মেধাবী পরিমলের আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে এলো সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন
https://www.obolokon24.com/2018/01/saidpur_83.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের এক মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচের আর্থিক সহায়তা এগিয়ে এলো ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।আজ (রোববার) সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবে সংগঠনের পক্ষে মেধাবী পরিমল রায়কে আর্থিক সহায়তার নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দয়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ উপস্থিত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী পরিমল রায়ের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক, সাংবাদিক আলহাজ্ব নজির হোসেন নজু, গোপাল চন্দ্র রায়, মিজানুর রহামান মিলন, তোফাজ্জল হোসেন লুতু, ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর এর সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম, সংস্কৃতি কর্মী শেখ রোবায়েতেুর রহমান রোবায়েত, প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের দাউদ গ্রামের প্রয়াত জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় পুত্র পরিমল রায়। বিধাব মা ললিতা রাণী রায় ও বড় ভাই নিপুণ চন্দ্র রায় অনেক কষ্ট করে মেধাবী পরিমলকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। মেধাবী পরিমল খেয়ে না খেয়ে পরিবারের শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মেধাবী পরিমল নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসিতে এবং সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী উচ্চ মাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালের এইচএসসিতে জিপিএ - ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৮ইং শিক্ষাবর্ষের এমবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্র্তির সুযোগ লাভ করেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাঁর খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়ায় অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। এ অবস্থায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি পড়ে সে সময় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও ইউএনও বজলুর রশীদ এ্বং সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ বিভিন্নজনের আর্থিক সহায়তায় মেডিক্যালে ভর্তি নিশ্চিত হয় পরিমলের। সে সময় প্রকাশিত মানবিক আবেদনধর্মী ওই প্রতিবেদনটি পড়ে অনেকেই পরিমলকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সৈয়দপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন গতকাল মেধাবী পরিমল রায়কে নগদ ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
সংগঠনটির দেয়া আর্থিক সহায়তার অর্থ তুলে দিয়ে সাংবাদিকদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। তিনি সৈয়দপুরের ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশনের এ ধরণের মহতী মানবদরদী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সমাজের আর্থিক সামর্থ্যবান মানুষ ও সংগঠনগুলো পরিমল রায়ের মতো অসহায় মেধাবীদের সাহায্যে এগিয়ে এলে তারাও একদিন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে তারা পরিবার, দেশ ও সমাজের কল্যাণে আসবে। তিনি হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সাধ্য মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের এক মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচের আর্থিক সহায়তা এগিয়ে এলো ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।আজ (রোববার) সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবে সংগঠনের পক্ষে মেধাবী পরিমল রায়কে আর্থিক সহায়তার নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দয়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ উপস্থিত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী পরিমল রায়ের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক, সাংবাদিক আলহাজ্ব নজির হোসেন নজু, গোপাল চন্দ্র রায়, মিজানুর রহামান মিলন, তোফাজ্জল হোসেন লুতু, ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর এর সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম, সংস্কৃতি কর্মী শেখ রোবায়েতেুর রহমান রোবায়েত, প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের দাউদ গ্রামের প্রয়াত জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় পুত্র পরিমল রায়। বিধাব মা ললিতা রাণী রায় ও বড় ভাই নিপুণ চন্দ্র রায় অনেক কষ্ট করে মেধাবী পরিমলকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। মেধাবী পরিমল খেয়ে না খেয়ে পরিবারের শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মেধাবী পরিমল নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসিতে এবং সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী উচ্চ মাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালের এইচএসসিতে জিপিএ - ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৮ইং শিক্ষাবর্ষের এমবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্র্তির সুযোগ লাভ করেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাঁর খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়ায় অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। এ অবস্থায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি পড়ে সে সময় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও ইউএনও বজলুর রশীদ এ্বং সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ বিভিন্নজনের আর্থিক সহায়তায় মেডিক্যালে ভর্তি নিশ্চিত হয় পরিমলের। সে সময় প্রকাশিত মানবিক আবেদনধর্মী ওই প্রতিবেদনটি পড়ে অনেকেই পরিমলকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সৈয়দপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন গতকাল মেধাবী পরিমল রায়কে নগদ ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
সংগঠনটির দেয়া আর্থিক সহায়তার অর্থ তুলে দিয়ে সাংবাদিকদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। তিনি সৈয়দপুরের ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশনের এ ধরণের মহতী মানবদরদী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সমাজের আর্থিক সামর্থ্যবান মানুষ ও সংগঠনগুলো পরিমল রায়ের মতো অসহায় মেধাবীদের সাহায্যে এগিয়ে এলে তারাও একদিন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে তারা পরিবার, দেশ ও সমাজের কল্যাণে আসবে। তিনি হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সাধ্য মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।