প্রত্যাবর্তন দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ
https://www.obolokon24.com/2018/01/bangabandhu.html
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে জাতি। জানাচ্ছে তার প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা। বুধবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। ওই সময় তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে গিয়ে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন।যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও।উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর শুরু হয় বর্বর হামলা।পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের জেল থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে দেশে ফেরেন বাঙালির অবিসংবাদিত এ নেতা।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আসুন সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীরা বন্দুকের জোরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বহু ত্যাগ তীতিক্ষার পর আবারো সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে।