কিশোরগঞ্জে যৌতুক ঝড়ে তছনছ দিলরুবার সংসার
https://www.obolokon24.com/2017/12/kisargang_15.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যৌতুক ঝড়ে তছনছ হতে চলেছে দিলরুবা আক্তার (২৫) নামে এক পুত্র সন্তানের জননী গৃহবধুর সংসার । যৌতুক দিতে না পেরে স্বামী ও শাশুরীর নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধু সংসার টিকানোর জন্য উপায়ন্তর না পেয়ে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মিস পিটিশন মামলা নম্বর ৪৪৪
মামলার এজাহার সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল চাঁদখানা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে সাব্বির আহম্মেদ (৩৫) এর সাথে ধুমধাম করে বিয়ে হয় রণচন্ডি ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের মেয়ে দিলরুবা আক্তারের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। সন্তান জ¤েœর ৬ মাস পর থেকে স্বামী সাব্বির আহম্মেদ, শশুর সেকেন্দার আলী, ও শাশুরী ছাদেকা পারভীন দিলরুবাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দিলরুবা তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক বাবদ এক লাখ টাকা এনে দেন। এক লাখ টাকা পাওয়ার পর কিছু দিন বন্ধ থাকে নির্যাতন। কয়েকমাস পর আবারো যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয় গৃহবধু দিলরুবার উপর। দিলরুবা আর যৌতুক আনতে পারবেনা বলে জানিয়ে দিলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খরগ।
গৃহবধু দিলরুবা আক্তার বলেন, আমার মত হতভাগা এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমি আমার স্বামী, শাশুরী, ও শশুরের কথামতো আমার বাবার কাছ থেকে আমার স্বামীকে দুই দফায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি শুধু সংসার টিকানোর জন্য। কিন্তু আমার স্বামী বারবার আমার বাবার কাছ থেকে আমাকে যৌতুক নিয়ে আসতে বলে । তাদের নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়েছি। তবুও সন্তানের পানে চেয়ে আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করেছি।
দিলরুবার বাবা দবির উদ্দিন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সম্প্রতি আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য ওই পাষন্ডরা কঠিন ভাবে মারডাং করে। আমার মেয়ে তাদের অত্যাচার সইতে না পেরে অঙ্গান হয়ে পড়লে তারা আমার মেয়েকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি প্রতিবেশির কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এনে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর আমার মেয়ে সুস্থ হয়। পরে আমি আমার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর জন্য তাদের হাতেপায়ে ধরেছি কিন্তু তারা আমার কাছে আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ।
দিলরুবার স্বামী সাব্বির আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে সে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যৌতুক ঝড়ে তছনছ হতে চলেছে দিলরুবা আক্তার (২৫) নামে এক পুত্র সন্তানের জননী গৃহবধুর সংসার । যৌতুক দিতে না পেরে স্বামী ও শাশুরীর নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধু সংসার টিকানোর জন্য উপায়ন্তর না পেয়ে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মিস পিটিশন মামলা নম্বর ৪৪৪
মামলার এজাহার সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল চাঁদখানা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে সাব্বির আহম্মেদ (৩৫) এর সাথে ধুমধাম করে বিয়ে হয় রণচন্ডি ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের মেয়ে দিলরুবা আক্তারের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। সন্তান জ¤েœর ৬ মাস পর থেকে স্বামী সাব্বির আহম্মেদ, শশুর সেকেন্দার আলী, ও শাশুরী ছাদেকা পারভীন দিলরুবাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দিলরুবা তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক বাবদ এক লাখ টাকা এনে দেন। এক লাখ টাকা পাওয়ার পর কিছু দিন বন্ধ থাকে নির্যাতন। কয়েকমাস পর আবারো যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয় গৃহবধু দিলরুবার উপর। দিলরুবা আর যৌতুক আনতে পারবেনা বলে জানিয়ে দিলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খরগ।
গৃহবধু দিলরুবা আক্তার বলেন, আমার মত হতভাগা এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমি আমার স্বামী, শাশুরী, ও শশুরের কথামতো আমার বাবার কাছ থেকে আমার স্বামীকে দুই দফায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি শুধু সংসার টিকানোর জন্য। কিন্তু আমার স্বামী বারবার আমার বাবার কাছ থেকে আমাকে যৌতুক নিয়ে আসতে বলে । তাদের নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়েছি। তবুও সন্তানের পানে চেয়ে আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করেছি।
দিলরুবার বাবা দবির উদ্দিন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সম্প্রতি আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য ওই পাষন্ডরা কঠিন ভাবে মারডাং করে। আমার মেয়ে তাদের অত্যাচার সইতে না পেরে অঙ্গান হয়ে পড়লে তারা আমার মেয়েকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি প্রতিবেশির কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এনে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর আমার মেয়ে সুস্থ হয়। পরে আমি আমার মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর জন্য তাদের হাতেপায়ে ধরেছি কিন্তু তারা আমার কাছে আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ।
দিলরুবার স্বামী সাব্বির আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে সে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।