বর্নাঢ্য আয়োজনে নীলফামারী পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
https://www.obolokon24.com/2017/12/nilphamari_14.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ॥
হানাদার মুক্ত দিবসে নীলফামারীতে বিজয় র্যালী হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই দিনে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার পাক সেনাদের পরাজিত করে ছয় নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারীকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিল। হানাদার মুক্তের বিজয় উল্লাসের স্মৃতিকে স্মরন করে আজ বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নীলফামারী পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে সকালে ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স চত্ত্বর থেকে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সহ বিজয় র্যালী বের করা হয়। বিজয় র্যালীতে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য সহ স্বাধীনতা স্বপক্ষের শতশত মানুষজন অংশ নেয়।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পাতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে বিজয় র্যালীতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ফজলুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন ভুইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা আহবায়ক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুর ইসলাম রিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বুলবুল,শওকত আলী টুলটুল প্রমুখ।
বিজয় র্যালী শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দোয়া মাহফিল ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ যে, ১৯৭১ সালে ৬ থানা নিয়ে নীলফামারী ছিল একটি মহকুমা শহর। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানকার অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান থেকে খান সেনারা তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি দখল করে নিয়েছিল।
পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের মুজিব ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেওয়ার পর ৬ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমনের মাধ্যমে পরাস্ত করতে শুরু করে।
এরপর শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। নীলফামারী জেলা শহরকে মুক্ত করতে চারদিক দিয়ে আক্রমন শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর মধ্য রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে খানসেনারা পিছু হটে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকে এবং তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি হানাদারমুক্ত করা হয়। সেদিন সকালে স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিল। #
হানাদার মুক্ত দিবসে নীলফামারীতে বিজয় র্যালী হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই দিনে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার পাক সেনাদের পরাজিত করে ছয় নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারীকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিল। হানাদার মুক্তের বিজয় উল্লাসের স্মৃতিকে স্মরন করে আজ বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নীলফামারী পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে সকালে ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স চত্ত্বর থেকে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সহ বিজয় র্যালী বের করা হয়। বিজয় র্যালীতে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য সহ স্বাধীনতা স্বপক্ষের শতশত মানুষজন অংশ নেয়।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পাতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে বিজয় র্যালীতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ফজলুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন ভুইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা আহবায়ক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুর ইসলাম রিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বুলবুল,শওকত আলী টুলটুল প্রমুখ।
বিজয় র্যালী শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দোয়া মাহফিল ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ যে, ১৯৭১ সালে ৬ থানা নিয়ে নীলফামারী ছিল একটি মহকুমা শহর। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানকার অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান থেকে খান সেনারা তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি দখল করে নিয়েছিল।
পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের মুজিব ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেওয়ার পর ৬ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমনের মাধ্যমে পরাস্ত করতে শুরু করে।
এরপর শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। নীলফামারী জেলা শহরকে মুক্ত করতে চারদিক দিয়ে আক্রমন শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর মধ্য রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে খানসেনারা পিছু হটে সৈয়দপুর ক্যান্টনম্যান্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকে এবং তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শহরটি হানাদারমুক্ত করা হয়। সেদিন সকালে স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিল। #