কিশোরগঞ্জে দফায় দফায় বাড়ছে ধান, বীজের দাম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক
https://www.obolokon24.com/2017/12/rice_14.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কয়েকদিনের ব্যবধানে ধান বীজের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ঠরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির হাইব্রিড বীজ কেনার পথ সুগম করে দিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্ঠি করেছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বীজের দোকানগুলোতে ও কৃষকদের অভিযোগে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে এসি আই ১ও২ কেজি প্রতি ২৩৫ টাকা স্থলে ৩৫০ টাকা, সিনজেনটার ১২০৫ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, বায়ারের ১২০৪ কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেজ কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৪৭০ টাকা, রাজ কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪৮০ টাকা, রাজ কুমার কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, সুপার কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, হীরা (২) কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৪৮০ টাকা, আগমনি কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও ইস্পাহানি কেজি প্রতি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। হঠাৎ করে এমন দাম বৃদ্ধির কারনে কৃষকরা চার প্যাকেটের জায়গায় দুই থেকে তিন প্যাকেট ক্রয় করছেন। যার ফলে এবার চলতি মৌসুমের শুরুতেই উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা খাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে ধান আবাদ হবে বলে আশঙ্খা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে গোটা দেশে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বীজ ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, কৃষি কর্মকর্তা ও ব্লক সুপারভাইজারেরা কোন রকম ঝঁকি নিতে চাচ্ছেননা। কারন গতবার ২৮ জাতের ধানে শীষ শুকানো রোগ দেখা দেওয়ায় তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সে কারনে তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড বীজ কিনতে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক লালবাবু বলেন, আমি সপ্তাহ খানেক আগে এসি আই –(২) জাতের এককেজি বীজ কিনেছিলাম ২৩৫ টাকায়। পরে আরো বীজ কিনতে গিয়ে দেখি একই বীজ ৩৫০ টাকা কেজি দাম। বাধ্য হয়েই আরো দুই কেজি বীজ কিনেছি।
সদর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজীব গ্রামের কৃষানী জোসনা বেগম বলেন, আমি এবারে দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করবো। আমার স্বামী মারা যাওয়ায় সন্তানদের সাথে নিয়ে অনেক কষ্ঠ করে চাষাবাদ করি। হাতে টাকা থাকায় আগে বীজ কিনতে পারিনি। আমি হীরা (২) কিনতে গিয়ে দাম কেজি প্রতি দোকানদাররা ৪৮০ টাকা দাম চাওয়ায় ৩০০ টাকা দিয়ে ইসপাহানি জাতের বীজ কিনেছি।
এসি আই কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার পারভেজ হোসেন বলেন, কৃষক যাতে করে সঠিক দামে বীজ কিনতে পারে সেজন্য প্যাকেটের গায়ে মূল্য নিধার্রন করা রয়েছে। তারপর যদি কৃষকরা রশিদের বিনিময়ে বীজ ক্রয় করে সেক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব পেত এবং আমরাও ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারতাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্লক সুপার ভাইজারদের নির্দেশ দেয়া আছে। কৃষকরা ডিলারদের কাছ থেকে বীজ কেনার আগে যাতে রশিদ নিয়ে বীজ ক্রয় করে। আমরা সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। যতি কোন কৃষক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে সাথে সাথে দোকানদার কিংবা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কয়েকদিনের ব্যবধানে ধান বীজের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ঠরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির হাইব্রিড বীজ কেনার পথ সুগম করে দিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্ঠি করেছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বীজের দোকানগুলোতে ও কৃষকদের অভিযোগে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে এসি আই ১ও২ কেজি প্রতি ২৩৫ টাকা স্থলে ৩৫০ টাকা, সিনজেনটার ১২০৫ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, বায়ারের ১২০৪ কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেজ কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৪৭০ টাকা, রাজ কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪৮০ টাকা, রাজ কুমার কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা, সুপার কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, হীরা (২) কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৪৮০ টাকা, আগমনি কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও ইস্পাহানি কেজি প্রতি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। হঠাৎ করে এমন দাম বৃদ্ধির কারনে কৃষকরা চার প্যাকেটের জায়গায় দুই থেকে তিন প্যাকেট ক্রয় করছেন। যার ফলে এবার চলতি মৌসুমের শুরুতেই উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা খাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে ধান আবাদ হবে বলে আশঙ্খা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে গোটা দেশে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বীজ ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, কৃষি কর্মকর্তা ও ব্লক সুপারভাইজারেরা কোন রকম ঝঁকি নিতে চাচ্ছেননা। কারন গতবার ২৮ জাতের ধানে শীষ শুকানো রোগ দেখা দেওয়ায় তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সে কারনে তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড বীজ কিনতে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক লালবাবু বলেন, আমি সপ্তাহ খানেক আগে এসি আই –(২) জাতের এককেজি বীজ কিনেছিলাম ২৩৫ টাকায়। পরে আরো বীজ কিনতে গিয়ে দেখি একই বীজ ৩৫০ টাকা কেজি দাম। বাধ্য হয়েই আরো দুই কেজি বীজ কিনেছি।
সদর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজীব গ্রামের কৃষানী জোসনা বেগম বলেন, আমি এবারে দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করবো। আমার স্বামী মারা যাওয়ায় সন্তানদের সাথে নিয়ে অনেক কষ্ঠ করে চাষাবাদ করি। হাতে টাকা থাকায় আগে বীজ কিনতে পারিনি। আমি হীরা (২) কিনতে গিয়ে দাম কেজি প্রতি দোকানদাররা ৪৮০ টাকা দাম চাওয়ায় ৩০০ টাকা দিয়ে ইসপাহানি জাতের বীজ কিনেছি।
এসি আই কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার পারভেজ হোসেন বলেন, কৃষক যাতে করে সঠিক দামে বীজ কিনতে পারে সেজন্য প্যাকেটের গায়ে মূল্য নিধার্রন করা রয়েছে। তারপর যদি কৃষকরা রশিদের বিনিময়ে বীজ ক্রয় করে সেক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব পেত এবং আমরাও ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারতাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্লক সুপার ভাইজারদের নির্দেশ দেয়া আছে। কৃষকরা ডিলারদের কাছ থেকে বীজ কেনার আগে যাতে রশিদ নিয়ে বীজ ক্রয় করে। আমরা সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। যতি কোন কৃষক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে সাথে সাথে দোকানদার কিংবা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।