দিনাজপুরে নিখোঁজ দুই বোনকে সাত দিন পর ফুলবাড়ী থেকে উদ্ধার, আটক দুই।
https://www.obolokon24.com/2018/01/dinajpur_63.html
দিনাজপুর পুলহাট থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই বোনকে সাত দিন পর ফুলবাড়ী থেকে উদ্ধার করে সন্দেহ ভাজন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজন কে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় দিনাজপুর পুলহাট বিএডিসি গোডাউনের পেছনে কশবা নামক স্থানে ওই গোডাউনের শ্রমিক কামরুল হাসানের বড় মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী কাকলী(১২) ও ছোট মেয়ে আমেনা(৪) ২২ জানুয়ারী বাড়ী থেকে বের হলে তার পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাইনি তার পরিবারের লোকজন। এর পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পয়ে ওইদিন রাতেই কোতোয়ালী থানায় তাদের বাবা কামরুল হাসান একটি জিডি করেন এবং তাদের খোঁজ না পাওয়ায় ২৪ জানুয়ারী তিনি একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং (৯৯)।
পুলিশ সুত্রে জানাজায়, আজ সোমবার ২৯ জানুয়ারী সকালে কামরুল হাসান এর বড় মেয়ে কাকলী হঠাৎ ফোন করে বলে তারা দুইবোন একটি অন্ধকার ঘরে আটক আছে এরপর আর কিছু বলতে পারে না। তৎক্ষনাৎ কামরুল হাসান দিনাজপুর পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ তাদের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির রাজারামপুর চৌধুরীপাড়ার পরিত্যাক্ত সরকারী গোডাউনে বসবাসরত সায়রা বেগমের বাড়ী থেকে সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাকলী (১২) ও আমিনাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বাচ্চাদের অপহরন করে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন কামরুল হাসান।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নওয়াবুদ বলেন নিখোঁজ বাচ্চা গুলো সায়রা বেগমের মোবাইল থেকে তাদের বাবার কাছে মোবাইল করলে সেই নাম্বার ট্রেকিং করে কাকলী ও অমেনাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এ ঘটনায় সায়রাকে ঘটনা স্থানেই পুলিশ জিঙ্গাসাবাদ করলে তিনি বলেন তার বোন ইতি ওই বাচ্চা দুটোকে রেখে গেছেন। তাদেরকে অনেক বার বাড়ীর ঠিকানা জানতে চাইলেও তারা বলেনি তাই আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারি নাই। তার পর থেকে তারা এখানেই আছে।
এদিকে উপজেলার পশ্চিম গৌরীপাড়া গড়ইসলামপুর এন্তাজ আলীর ভাড়া বাড়ীতে বসবাসরত সায়রার বোন ইতির সাথে কথা বললে তিনি জানান, সে ফুলবাড়ী স¦াস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিকে হাসপাতালের সেবিকার বাসায় কাজ করে গত এক সপ্তাহ আগে কাজ শেষে স¦াস্থ্য কেন্দ্রের সামনে এক রিক্সা চালক ওই বাচ্চা দুটোকে কাজে রাখার কথা বলে আমার কাছে রেখে যায়। রিকশা চালক বলেন যে. তারা এতিম তাদের এখানে কেউ নেই। সায়রার বোন ইতি তার বাড়ীতে দু‘দিন রাখার পর বাসায় থাকার জায়গা না থাকায় সে বাচ্চা দুটিকে তার বোনের বাড়ী রাজারামপুর চৌধুরীপাড়ায় রেখে আসেন।
অপরদিকে নিখোঁজ কাকলীর সাথে কথা বলতে গেলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে হতভম্ব হয়ে যায় এবং শুধু কান্না করে।
এ ঘটনায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সায়েরা বেগম ও ইতি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ফুলবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগীতায় আটক করে নিয়ে যায়।