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।#