নিজ ক্যাম্পাসে বার্ষিক শিক্ষাসফরের আয়োজন করলো ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
https://www.obolokon24.com/2018/01/thakurgaon_18.html
আব্দুল আওয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষাসফর সবসময়ই হয় অনেক আনন্দের, অনেক স্মৃতিময়। বছরের এই দিনটায় শিক্ষক-ছাত্রদের বন্ধুত্ত্বটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।
বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষাসফর সবসময়ই হয় অনেক আনন্দের, অনেক স্মৃতিময়। বছরের এই দিনটায় শিক্ষক-ছাত্রদের বন্ধুত্ত্বটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।
আজ ২৫ জানুয়ারি,
উত্তরবঙ্গ ছাপিয়ে বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ, 'জাতীয় শিক্ষা
সপ্তাহ-২০১৬' তে নির্বাচিত দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ
বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষাসফর। তবে এবারের শিক্ষাসফরটি অন্য যেকোন বারের
তুলনায় একেবারে আলাদা। খুব সম্ভবত ২০০০ সালের পর এবারই প্রথম নিজ
ক্যাম্পাসে বার্ষিক শিক্ষাসফর-২০১৮ এর আয়োজন করা হয়েছে।
গতবছর
২৬ জানুয়ারি যশোরে শিক্ষাসফরগামী বাস উল্টে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত
হওয়ার ঘটনাসহ সম্প্রতি শিক্ষার্থী বহনকারী বাসের বিভিন্ন হৃদয় বিদারক
দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন থেকে
কোনো স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্য জেলায় পিকনিক করতে যেতে পারবে না। নিজ
জেলাতেই করতে হবে। বাইরে যেতে হলে আগে থেকেই জেলা প্রশাসক অথবা শিক্ষা
অফিসারকে জানাতে হবে।
এরপর
জেলার প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে জেলার বাইরে শিক্ষাসফর গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে নিজ ক্যাম্পাসে শিক্ষাসফর
আয়োজনের এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে,
বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষাসফরের এই আয়োজনে আগ্রহী ছাত্রদের কমতি ছিলনা
মোটেই। পূর্বেকার সময়ে দূরবর্তী স্থানগুলোতে শিক্ষাসফরের সময় বিদ্যালয়ের
তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের নেওয়া হতোনা। তবে এবারের আয়োজনে কোন
শ্রেণিগন্ডি ছিলনা। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৯৫ শতাংশই অংশ নেয়
আজকের শিক্ষাসফরে। বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এবারের শিক্ষাসফরটি তাই
পেয়েছিল এক ভিন্নমাত্রা।
ভিন্নমাত্রিক
এই আয়োজনের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আখতারুজ্জামান জানান,
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। বাইরে শিক্ষাসফরে গেলে খুব কম
শিক্ষার্থী সেখানে অংশগ্রহণ করতো। নিজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত শিক্ষাসফরে
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বেড়েছে। পুরো বিদ্যালয় এভাবে গেট
টুগেদারের সুযোগ সহজে পায়না