পরিবর্তনের সু বাতাস,সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে দিনাজপুর পুলিশ
https://www.obolokon24.com/2018/01/dinajpur_25.html
মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
পরিবর্তনের সু বাতাস, আতংক আর উৎকন্ঠাকে ছাপিয়ে সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো দিনাজপুর পুলিশ। দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ জন সরকারি চাকুরি প্রার্থীর বাসায় পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এতে আনন্দিত চাকরি প্রার্থীসহ সবাই।
অসংখ্য প্রতিযোগীতাকে পেছনে ফেলে কেউ কেউ জয় করেন নিজের স্বপ্ন। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বিসিএসে চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হন। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের শেষ আনুষ্ঠানিকতা মানে পুলিশ ভেরিভেকিশন নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা কাজ করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই উৎকণ্ঠা এবার আনন্দে পরিণত করল দিনাজপুর জেলা পুলিশ। সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুলিশ।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মালদহ গ্রামের অটোবাইক চালক বাবলু মিয়ার বড় ছেলে সাজু মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এবার বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে সাজু মিয়ার পুরো পরিবারসহ গ্রামের সকলেই খুশি। কিন্তু সকল খুশিকে ছাপিয়ে একটি অজানা আতংক আঁকড়ে ধরে ছিলো বাবলু মিয়ার পুরো পরিবারকে। সেটি পুলিশ ভেরিভেকিশনের আতংক।
সাজু মিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অনেক বন্ধু বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও অজানা কারনে পুলিশ ভেরিভিকেশনে বিরূপ প্রতিবেদন যাওয়ায় কাঙ্খিত চাকুরিতে যোগদান করতে পারেননি। আবার অনেকেই পুলিশকে খুশি করে নিতে হয়েছে ভেরিভিকেশন। তাই কেমন করে পার করবেন এ যাত্রা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সাজু মিয়াসহ পুরো পরিবার। কিন্তু গত সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বিরামপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান ফুলের তোড়া এবং মিস্টি নিয়ে হাজির হন সাজু মিয়ার বাসায়। একজন গর্বিত সন্তানের পিতা মাতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । নিজ হাতে সকলকে খাইয়ে দেন মিষ্টি। পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে ফুল নিয়ে মিষ্টি খাবার সময় সাজু মিয়ার মা সাহেরা বেগম, নানী ময়না বেওয়া আর চাচা এনামুল হকের দু চোখ বেয়ে ঝড়ছিলো অশ্রুধারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান কান্নার কারন জিজ্ঞেস করলে সাজু মিয়ার মা সাহেরা বেগম কাপা কাপা গলায় বলেন,“ বা পুলিশোক তো সবাই ভয় পায়। হারা গরিব মানুষ। হারা তো এনা বেশি ভয়ে আছোনো বা। তোরা জি হামাক মিষ্টি খিলবা আসবেন হারা তো স্বপ্নেও ভাববা পারোছোনা ।” চাচা এনামুল হক জানান, পুলিশ ভেরিভিকেশন কিভাবে পার করবেন এ নিয়ে তাঁরা সকলেই চিন্তিত ছিলেন। তাঁদের সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন পুলিশ ভেরিভিকেশনের কারনে ধুলিসাৎ হয়ে যাবে কি না এনিয়ে সকলেই দিশেহারা ছিলেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) মো. জামিল আকতার জানিয়েছেন শুধু সাজু মিয়ার পরিবার নয় দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুরো জেলায় বিসিএস উত্তীর্ণ ৩৫ জনের পরিবারকে ফুলদিয়ে বরণ করে মিষ্টি উপহার দেয়া হয়েছে।
তথ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিরামপুরের চক হরিদাসপুর গ্রামের আব্দুল খালেক। তাঁর পরিবারও ছিলেন উৎকন্ঠায়। গত রাতে পুলিশ গিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি উপহার দেওয়ায় অভিভূত হয়ে পড়েন পুরো পরিবার। আব্দুল খালেকের বড় ভাই চক হরিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশ ভেরিভিকেশনটি কিভাবে পার করবেন এ নিয়ে তাঁরাও কয়েকদিন থেকে উৎকন্ঠায় ছিলেন। পুলিশে যে পরিবর্তনের সু বাতাস বইছে এ ধরনের উদ্যোগ তার প্রমান ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান জানান, মানুষের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে ভীতির ধারনা দুর করে সহযোগিতার বন্ধন গড়ে তুলতে বর্তমান পুলিশ বাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে পুলিশ নিয়ে জনগণের মধ্যে কোন ধরনের ভীতি থাকবেনা।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, পুলিশ এখন জনবান্ধব সেবা দানকারী কর্মী বাহিনী। মানুষের মধ্যে সেই বার্তা পৌছে দিতেই এ উদ্যোগ।
পরিবর্তনের সু বাতাস, আতংক আর উৎকন্ঠাকে ছাপিয়ে সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো দিনাজপুর পুলিশ। দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ জন সরকারি চাকুরি প্রার্থীর বাসায় পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এতে আনন্দিত চাকরি প্রার্থীসহ সবাই।
অসংখ্য প্রতিযোগীতাকে পেছনে ফেলে কেউ কেউ জয় করেন নিজের স্বপ্ন। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বিসিএসে চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হন। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের শেষ আনুষ্ঠানিকতা মানে পুলিশ ভেরিভেকিশন নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা কাজ করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই উৎকণ্ঠা এবার আনন্দে পরিণত করল দিনাজপুর জেলা পুলিশ। সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুলিশ।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মালদহ গ্রামের অটোবাইক চালক বাবলু মিয়ার বড় ছেলে সাজু মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এবার বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে সাজু মিয়ার পুরো পরিবারসহ গ্রামের সকলেই খুশি। কিন্তু সকল খুশিকে ছাপিয়ে একটি অজানা আতংক আঁকড়ে ধরে ছিলো বাবলু মিয়ার পুরো পরিবারকে। সেটি পুলিশ ভেরিভেকিশনের আতংক।
সাজু মিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অনেক বন্ধু বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও অজানা কারনে পুলিশ ভেরিভিকেশনে বিরূপ প্রতিবেদন যাওয়ায় কাঙ্খিত চাকুরিতে যোগদান করতে পারেননি। আবার অনেকেই পুলিশকে খুশি করে নিতে হয়েছে ভেরিভিকেশন। তাই কেমন করে পার করবেন এ যাত্রা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সাজু মিয়াসহ পুরো পরিবার। কিন্তু গত সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বিরামপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান ফুলের তোড়া এবং মিস্টি নিয়ে হাজির হন সাজু মিয়ার বাসায়। একজন গর্বিত সন্তানের পিতা মাতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । নিজ হাতে সকলকে খাইয়ে দেন মিষ্টি। পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে ফুল নিয়ে মিষ্টি খাবার সময় সাজু মিয়ার মা সাহেরা বেগম, নানী ময়না বেওয়া আর চাচা এনামুল হকের দু চোখ বেয়ে ঝড়ছিলো অশ্রুধারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান কান্নার কারন জিজ্ঞেস করলে সাজু মিয়ার মা সাহেরা বেগম কাপা কাপা গলায় বলেন,“ বা পুলিশোক তো সবাই ভয় পায়। হারা গরিব মানুষ। হারা তো এনা বেশি ভয়ে আছোনো বা। তোরা জি হামাক মিষ্টি খিলবা আসবেন হারা তো স্বপ্নেও ভাববা পারোছোনা ।” চাচা এনামুল হক জানান, পুলিশ ভেরিভিকেশন কিভাবে পার করবেন এ নিয়ে তাঁরা সকলেই চিন্তিত ছিলেন। তাঁদের সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন পুলিশ ভেরিভিকেশনের কারনে ধুলিসাৎ হয়ে যাবে কি না এনিয়ে সকলেই দিশেহারা ছিলেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) মো. জামিল আকতার জানিয়েছেন শুধু সাজু মিয়ার পরিবার নয় দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুরো জেলায় বিসিএস উত্তীর্ণ ৩৫ জনের পরিবারকে ফুলদিয়ে বরণ করে মিষ্টি উপহার দেয়া হয়েছে।
তথ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিরামপুরের চক হরিদাসপুর গ্রামের আব্দুল খালেক। তাঁর পরিবারও ছিলেন উৎকন্ঠায়। গত রাতে পুলিশ গিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি উপহার দেওয়ায় অভিভূত হয়ে পড়েন পুরো পরিবার। আব্দুল খালেকের বড় ভাই চক হরিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশ ভেরিভিকেশনটি কিভাবে পার করবেন এ নিয়ে তাঁরাও কয়েকদিন থেকে উৎকন্ঠায় ছিলেন। পুলিশে যে পরিবর্তনের সু বাতাস বইছে এ ধরনের উদ্যোগ তার প্রমান ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমান জানান, মানুষের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে ভীতির ধারনা দুর করে সহযোগিতার বন্ধন গড়ে তুলতে বর্তমান পুলিশ বাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে পুলিশ নিয়ে জনগণের মধ্যে কোন ধরনের ভীতি থাকবেনা।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, পুলিশ এখন জনবান্ধব সেবা দানকারী কর্মী বাহিনী। মানুষের মধ্যে সেই বার্তা পৌছে দিতেই এ উদ্যোগ।