সমস্যার সমাধান করতে নিজেদের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে হবে-নীলফামারীতে ত্রাণ বিতরন কালে সংস্কৃতিমন্ত্রী

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১০ ফেব্রুয়ারি॥
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ‘একবার দুইবার ত্রাণ নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়না। আসল সমস্যার সমাধান করতে নিজেদের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে হবে, এজন্য সকলকে কাজের সাথে যুক্ত হতে হবে।’
নুর আরো বলেন, ‘আমরা সেই জাতিতে পরিণত হতে চাই, কারো কাছ থেকে যেন ত্রাণ নিতে না হয়। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাই। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার বিভিন্ন কারিগড়ি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করেছে। ওই কারিগড়ি প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন করা যেতে পারে। নতুন নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে অব্যবহৃত জমি কৃষি উৎপাদনে ব্যবহার করতে হবে। গত বন্যার দূর্যোগ কাটাতে স্থানীয়ভাবে, সরকারের পক্ষে, বিভিন্ন এনজিওর পক্ষে ত্রাণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে। ইউএনডিপি ও বন্ধু দেশ চীন এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আজ শনিবার দুপুরে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও বাংলাদেশে অবস্থিত চায়না দূতাবাসের আয়োজনে গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬২৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণের ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ লিওরী কাটো, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, বাংলাদেশস্থ চায়না দূতাবাসের ইকোনোমিক এন্ড কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর লী গোয়াংজুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপনা উপদেষ্ঠা ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, প্রাকটিক্যাল একশনের স্ট্রাটেজিক লিড নজমুল ইসলাম চৌধুরী, এসকেএস ফাউন্ডেশনের হেড অব প্রোগ্রাম রজব আলী প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন ভুঁইয়া।
এর আগে মন্ত্রী নিজ বাসভবনে জেলা সদরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক বান্ডিল করে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ড. অর্ধেন্দু শেখর রায় জানান, গত বন্যায় উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া এবং নীলফামারী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার ৯১০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় তিন হাজার ৬১০ পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের মাঝে দুই বা-িল করে ঢেউটিন, একটি ট্রাঙ্ক, একটি স্কুল ব্যাগ, দুটি রান্নার পাতিল, একটি মশারী, দুটি কম্বল, একটি হাত করাত, দুটি বালিশ কভারসহ একটি করে বিছানার চাদর, একটি করে কন্টেনারে কিশোরীদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় কীট প্রদান করা হয়েছে। শনিবার জেলা দরের ৬২৫ পরিবারের মাঝে ওই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1399191708265077591

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item