নীলফামারীতে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত
https://www.obolokon24.com/2018/01/nilphamari_2.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৮ জানুয়ারী॥
“কুষ্ঠ আক্রান্ত বালক-বালিকায় আর কোন প্রতিবন্ধিতা
নয় (Zero disability in girls & boys affected by leprosy)” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীতে
৬৫ তম বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও দি লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর আয়োজনে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা কার্যালয়ের এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিত কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটখানা সরকারি কুষ্ঠ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খোরশেদ আলম, সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর কাদের সোহেল প্রমুখ।
এদিকে নীলফামারীর নটখানায় ডেনিস বাংলাদেশ লেপ্রসী মিশন (ডিবিএলএম) বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন টিএলএমআইবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শলোমন সুমন হালদার, কমিউিনিটি প্রোগামের প্রজেক্ট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন দিলু, ডিবিএলএমের আরএমও ডাঃ জুয়েল রোজারিও প্রমুখ।
বক্তারা জানান, কুষ্ঠ একটি জীবাণুঘটিত রোগ। সঠিক চিকিৎসায় কুষ্ঠ রোগ স¤পূর্ণ ভালো হয়। দেশের সরকারি হাসপাতাল ও এনজিও দ্বারা পরিচালিত কুষ্ঠ ক্লিনিকে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই রোগ স¤পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। যদিও এই রোগের টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
২০০০ সালে বিশ্ব কুষ্ঠমুক্ত হয়েছে। ১০ হাজার মানুষের মধ্যে যদি কুষ্ঠ আক্রান্তের হার এক এর নিচে হয় তাহলে তা হুমকি নয় এবং কুষ্ঠ নির্মূল হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনও ব্রাজিল, ভারতসহ কয়েকটি দেশ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়নি।
দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য মতে- দেশে ৩৫ হাজার মানুষ বর্তমানে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত। সরকার দেশে বিনামূল্যে কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দিলেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে-অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিতৎসা কেন্দ্রে যেতে চান না।
বাংলাদেশে অনেক এলাকায় এখনো অনেক মানুষ মনে করে এই রোগটি অভিশাপের ফল। দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ বলছে- এজন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ যে, আন্তর্জাতিক ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করণীয় ও রোগ নিরূপণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবারে বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও অধিক দেশে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়। দিবসটি এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
“কুষ্ঠ আক্রান্ত বালক-বালিকায় আর কোন প্রতিবন্ধিতা
নয় (Zero disability in girls & boys affected by leprosy)” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীতে
৬৫ তম বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও দি লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর আয়োজনে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা কার্যালয়ের এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিত কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটখানা সরকারি কুষ্ঠ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খোরশেদ আলম, সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর কাদের সোহেল প্রমুখ।
এদিকে নীলফামারীর নটখানায় ডেনিস বাংলাদেশ লেপ্রসী মিশন (ডিবিএলএম) বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন টিএলএমআইবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শলোমন সুমন হালদার, কমিউিনিটি প্রোগামের প্রজেক্ট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন দিলু, ডিবিএলএমের আরএমও ডাঃ জুয়েল রোজারিও প্রমুখ।
বক্তারা জানান, কুষ্ঠ একটি জীবাণুঘটিত রোগ। সঠিক চিকিৎসায় কুষ্ঠ রোগ স¤পূর্ণ ভালো হয়। দেশের সরকারি হাসপাতাল ও এনজিও দ্বারা পরিচালিত কুষ্ঠ ক্লিনিকে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই রোগ স¤পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। যদিও এই রোগের টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
২০০০ সালে বিশ্ব কুষ্ঠমুক্ত হয়েছে। ১০ হাজার মানুষের মধ্যে যদি কুষ্ঠ আক্রান্তের হার এক এর নিচে হয় তাহলে তা হুমকি নয় এবং কুষ্ঠ নির্মূল হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনও ব্রাজিল, ভারতসহ কয়েকটি দেশ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়নি।
দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য মতে- দেশে ৩৫ হাজার মানুষ বর্তমানে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত। সরকার দেশে বিনামূল্যে কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দিলেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে-অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিতৎসা কেন্দ্রে যেতে চান না।
বাংলাদেশে অনেক এলাকায় এখনো অনেক মানুষ মনে করে এই রোগটি অভিশাপের ফল। দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ বলছে- এজন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ যে, আন্তর্জাতিক ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করণীয় ও রোগ নিরূপণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবারে বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও অধিক দেশে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়। দিবসটি এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।