নীলফামারীতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কর্মশালা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৯ জানুয়ারী॥
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পে বিশেষ ভুমিকা রাখতে নবউদ্যমে মাঠে নেমেছে। পূর্বের সকল সমস্যা ও সমাধানের পথ খুঁজতে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতেও কাজ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে নিয়ে আজ সোমবার দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আয়োজনে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সমন্বয়ক ও প্রধান উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রকল্পের উপ-সচিব রবিউল আলম।
এসময় বক্তব্য দেন কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল খায়ের মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদফতর নীলফামারীর উপ-পরিচালক আব্দুল ফারুক, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) উত্তম কুমার রায় প্রমুখ।
কর্মশালায় নীলফামারী জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত হালনাগাদ, অগ্রগতি ও সমস্যা উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মুজিবুর রহমান।
তিনি জানান, নীলফামারী সদরে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিতব্য আশ্রয়ন প্রকল্পের মাটির কাজ ও ডোমার উপজেলার গোমনাতিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্মশালার সমন্বয়ক রবিউল আলম জানান, ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে ৭৪৫ টি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে প্রকল্পের অর্থায়নে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সবার জন্য বাসস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, সমস্যা চিহিৃত করণ ও সুপারিশ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রকল্পটি স¤পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় যাদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই তাদের প্রকল্পভুক্ত করে পরিবারটিকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত সারা দেশে ২৩ হাজার ২৭৪ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান শামসুদ্দিন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আজাহারুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল হক প্রধান, নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন ভুইয়া ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন দিনব্যাপী এ কর্মশালায়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3825732601362393645

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item