রংপুরে পরকীয়ার জের ধরে ভাড়াটিয়া শফিকুলকে হত্যা-নাকি-আত্বহত্যা?

রংপুর অফিস :

অবৈধ সম্পকের জের ধরে ভাড়াটিয়া শফিকুলকে
রংপুর মেডিকেল হাসফাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারি  ওটি ইনচার্জ আজিজ  পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া প্রেমিক মীনার স্বামী  শফিকুল ইসলাম (৪০)চতরা বড়বাড়ি রাজারহাট, কুড়িগ্রাম গত শুত্র“বার রাত ১টায় হত্যা করে আত্বহত্যা বলে চালিয়ে দেয় ।। জানা গেছে টামিনাল ডাংগীরপাড় এলাকায় আজিজের বাসায় ১ বছর ধরে ভাড়া থাকত মীনা ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম । এরেই মধ্যে শফিুকুলের স্ত্রী মীনার সাথে অবৈধ সম্পক গড়ে তোলেন আজিজ এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে আজিজের তাথে তার সহধমীনির ঝগড়া বাধে । এদিকে গত শুত্র“বার রাতে শফিকুল ঘটনাটি জানতে পারলে তার স্ত্রীকে এসিড দিয়ে মারার হুমকিদেয় । এ ঘটনা মীনা তার পরকীয়া প্রেমিক আজিজকে ফোন করে জানায়।ওটি আজিজ এসে   মানী সহ রাত ১২টায় দিকে শফিকুলকে বে-ধরক মারপিট করে গলায় মাফলার পেচায় হত্যা করে । পরে আজিজের পরিকল্পনা অনুয়াযি রাত ১টার দিকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায় । পরে ঘটনাটি আত্বহত্যা বলে শফিকুলের লাশটি চালিয়ে দেয় । এ ঘটনায়  মীনা গত রোববার সাংবাদিকদের জানান যে তার স্বামী ২ মাস আগে তাকে এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেয়ার    হুমকি দেয় তিনি আরো বলেন গত শুত্র“বার রাতে তার বাসায় শফিকুল এসে দরজা খুলতে  বলে তিনি ঘরের দরজা খুলেনটি বলে জানান ।পরে দরজা খুলে দেখেন যে তার স্বামী জানালায় গলায় মাফলায় পেচিয়ে আত্বহত্যা করেন ।
।অবৈধ সম্পক বিষয়ে তিনি বলেন বাসার মালিক যেহেতু আজিজ তার যাতায়াত ছিল কিন্তু পরকীয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন ওইদিন রাতে আজিজের কলেজ পড়–য়া ছেলে রাসেল বাসায় ছিল এবং লাশটি জানালা থেকে রাসেল নামায় রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায় ।
পরের দিন সকালে লাশটি পোষ্টমডেম করা হয় ।পরে মৃত শফিকুলের পরিবারের লোকেরা আজিজ খবর দিলে তারা এসে লাশটি রাজারহাট কুড়িগ্রাম চতরা বড়বাড়ি বাসভবনে নিয়ে যান । এ ঘটনার পর থেকে আজিজ পলাতক রয়েছে  । তাই এলাকাবাসির মধ্রে সন্বহের দানা বেধেছে ।
এলাকাবাসি সাংবাদিকদের জানান যে, মৃত শফিকুলে স্ত্রী মীনার সাথে  আজিজের ডাংগীরপাড় এলাকায় নারী ঘটিত ব্যাপারে বেশ কয়েকবার শালিশ হয়েছে । যার স্বাক্ষী আজিজের প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম এ ঘটনার পর লাইজু বেগম তার স্বামী আজিজের সাথে সমস্ত সস্পক ছিন্ন করে বলে জানা গেছে ।

আজিজ নিজের  বাসায় না এসে রাত্রি বেলায় ভাড়াটিয়ার মীনার বাসায় আসে কেন বলে জানান লাইজু ।অপরদিকে আজিজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি রংপুরের বাইরে আছি । ঘটনার পরদিন থেকে রংপুর মেডিকেল হাসফাতালে ডিউটি করতেছেনা আজিজ ।এদিকে রংপুর কোতয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া বলেন জানান এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি আসলে ব্যবস্থা নিব ।