ফলোআপ- রংপুর নর্দান মেডিকেলে কর্মবিরতি তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীরা
https://www.obolokon24.com/2018/01/rangpur_3.html
কর্মবিরতি পালনকারীদেরকে বেতনভাতা প্রদান,নতুন অধ্যক্ষকে অবাঞ্চিত করা হয়েছে
মামুনুর রশিদ মেরাজুলঃরংপুর নর্দান (প্রাঃ) মেডিকেল কলেজের অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে। সোমবার রাতে ওই তালা ঝোলানো হয়। অপরদিকে কর্মবিরতি পালনকারীদেরকে গত নভেম্বর মাসের বেতনভাতা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজটির কর্মবিরতি পালনকারীরা এক জরুরী সভায় নতুন অধ্যক্ষকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে।
কর্মবিরতি পালনকারী ও শিক্ষার্থীদের সুত্রে জানা গেছে, রংপুর নর্দান (প্রাঃ) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সরকারী শর্ত পুরণ না থাকায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে। তারপরও কলেজটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে চলতি ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অধ্যক্ষকে সম্মত করাতে ব্যর্থ হলে তাকে পদচ্যুত করে। এর প্রতিবাদে ২৪ ডিসেম্বর থেকে সকল স্তরের শিক্ষক ও চিকিৎসক অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মস্থল ত্যাগসহ কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। গত সোমবার ঘটনাটি পত্রিকায় প্রকাশের পর কর্মবিরতি পালনকারীদের বাগে আনতে সোমবারই মেডিকেলটির পরিচালনা পর্ষদ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ খলিলুর রহমান এবং সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল হাই কে বাদ দিয়ে অপর শিক্ষক ও চিকিৎসকদেরকে নভেম্বর/২০১৭ মাসের বেতনভাতা প্রদান করেছে। তবে বকেয়া বেতন দেয়া হয়নি এবং কেউ কর্মস্থলে যায়নি। এ ব্যাপারে কলেজটির এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষার একাধিক পরীক্ষার্থী নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, আমরা আমাদের আগের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য বললে মালিক পক্ষ নতুন শিক্ষক নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের নানান সমস্যার কারণে সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছি। কিন্তু আজ (গতকাল) তালা ভেঙ্গে নতুন অধ্যক্ষসহ অন্যান্যরা প্রবেশ করেছে। অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান জানান, যারা কর্মবিরতিতে আছি, তাদেরকে বকেয়া বেতন না দিয়ে আমার স্বাক্ষরেই নভেম্বর মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আজ (গতকাল) সভা করে নতুন অধ্যক্ষকে অবাঞ্চিত ঘোষণাসহ আরও কিছু দাবী করেছি। কর্মবিরতিকারী ৩১ জন স্বাক্ষরিত সভার রেজ্যুলেনটি নর্দান মেডিকেল কলেজে প্রেরন করেছে। অপরদিকে নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম কে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, ছাত্ররা হট্টগোল করতে পারে এমন কথা শুনে নজরদারীর জন্য টহল গাড়ী ছিল। বিষয়টি নজরে আছে।