নীলফামারীতে ইউপি সদস্য ও দুই গৃহবধু সহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৪ জানুয়ারী॥
নীলফামারীর পল্লীতে ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য ও দুই গৃহবধু সহ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মধ্যে নীলফামারী জেলা সদরের লক্ষ্মিচাপ ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রসন্ন কুমার রায় বর্মন(৬৫),জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের শেখ পাড়া গ্রামের গৃহবধু আমেনা বেগম(৪১) ও সৈয়দপুর উপজেলার কুন্দল গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় মেরিনা আক্তার (২৬)। আজ বুধবার সকালে ও দুপুরে  পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধ্রা করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত সাইবুল বর্মন রায়ের ছেলে ইউপি সদস্য প্রসন্ন কুমার রায় বর্মন। তিনি  আবেগ প্রবন ও অভাবী।  গত নির্বাচনে তাকে এলাকাবাসীরা খরচের অর্থ জোগান দিয়ে ভোটে প্রার্থী করে বিজয়ী করে। ঘরে তার স্ত্রী শান্তিবালা( ৫৫) ও একমাত্র প্রতিবন্ধি ছেলে আপন রায় বর্মন(৩৮) রয়েছে।  তার ধার দেনা অনেক হয়ে যায়। পাওয়ানা দারের চাপ ছিল তার উপর।

ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান সকালে ইউপি সদস্যের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘোড়ারঘাট এলাকার একটি গাছে মাফলাম দিয়ে গলায় ফাঁস লাগালো ঝুলন্ত  অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করেছে।

এদিকে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নেরর শেখ পাড়া গ্রামের নুরুল শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম বিষপানে আতœহত্যা করে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ সৃস্টি হলে স্বামী বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। এই অভিমানে ঘরে থাকা  কিটনাশক পান করে  আমেনা বেগম আতœহত্যা করে। আজ বুধবার দুপুরে তার  নিজ ঘর হতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অপর দিকে স্বামীর সঙ্গে কলহে সৈয়দপুরের কুন্দল গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় গৃহবধু মেরিনা আক্তার  নিজঘরে গলায় দড়ি দিয়ে অঅতœহত্যা করে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মেরিনার সঙ্গে দেড় যুগ আগে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার দগরবাড়ী দেউল গ্রামের আজিজের ছেলে রহমত আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়। শ্বশুড়বাড়ির সঙ্গে জমিজমা নিয়ে কলহে মেরিনা স্বামী সহ সৈয়দপুরে কুন্দলে বাবার বাড়িতে এসে উঠে। তার স্বামী নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের একটি শিল্পকারখানায়  শ্রমিকের চাকুরী করে। ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় স্বামীর পরকিয়া প্রেমের অভিযোগ নিয়ে কলহ সৃস্টি হয়। এ সময় স্বামী তাকে মারধর করে  বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। সকালে মেরিনার মরদেহ নিজ ঘরে ঝুলতে দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করেছে।
এ সব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক পৃথক ভাবে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নীলফামারী থানার ওসি বাবুল আকতার ও সৈয়দপুর থানার  ওসি শাহজাহান পাশা নিশ্চিত করে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7397065961790019399

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item