সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠনের বিধান নেই: প্রধানমন্ত্রী
https://www.obolokon24.com/2018/01/hasina.html
ডেস্ক-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠনের বিধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ তানভীর ইমামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে, তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম কে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। উল্লেখ্য, গণ আন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মাথায় তাদের পতন ঘটে। ওই সময়ে বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২ বছর ক্ষমতায় থাকে। এসব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিএনপি কোনো দিনই গণতা্ন্িত্রক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এজন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, অমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে, সে জন্য সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না। আমি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম। তার মানে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠনের বিধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ তানভীর ইমামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে, তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম কে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। উল্লেখ্য, গণ আন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মাথায় তাদের পতন ঘটে। ওই সময়ে বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২ বছর ক্ষমতায় থাকে। এসব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিএনপি কোনো দিনই গণতা্ন্িত্রক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এজন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, অমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে, সে জন্য সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না। আমি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম। তার মানে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।