ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদা তোলা নিয়ে হিজড়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৮
https://www.obolokon24.com/2018/01/thakurgaon_28.html
আব্দুল আওয়াল ঠাকুরগাও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নে ‘চাঁদা তোলা নিয়ে’ হিজড়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নে ‘চাঁদা তোলা নিয়ে’ হিজড়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে রহিমানপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা
হলেন: হাফিজ উদ্দীন (৫০), তার স্ত্রী নুর আশা (৩৬), ছেলে নুর হাসান (২৪),
মেয়ে খাদিজা (২২), প্রচেষ্টা হিজরা উন্নয়ন সংস্থার সদস্য আদুরি (২০), কাজল
(১৮), রাণী (১৮) ও শিলা (১৮)।
আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত
হাফিজ উদ্দীনের স্ত্রী নুর আশা বলেন, বিকেলে হিজরা কাজল ও রাণী আমাদের
বাসায় এসে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে
তাঁরা আমাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের সঙ্গে আমার পরিবারের লোকজনের
বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর প্রচেষ্টা হিজরা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রুবির
নেতৃত্বে একদল হিজরা আমাদের বাড়িতে লাঠিসোটা নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে মূল
দরজা ভাংচুর করে। বাঁধা দিলে তাঁরা আমাকেসহ আমার স্বামী হাফিজ উদ্দীন, ছেলে
নুর হাসান ও মেয়ে খাদিজা মিমকে বেধরক মারপিট করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের
চিকিৎসক শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, আহতদের মধ্যে হাফিজ উদ্দীনের অবস্থা
আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের
হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে
পাল্টা অভিযোগ করে প্রচেষ্টা হিজরা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রুবি বলেন, আমরা
কোন চাঁদা দাবি করিনি। হাফিজ উদ্দীনের ছেলে নুর হাসান আমাদের হিজরা
সংস্থার কিছু সদস্যকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় শিশু বাচ্চা নাচানোর
জন্য। শিশু বাচ্চাকে নাচানো শেষে টাকা চাইলে তারা আমাদের সদস্যদের উপর
হামলা চালিয়ে ৪ জনকে আহত করে। আমরা তাদেরকে মারপিট করিনি; উল্টো তারাই
আমাদেরকে মারপিট করেছে।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই বিশ্বনাথ বলেন, খবর পাওয়ার
পর হাসপাতালে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েচে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ
দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।