কুড়িগ্রামের নদ-নদীর চরাঞ্চলে ভূট্টার চাষ
https://www.obolokon24.com/2018/02/kurigram_10.html
হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ভূট্টা চাষে সবুজে ঘিরে রেখেছে চারদিক। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। বালুময় এসব চরাঞ্চলে ভূট্টা ক্ষেতের সবুজ দৃশ্যে আন্দোলিত হয় মন। এমন চোখ জুরানো দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার নাগেশ্বরী পৌরসভা, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ি, কচাকাটা, নুনখাওয়া, নারায়নপুর, কচাকাটাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল এলাকায়। সবমিলে এবার এ উপজেলায় ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে ৪শ ৫৮ হেক্টর বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছে, প্রতিবারই এসব জমিতে ধান, গম, সরিষা, তিষি, পাট, আখ ইত্যাদি ফসল চাষ করলেও এবার বিকল্প হিসেবে ভূট্টা চষে করছে তারা। অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে এবার ভূট্টা চাষে খরচ কম হচ্ছে। তাই তাদের আগ্রহটা অনেকগুনে বেশি। বন্যা পরবর্তীতে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর জেগে ওঠা পলিযুক্ত চরাঞ্চলে নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতায় তারা ভূট্টা চাষাবাদে মাঠে নেমেছে। কম খরচ ও অল্প পরিচর্যায় ফসল ঘরে তুলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন তাদের চোখে মুখে। চরাঞ্চলীয় এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভূট্টা ক্ষেতের বিস্তির্ণ মাঠ জুরে সবুজ চাঁদর বিছিয়ে দিয়েছে প্রকৃতিতে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ক্ষেতে ঠিকমতো সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগসহ সুষ্ঠু পরিচর্যা করে আসছেন নিয়মিত। কম খরচ ও অল্প পরিচর্যায় বেড়ে উঠা এ শষ্যটি বিঘা প্রতি ফলন হয় ৩০ মণের উপরে। মণ প্রতি বিক্রি হয় ৭ হাজার ৫শ থেকে ৮ হাজার টাকা। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় শষ্যটি চাষাবাদ করা গেলে বিঘা প্রতি এর ফলন বেড়ে যাবে এবং চাষাবাদেও আরো অনেকেই উৎসাহী হবে। এ আশা কৃষকদের।
ভূট্টা চাষের ফলে মাছ ও মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার হওয়ার এই চাষের প্রতি ঝুকছে কৃষকরা। এছাড়াও ভূট্টা বিক্রিসহ এই ফসল দিয়ে খই, রুটি তৈরি এবং গো খাদ্য এবং এর গাছ ও মোচা জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমোতপুর, নামারচর এলাকার জাহের আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আম্বাজ আলী ও বক্কর আলী জানায়, সরকারি পৃষ্টপোষকতা ছাড়াই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা প্রত্যেকে ৩-৪ বিঘা করে জমি বরগা নিয়ে চাষাবাদ করছে। নারায়নপুর ইউনিয়নের কালারচরের আইনুল হক চাষ করেছে ৬ বিঘা, ফালু মিয়া ১০ বিঘা, শাহ-আলম ৫০ বিঘা, পাখি উড়ার চরের ছাবের মিয়া চাষাবাদ করছে ১শ ৫০ বিঘা। কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগর চরের আমিনুর কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় বিতরণকৃত হাইব্রিড-২৭৫০জাতের ভূট্টা চাষ করেছে ২০ বিঘা। এছাড়াও ভূট্টা চাষের আবাদী জমি সম্প্রসারিত হচ্ছে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চর বেরুবাড়ি, চর কাপনা ও নুনখাওয়া ইউনিয়নের বাহুবল এলাকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের। এদের সকলেই কেউ জমি বরগা নিয়ে আবার কেউ লিজ নিয়ে মিরাকেল, ডন, টাইগার, সুপার শাইন আত্যাদি জাতের ভূট্টা চাষ শুরু করেছে। চাষাবাদে তাদের প্রতি একরে বীজ লেগেছে ২ কেজি। বর্তমানে গাছগুলো বেশ হৃষ্ট-পুষ্ঠ ও তরতাজা বলে ফলন ভালো হওয়ার আশা তাদের।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার জানান, উপজেলার দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, সঙ্কোশ নদ-নদীর চরাঞ্চলে কৃষকরা বেশ উৎসাহের সাথে ভূট্টা চাষ করছে। তাই কীভাবে এর ফলন ভালো হয়ে তারা লাভবান হয় সেদিকটা লক্ষ্য রেখে আমরা অফিসিয়ালভাবে তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এসব অঞ্চলে ভূট্টার বা¤পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ভূট্টা চাষে সবুজে ঘিরে রেখেছে চারদিক। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। বালুময় এসব চরাঞ্চলে ভূট্টা ক্ষেতের সবুজ দৃশ্যে আন্দোলিত হয় মন। এমন চোখ জুরানো দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার নাগেশ্বরী পৌরসভা, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ি, কচাকাটা, নুনখাওয়া, নারায়নপুর, কচাকাটাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল এলাকায়। সবমিলে এবার এ উপজেলায় ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে ৪শ ৫৮ হেক্টর বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছে, প্রতিবারই এসব জমিতে ধান, গম, সরিষা, তিষি, পাট, আখ ইত্যাদি ফসল চাষ করলেও এবার বিকল্প হিসেবে ভূট্টা চষে করছে তারা। অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে এবার ভূট্টা চাষে খরচ কম হচ্ছে। তাই তাদের আগ্রহটা অনেকগুনে বেশি। বন্যা পরবর্তীতে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর জেগে ওঠা পলিযুক্ত চরাঞ্চলে নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতায় তারা ভূট্টা চাষাবাদে মাঠে নেমেছে। কম খরচ ও অল্প পরিচর্যায় ফসল ঘরে তুলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন তাদের চোখে মুখে। চরাঞ্চলীয় এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভূট্টা ক্ষেতের বিস্তির্ণ মাঠ জুরে সবুজ চাঁদর বিছিয়ে দিয়েছে প্রকৃতিতে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ক্ষেতে ঠিকমতো সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগসহ সুষ্ঠু পরিচর্যা করে আসছেন নিয়মিত। কম খরচ ও অল্প পরিচর্যায় বেড়ে উঠা এ শষ্যটি বিঘা প্রতি ফলন হয় ৩০ মণের উপরে। মণ প্রতি বিক্রি হয় ৭ হাজার ৫শ থেকে ৮ হাজার টাকা। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় শষ্যটি চাষাবাদ করা গেলে বিঘা প্রতি এর ফলন বেড়ে যাবে এবং চাষাবাদেও আরো অনেকেই উৎসাহী হবে। এ আশা কৃষকদের।
ভূট্টা চাষের ফলে মাছ ও মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার হওয়ার এই চাষের প্রতি ঝুকছে কৃষকরা। এছাড়াও ভূট্টা বিক্রিসহ এই ফসল দিয়ে খই, রুটি তৈরি এবং গো খাদ্য এবং এর গাছ ও মোচা জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমোতপুর, নামারচর এলাকার জাহের আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আম্বাজ আলী ও বক্কর আলী জানায়, সরকারি পৃষ্টপোষকতা ছাড়াই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা প্রত্যেকে ৩-৪ বিঘা করে জমি বরগা নিয়ে চাষাবাদ করছে। নারায়নপুর ইউনিয়নের কালারচরের আইনুল হক চাষ করেছে ৬ বিঘা, ফালু মিয়া ১০ বিঘা, শাহ-আলম ৫০ বিঘা, পাখি উড়ার চরের ছাবের মিয়া চাষাবাদ করছে ১শ ৫০ বিঘা। কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগর চরের আমিনুর কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় বিতরণকৃত হাইব্রিড-২৭৫০জাতের ভূট্টা চাষ করেছে ২০ বিঘা। এছাড়াও ভূট্টা চাষের আবাদী জমি সম্প্রসারিত হচ্ছে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চর বেরুবাড়ি, চর কাপনা ও নুনখাওয়া ইউনিয়নের বাহুবল এলাকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের। এদের সকলেই কেউ জমি বরগা নিয়ে আবার কেউ লিজ নিয়ে মিরাকেল, ডন, টাইগার, সুপার শাইন আত্যাদি জাতের ভূট্টা চাষ শুরু করেছে। চাষাবাদে তাদের প্রতি একরে বীজ লেগেছে ২ কেজি। বর্তমানে গাছগুলো বেশ হৃষ্ট-পুষ্ঠ ও তরতাজা বলে ফলন ভালো হওয়ার আশা তাদের।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার জানান, উপজেলার দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, সঙ্কোশ নদ-নদীর চরাঞ্চলে কৃষকরা বেশ উৎসাহের সাথে ভূট্টা চাষ করছে। তাই কীভাবে এর ফলন ভালো হয়ে তারা লাভবান হয় সেদিকটা লক্ষ্য রেখে আমরা অফিসিয়ালভাবে তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এসব অঞ্চলে ভূট্টার বা¤পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।