কুড়িগ্রামে শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি দাম বেড়েছে টিনের

হাফিজুর রহমান হৃদয়; কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। শিলার আঘাতে আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘরের চালার টিন ফুটা ফুটা হওয় যাওয়ার দূর্ভোগে পড়েছে। এদিকে শহরের টিনের দোকানগুলোতে দেখা গেছে টিন কি
নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকা, রামখানা, রায়গঞ্জ, নেওয়াশী, সেনপাড়া, বামনডাঙ্গা, গাগলা ও কালিগঞ্জে ঝড় হাওয়ার সাথে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এতে প্রায় সহ¯্রাধিক ঘর-বাড়ির পুরনো টিন বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে সম্পুর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টির সাথে দমকা বাতাসে উড়ে গেছে বেশকিছু ঘরের চাল। এসব এলাকায় দমকা ঝড় হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে বাগানের সুপারী গাছসহ অন্যান্য গাছপালা। পৌর এলাকার গোলাম কিবরিয়া জানান, আকষ্মিক শিলাবৃষ্টিতে তার ঘরের চালসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নেওয়াশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় তার ইউনিয়নের পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতের পাতা ছিড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগাম চাষ করা ধানের থোর আসা বোরোর ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে কি পরিমান বোরো ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। দমকা হাওয়ায় সুপারীর গাছ ভেঙ্গে সুপারী বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। দুই দফায় এ বৃষ্টিতে নানাস্থানে বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়ে এবং সংযোগ তার ছিড়ে সংযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার রামখানা, রায়গঞ্জ ও বামনডাঙ্গাসহ সব ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পৌর এলাকার বল্লভপুর এলাকার কৃষক আনিচুর রহমান জানান, তার দুই একর আঠাশ ধানের আবাদের শীষ আসার সময় হয়েছে। কিন্তু শীলাবৃষ্টিতে ধানের থোর নষ্ট হয়ে গেছে। বেরুবাড়ী মীরেরভিটা এলাকার কৃষক হাসমত আলী বলেন, তার এক একর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। পূর্বসুথাতি মাঠেরপাড় এলাকার মফিজুল ইসলাম জানান, তার তিনটি ঘরের টিন ফুটা হয়েছে শীলের আঘাতে। উপজেলা সদরের বিএসসিমোড়ের একটি শতবর্সী গাছের ডালভেঙ্গে তিনিটি দোকান ভাংচুর হয়েছে। এসময় অল্পের জন্য বেঁচে গেছে দোকানদারা।
এদিকে ঘরেরচালার টিন নষ্ট হওয়ায় সেগুলো মেরামতে শহরের টিনের দোকানে টিনের ক্রেতাদের সমাগম দেখা গেছে। এ সুযোগে টিন বিক্রেতারা টিনের বান্ডিল প্রতি চার থেকে ছয়শত টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন টিন। বাসস্ট্যান্ডের আবু হোসেন মিন্টু বলেন, প্রায় প্রতি বাড়িতে ঘরের চাল নষ্ট হয়েছে। এ কারণে সবাই একযোগে টিন কিনতে এসেছে। এ সুযোগে ক্রেতারা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন। টিনের ক্রেতা আতা বলেন, টিন কিনতে এসে মাথা ঘুড়ছে। এতো বেশি দাম চাইলে হয় কি করে। একজন বিক্রেতা জানান, ঘরে টিন কম তাই অনেক ব্যবসায়ী একটু বেশি নিচ্ছেন। তবে অতো নয়।
উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্ল্যাহ আল ওয়ালিদ মাসুম বলেন, আমার ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আগাম বোরো ধান, সুপারী বাগান ও মৌসুমী সবজিসহ গরীব মানুষের ঘরের টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান জানান, শিলাবৃষ্টি হলেও বোরো আবাদের তেমন ক্ষতি হবে না। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান গাছের পাতার কিছুটা ক্ষতি হলেও ফসলে এর কোন প্রভাব পড়বে না।
নতে আসা মানুষের ভীড়। এ সুযোগে বিক্রেতা টিনের বান্ডিল প্রতি বাড়িয়েছে চার থেকে ছয়শত টাকা।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 6834275176265105516

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item