গঙ্গাচড়ায় আবাসন প্রকল্পে শ্রমিকের পরিবর্তে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট, ভেঙে যাচ্ছে অবাদী জমি
https://www.obolokon24.com/2018/01/rangpur_17.html
সফিয়ার কাজল, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ভূমিহীনদের জন্য আবাসন নির্মাণ কাজে মাটি ভরাটে শ্রমিকের পরিবর্তে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। এতে ভেঙে যাচ্ছে আবাদী জমি। উপজেলা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করায় কৃষকরা হতাশ হয়েছে।জানা যায়, উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের আরাজী জয়দেব মৌজায় ভুমিহীনদের আবাসন প্রকল্প নির্মানের জন্য আরাজি জয়দেব গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প-২ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। মর্নেয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী আজাদ প্রকল্পটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের ২১২ টন চাল বরাদ্দ পান। যার সরকারী বিক্রয় মুল্য প্রায় ৮৩ লক্ষ্য টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য সে অনুযায়ী শ্রমিক দিয়ে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন প্রকল্প চেয়ারম্যান। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তদারকীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্ব পালনসহ প্রকল্পের বিল প্রদান করিবেন।
সরজমিনে প্রকল্প এলাকা গিয়ে দেখাগেছে ভিন্ন চিত্র শ্রমিকের পরিবর্তে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট লাভজনক হওয়ায় চেয়ারম্যান নিয়মের তোয়াক্কা না করে দাপটের সহিত কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের কারনে গভীরতার সৃষ্টি হয়ে আবাদযোগ্য জমি গর্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিস্বঃ হচ্ছে আশপাশের অনেক কৃষক। প্রকল্প চেয়ারম্যান প্রভাবশালী সরকার দলীয় হবার কারনে এলাকার নিরিহ লোকজন মুখ খুলতে সাহস পারছেন না বলে জানান।
এলাকার লোকজন জানান, মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক ভাবে অবহিত করলে তিনি গত ১৩ই ডিসেম্বর সরজমিন পরিদর্শন করে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজটি বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু প্রকল্প চেয়ারম্যান মেশিন দিয়ে মাটিভরাট অব্যাহত রাখলে গত ৭ই জানুয়ারী ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের মৌখিক অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মেশিন ব›ধ করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চলে আসার পর পূনরায় মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করলে ১০ই জানুয়ারী’ ভূমির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণ মেশিন দিয়ে প্রকল্প স্থানে মাটি ভরাট বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দেন। জমির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবুল হোসেন, বেলাল, সবুজ মিয়া, রাজা মিয়া, মিল্টন, আলম মিয়া জানান, নদী ভাঙনের কারনে জমিগুলি দিয়ারা রেকর্ডভুক্ত হয়নি, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রেকর্ড ভুক্তির জন্য প্রক্রিয়া চলছে। আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে আমরা নিরুপায় কেন ? অনেক দৌঁড়েছি কোন কুল কিনারা হচ্ছেনা। তাই আইনের অশ্রয় নেওয়ার কথা চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, মেশিন দিয়ে প্রকল্প স্থানে মাটি ভরাটের সরকারী কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি তিনি শুনেছেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নিবেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান ।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ভূমিহীনদের জন্য আবাসন নির্মাণ কাজে মাটি ভরাটে শ্রমিকের পরিবর্তে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। এতে ভেঙে যাচ্ছে আবাদী জমি। উপজেলা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করায় কৃষকরা হতাশ হয়েছে।জানা যায়, উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের আরাজী জয়দেব মৌজায় ভুমিহীনদের আবাসন প্রকল্প নির্মানের জন্য আরাজি জয়দেব গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প-২ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। মর্নেয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী আজাদ প্রকল্পটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের ২১২ টন চাল বরাদ্দ পান। যার সরকারী বিক্রয় মুল্য প্রায় ৮৩ লক্ষ্য টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য সে অনুযায়ী শ্রমিক দিয়ে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন প্রকল্প চেয়ারম্যান। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তদারকীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্ব পালনসহ প্রকল্পের বিল প্রদান করিবেন।
সরজমিনে প্রকল্প এলাকা গিয়ে দেখাগেছে ভিন্ন চিত্র শ্রমিকের পরিবর্তে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট লাভজনক হওয়ায় চেয়ারম্যান নিয়মের তোয়াক্কা না করে দাপটের সহিত কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের কারনে গভীরতার সৃষ্টি হয়ে আবাদযোগ্য জমি গর্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিস্বঃ হচ্ছে আশপাশের অনেক কৃষক। প্রকল্প চেয়ারম্যান প্রভাবশালী সরকার দলীয় হবার কারনে এলাকার নিরিহ লোকজন মুখ খুলতে সাহস পারছেন না বলে জানান।
এলাকার লোকজন জানান, মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক ভাবে অবহিত করলে তিনি গত ১৩ই ডিসেম্বর সরজমিন পরিদর্শন করে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজটি বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু প্রকল্প চেয়ারম্যান মেশিন দিয়ে মাটিভরাট অব্যাহত রাখলে গত ৭ই জানুয়ারী ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের মৌখিক অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মেশিন ব›ধ করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চলে আসার পর পূনরায় মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করলে ১০ই জানুয়ারী’ ভূমির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণ মেশিন দিয়ে প্রকল্প স্থানে মাটি ভরাট বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দেন। জমির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবুল হোসেন, বেলাল, সবুজ মিয়া, রাজা মিয়া, মিল্টন, আলম মিয়া জানান, নদী ভাঙনের কারনে জমিগুলি দিয়ারা রেকর্ডভুক্ত হয়নি, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রেকর্ড ভুক্তির জন্য প্রক্রিয়া চলছে। আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে আমরা নিরুপায় কেন ? অনেক দৌঁড়েছি কোন কুল কিনারা হচ্ছেনা। তাই আইনের অশ্রয় নেওয়ার কথা চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, মেশিন দিয়ে প্রকল্প স্থানে মাটি ভরাটের সরকারী কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি তিনি শুনেছেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নিবেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান ।