কিশোরগঞ্জে জনগুরত্বপুর্ণ নয় এমন জায়গায় ব্রীজ ,যেখানে ব্রীজ দরকার সেখানে হচ্ছেনা
https://www.obolokon24.com/2018/02/kisargang.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ধরেয়ার বাজারে বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ দিন রাত হাজার হাজার মানুষ পাড়াপার করছে। অথচ মাগুড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাগুড়া কামারের হাটে জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন জায়গায় ব্রীজ নির্মাণের দুই বছর পেড়িয়ে গেলেও সংযোগ সড়কসহ সড়ক না থাকায় সেটি কোন কাজে আসছেনা।
অন্যদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করলেও দীর্ঘ দুই বছরেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা দিয়ে নির্মিত ব্রীজ কোন কাজে আসছেনা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে মাগুড়া ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারের হাটে বুল্লাই নদীর উপর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যায়ে ৪০ ফুট ব্রীজ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ( ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫ নম্বর ওযার্ডে দুটি ব্যেিজর দুরত্ব ১ কিলোমিটার) মাগুড়া মাষ্টাপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে বুল্লাই নদীর উপর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যায়ে ৪০ ফুট দুইটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাগুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারের হাটে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও ব্রীজটির সংযোগ সড়কতো দুরের কথা সেখানে এলাকাবাসীর যাতায়াতের কোন সড়ক নেই। এককথায় জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন স্থানে ব্রীজ নির্মাণ করে সরকারের লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে মাত্র। তবে এলাকাবাসীর দাবি মাগুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন খুব সহজে ওই ব্রীজ দিয়ে পাশ্ববর্তী গঙ্গাচড়া উপজেলার চন্দনের হাটে যাতায়াত করতে পারত। কিন্তু সংযোগ সড়কসহ সড়ক না থাকায় সেটি কোন কাজে আসছেনা। অপর দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের( ৫ থেকে দুরত্ব এক কিলোমিটার) ১ কিলোমিটারের মধ্যে মাগুড়া মাষ্টারপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে ৪০ ফুট ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও র্দীঘ দুই বছরে ঠিকাদার সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেটি চলাচলের অনুপযোগী থাকায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় এলাকাবাসী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছে।
মাগুড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, মাগুড়া কামারের হাটের ব্রীজটি তেমন জণগুরুত্বপুর্ণ না হলেও এটি এলাকাবাসীর উপকারে আসত কিন্তু সংযোগ সড়কতো দুরের কথা এখানে সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী ব্রীজটির সুফল ভোগ করতে পারছেনা। তাছাড়া এই ব্রীজ দিয়ে ভাড়ি যান চলাচলের কোন সম্ভাবনা না থাকায় ঠিকাদার নি¤œমাণের কাজ করে চলে গেছে। মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, আমি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছে ঠিকাদাররা সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করলে তাদেরকে ফাইনাল বিল দেয়া হবেনা। কিন্তু ব্রীজ নির্মানের দুই বছরে পার হলেও সংযোগ সড়ক হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছি।
রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বিমান বলেন, রণচন্ডি ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য ধরেয়ার বাজার বুল্লাই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী। আমি বার ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে উর্দ্ধকর্তপক্ষকে অবহিত করলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। কিন্তু মাগুড়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপুণ নয় এমন জায়গায় ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রীজের সংযোগ সড়কে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে মাটি কাঁটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সময় সংযোগ সড়কের মাটি ধসে যায় তাই কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে মাটি কাঁটা যেতে পারে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রীজটি জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন স্থানে ব্রীজ নির্মাণ করলেন কেন, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ভাই এখন আমি পারিবারিক কাজে একটু ব্যাস্ত আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলব।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ধরেয়ার বাজারে বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ দিন রাত হাজার হাজার মানুষ পাড়াপার করছে। অথচ মাগুড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাগুড়া কামারের হাটে জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন জায়গায় ব্রীজ নির্মাণের দুই বছর পেড়িয়ে গেলেও সংযোগ সড়কসহ সড়ক না থাকায় সেটি কোন কাজে আসছেনা।
অন্যদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করলেও দীর্ঘ দুই বছরেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা দিয়ে নির্মিত ব্রীজ কোন কাজে আসছেনা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে মাগুড়া ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারের হাটে বুল্লাই নদীর উপর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যায়ে ৪০ ফুট ব্রীজ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ( ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫ নম্বর ওযার্ডে দুটি ব্যেিজর দুরত্ব ১ কিলোমিটার) মাগুড়া মাষ্টাপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে বুল্লাই নদীর উপর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যায়ে ৪০ ফুট দুইটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাগুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারের হাটে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও ব্রীজটির সংযোগ সড়কতো দুরের কথা সেখানে এলাকাবাসীর যাতায়াতের কোন সড়ক নেই। এককথায় জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন স্থানে ব্রীজ নির্মাণ করে সরকারের লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে মাত্র। তবে এলাকাবাসীর দাবি মাগুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন খুব সহজে ওই ব্রীজ দিয়ে পাশ্ববর্তী গঙ্গাচড়া উপজেলার চন্দনের হাটে যাতায়াত করতে পারত। কিন্তু সংযোগ সড়কসহ সড়ক না থাকায় সেটি কোন কাজে আসছেনা। অপর দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের( ৫ থেকে দুরত্ব এক কিলোমিটার) ১ কিলোমিটারের মধ্যে মাগুড়া মাষ্টারপাড়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর পুর্বদিকে ৪০ ফুট ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও র্দীঘ দুই বছরে ঠিকাদার সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেটি চলাচলের অনুপযোগী থাকায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বুল্লাই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় এলাকাবাসী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছে।
মাগুড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, মাগুড়া কামারের হাটের ব্রীজটি তেমন জণগুরুত্বপুর্ণ না হলেও এটি এলাকাবাসীর উপকারে আসত কিন্তু সংযোগ সড়কতো দুরের কথা এখানে সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী ব্রীজটির সুফল ভোগ করতে পারছেনা। তাছাড়া এই ব্রীজ দিয়ে ভাড়ি যান চলাচলের কোন সম্ভাবনা না থাকায় ঠিকাদার নি¤œমাণের কাজ করে চলে গেছে। মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, আমি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছে ঠিকাদাররা সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করলে তাদেরকে ফাইনাল বিল দেয়া হবেনা। কিন্তু ব্রীজ নির্মানের দুই বছরে পার হলেও সংযোগ সড়ক হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছি।
রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বিমান বলেন, রণচন্ডি ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য ধরেয়ার বাজার বুল্লাই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী। আমি বার ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে উর্দ্ধকর্তপক্ষকে অবহিত করলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। কিন্তু মাগুড়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপুণ নয় এমন জায়গায় ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রীজের সংযোগ সড়কে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে মাটি কাঁটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সময় সংযোগ সড়কের মাটি ধসে যায় তাই কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে মাটি কাঁটা যেতে পারে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রীজটি জনগুরুত্বপুর্ণ নয় এমন স্থানে ব্রীজ নির্মাণ করলেন কেন, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ভাই এখন আমি পারিবারিক কাজে একটু ব্যাস্ত আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলব।