ফুলবাড়ীতে মন্ত্রীর খামার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের মতবিনিময় ॥
https://www.obolokon24.com/2018/01/dinajpur_70.html
মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত ২৬ জানুয়ারী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর খামার বাড়িতে পাহারাদারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০টি দেশী-বিদেশী গরু ডাকাতির ঘটনায় জনপ্রতিনিধি সাথে মতবিনিময় করেছেন ফুলবাড়ী থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
গত শুক্রবার গত ২৭জানুয়ারী সন্ধা সাড়ে ৭টায় থানা চত্তরে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলরদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়,গত কয়েক মাসের ব্যাবধানে কাজিহাল ইউনিয়নে ২টি,বেতদিঘী ইউনিয়নে ৮টি আলাদিপুর ইউনিয়নে ৫টি ও চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারী এলুয়াড়ী ইউনিয়নে ৯টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চুরি-ডাকাতি বন্ধে পুলিশ প্রশাষনের কোন প্রকার তৎপরতা না থাকায় ফুলবাড়ী থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে,গত শুক্রবার খোদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ফুলবাড়ীতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তাঁর খামার বাড়ি থেকে ডাকাত দল পাহারাদারদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ট্রাক ভরে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এতে করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ জনগনের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ বোপরোয়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার শুরু করেছে বলে জানা যায়।
মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ নবগ্রাম মাদ্রাসার পিয়ন ও নৈশ প্রহরীসহ তিনজনকে থানায় ধরে আনায় এলুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নবিউল ইসলাম মতবিনিময় সভায় তাদেরকে নির্দোষ দাবী করেন।
মতবিনিময় সভায় ৩নং কাজিহাল ইউপির চেয়ারম্যান মানিক রতন বলেন,বারবার পুলিশকে চুরির ঘটনা বেড়ে যাবার কারনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তৎপর হবার তাগিদ দিলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তিনি আরও বলেন,তার ইউনিয়নে অল্প কিছুদিন আগে ২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটলে তিনি থানার ওসিকে ফোন করায় ওসি বলেন,আমি রাস্তা পাহারা দিব নাকি বাড়ি পাহারা দিব। একইভাবে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন,পুলিশ চাইলেই চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা সম্ভব,কিন্তু পুলিশ সবসময় অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেন।
৪নং বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল কুদ্দুস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,৩০ বছরের লাগাতার এমপি বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা মেনে নেয়া যায়না। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন,গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাদিলাহাট বাজারের পান দোকানদারকে রাতে এস আই মিন্টু থানায় ধরে নিয়ে আসলে,তিনি(চেয়ারম্যান)ওসি সাহেবকে ফোন করেন। কিন্তু ওসি সাহেব ধৃত ব্যক্তির কাছে গাজা পাওয়া গেছে বলে ফোন রেখে দেন। তিনি আরও বলেন,আমি কোন অপরাধীর সুপারিশ করিনা কিন্তু বর্তমানে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ নিরাপরাধ জনসাধারণকে তুলে এনে মাদক মামলায় জড়িয়ে যেভাবে হয়রাণী করছে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে অপরাধীদের উৎসাহিত করছেন বলে চেয়ারম্যান সাহেব দাবী করেন।
ফুলবাড়ী থানার ওসি নাসিম হাবিব বলেন, থানায় জনবল কাঠামো কম যে কারনে সব জায়গায় পৌছানো সম্ভব হয়না। তিনি আরও বলেন,আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সন্দেহ নেই,তবে সবাই চেষ্টা করলে আর একটা চুরিও হয়তো হবেনা।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানা পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্যের ব্যাপারে কোন প্রকার সদউত্তর না দিয়ে চুরির ঘটনা বেড়ে যাবার কারনে চুরি-ডাকাতি বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেন। অপরদিকে গতকাল শনিবার মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবিব এর সাথে কথা বলে তিনি বলেন খামারের কেয়ার টেকার ইমরান বাদী হয়ে ৩৪২/৪৫৭/৩৮২ ধারায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে একটি দূধর্ষ চুরির মামলা দায়ের করেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫জনকে ধরে আনা হয়েছে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত ২৬ জানুয়ারী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর খামার বাড়িতে পাহারাদারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০টি দেশী-বিদেশী গরু ডাকাতির ঘটনায় জনপ্রতিনিধি সাথে মতবিনিময় করেছেন ফুলবাড়ী থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
গত শুক্রবার গত ২৭জানুয়ারী সন্ধা সাড়ে ৭টায় থানা চত্তরে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলরদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়,গত কয়েক মাসের ব্যাবধানে কাজিহাল ইউনিয়নে ২টি,বেতদিঘী ইউনিয়নে ৮টি আলাদিপুর ইউনিয়নে ৫টি ও চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারী এলুয়াড়ী ইউনিয়নে ৯টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চুরি-ডাকাতি বন্ধে পুলিশ প্রশাষনের কোন প্রকার তৎপরতা না থাকায় ফুলবাড়ী থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে,গত শুক্রবার খোদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ফুলবাড়ীতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তাঁর খামার বাড়ি থেকে ডাকাত দল পাহারাদারদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ট্রাক ভরে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এতে করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ জনগনের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ বোপরোয়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার শুরু করেছে বলে জানা যায়।
মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ নবগ্রাম মাদ্রাসার পিয়ন ও নৈশ প্রহরীসহ তিনজনকে থানায় ধরে আনায় এলুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নবিউল ইসলাম মতবিনিময় সভায় তাদেরকে নির্দোষ দাবী করেন।
মতবিনিময় সভায় ৩নং কাজিহাল ইউপির চেয়ারম্যান মানিক রতন বলেন,বারবার পুলিশকে চুরির ঘটনা বেড়ে যাবার কারনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তৎপর হবার তাগিদ দিলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তিনি আরও বলেন,তার ইউনিয়নে অল্প কিছুদিন আগে ২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটলে তিনি থানার ওসিকে ফোন করায় ওসি বলেন,আমি রাস্তা পাহারা দিব নাকি বাড়ি পাহারা দিব। একইভাবে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন,পুলিশ চাইলেই চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা সম্ভব,কিন্তু পুলিশ সবসময় অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেন।
৪নং বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল কুদ্দুস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,৩০ বছরের লাগাতার এমপি বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা মেনে নেয়া যায়না। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন,গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাদিলাহাট বাজারের পান দোকানদারকে রাতে এস আই মিন্টু থানায় ধরে নিয়ে আসলে,তিনি(চেয়ারম্যান)ওসি সাহেবকে ফোন করেন। কিন্তু ওসি সাহেব ধৃত ব্যক্তির কাছে গাজা পাওয়া গেছে বলে ফোন রেখে দেন। তিনি আরও বলেন,আমি কোন অপরাধীর সুপারিশ করিনা কিন্তু বর্তমানে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ নিরাপরাধ জনসাধারণকে তুলে এনে মাদক মামলায় জড়িয়ে যেভাবে হয়রাণী করছে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে অপরাধীদের উৎসাহিত করছেন বলে চেয়ারম্যান সাহেব দাবী করেন।
ফুলবাড়ী থানার ওসি নাসিম হাবিব বলেন, থানায় জনবল কাঠামো কম যে কারনে সব জায়গায় পৌছানো সম্ভব হয়না। তিনি আরও বলেন,আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সন্দেহ নেই,তবে সবাই চেষ্টা করলে আর একটা চুরিও হয়তো হবেনা।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানা পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্যের ব্যাপারে কোন প্রকার সদউত্তর না দিয়ে চুরির ঘটনা বেড়ে যাবার কারনে চুরি-ডাকাতি বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেন। অপরদিকে গতকাল শনিবার মন্ত্রীর খামার-বাড়িতে ডাকাতির বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবিব এর সাথে কথা বলে তিনি বলেন খামারের কেয়ার টেকার ইমরান বাদী হয়ে ৩৪২/৪৫৭/৩৮২ ধারায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে একটি দূধর্ষ চুরির মামলা দায়ের করেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫জনকে ধরে আনা হয়েছে।