এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ থেকে ৬টি পেঁচা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ
https://www.obolokon24.com/2018/01/dinajpur_80.html
মোঃ আঃ সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
“ভেবে ভেবে ব্যথা পাবো; মনে হবে পৃথিবীর পথে যদি থাকিতাম বেঁচে, দেখিতাম সেই লক্ষ্মী-পেঁচাটির মুখ যারে কোনোদিন ভালো করে দেখি নাই আমি। এমনি লাজুক পাখি, ধূসর ডানা কি তার, কুয়াশার ঢেউয়ে ওঠে নেচে”- রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতায় ফুটে উঠেছে পেঁচা নিয়ে এমন সুন্দর বার্তা। দুনিয়ায় এত কিছু থাকতে পেঁচা কেন? কারন রয়েছে। কারনটি হলো- এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ থেকে ৬টি পেঁচা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরীর এসির কার্ণিশের মধ্যে বাস গড়ে একটি মা লক্ষ্মী পেঁচা। ইতোমধ্যে সে ৬টি ফুটফুটে বাচ্চা ফুটিয়ে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ সেখানে চোখ যায় মেডিকেল কলেজের বয়েজ হোষ্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থী নুর ইসলামের। তিনি মা পেঁচাটিকে ধরতে না পারলেও ফুটফুটে বাচ্চা পেঁচাগুলোকে কার্ণিশ থেকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রেখে পরে বন বিভাগে খবর দেন। ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে বন বিভাগের সদর ফরেষ্টার মোঃ রুহুল আমীন ও বন প্রহরী আব্দুল হাই সেগুলো পরম যত্মে নিয়ে আসেন বন বিভাগে। সেখানে খাদ্য চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনা হয়েছে ৩টি খাঁচা। যার মধ্যে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, পেঁচাগুলোকে সঠিকভাবে লালন-পালনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদেরকে ঠিকভাবে খাবার প্রদান, চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ সুরক্ষার জন্য সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। পেঁচাগুলো যখন উঠতে শিখবে তখন তাদের গহীন অরণ্যে মুক্ত করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের লোকেরা হুতুম পেঁচাকে অপয়া ভেবে নাম পর্যন্ত বিকৃত করেছে। ডাকে ভুতুম পেঁচা নামে। অন্যদিকে লক্ষ্মী পেঁচাকে ভাবে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। সৌভাগ্যের প্রতীকের প্রতি কোণ যতœ-আত্তির লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও অপয়া পেঁচাদের কিন্তু নির্বশ করে ফেলছে। এবার উদ্ধার হওয়া পেঁচার ছবি দেখুন এবং বলুন এরা কি সত্যই কুৎসিত? দুনিয়ার সব শিশুই সুন্দর। সেখানে পেঁচা শিশুও আলাদা না। কাজেই পেঁচাগুলোর সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
“ভেবে ভেবে ব্যথা পাবো; মনে হবে পৃথিবীর পথে যদি থাকিতাম বেঁচে, দেখিতাম সেই লক্ষ্মী-পেঁচাটির মুখ যারে কোনোদিন ভালো করে দেখি নাই আমি। এমনি লাজুক পাখি, ধূসর ডানা কি তার, কুয়াশার ঢেউয়ে ওঠে নেচে”- রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতায় ফুটে উঠেছে পেঁচা নিয়ে এমন সুন্দর বার্তা। দুনিয়ায় এত কিছু থাকতে পেঁচা কেন? কারন রয়েছে। কারনটি হলো- এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ থেকে ৬টি পেঁচা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরীর এসির কার্ণিশের মধ্যে বাস গড়ে একটি মা লক্ষ্মী পেঁচা। ইতোমধ্যে সে ৬টি ফুটফুটে বাচ্চা ফুটিয়ে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ সেখানে চোখ যায় মেডিকেল কলেজের বয়েজ হোষ্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থী নুর ইসলামের। তিনি মা পেঁচাটিকে ধরতে না পারলেও ফুটফুটে বাচ্চা পেঁচাগুলোকে কার্ণিশ থেকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রেখে পরে বন বিভাগে খবর দেন। ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে বন বিভাগের সদর ফরেষ্টার মোঃ রুহুল আমীন ও বন প্রহরী আব্দুল হাই সেগুলো পরম যত্মে নিয়ে আসেন বন বিভাগে। সেখানে খাদ্য চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনা হয়েছে ৩টি খাঁচা। যার মধ্যে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, পেঁচাগুলোকে সঠিকভাবে লালন-পালনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদেরকে ঠিকভাবে খাবার প্রদান, চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ সুরক্ষার জন্য সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। পেঁচাগুলো যখন উঠতে শিখবে তখন তাদের গহীন অরণ্যে মুক্ত করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের লোকেরা হুতুম পেঁচাকে অপয়া ভেবে নাম পর্যন্ত বিকৃত করেছে। ডাকে ভুতুম পেঁচা নামে। অন্যদিকে লক্ষ্মী পেঁচাকে ভাবে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। সৌভাগ্যের প্রতীকের প্রতি কোণ যতœ-আত্তির লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও অপয়া পেঁচাদের কিন্তু নির্বশ করে ফেলছে। এবার উদ্ধার হওয়া পেঁচার ছবি দেখুন এবং বলুন এরা কি সত্যই কুৎসিত? দুনিয়ার সব শিশুই সুন্দর। সেখানে পেঁচা শিশুও আলাদা না। কাজেই পেঁচাগুলোর সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।