কিশোরগঞ্জে অফিস প্রধানগন সরকারী নিয়ম মেনে অফিস না করায় সেবা প্রত্যাশিদের ভোগান্তি
https://www.obolokon24.com/2017/12/kisargang.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
ভিক্ষুকমুক্ত ও মাদকমুক্ত উপজেলা ঘোষনার অজুহাতকে পুঁজি করে সরকারী নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করছেননা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। সরকারী সময় না মেনে তারা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে আসায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অফিসগুলোতে আসা সেবা প্রত্যাশি লোকজন।
সেবা প্রত্যাশিদের অভিযোগ সুত্রে গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা প্রশাসনের অধীনস্ত ১৭ টি সরকারী দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী অফিস গুলোতে সকাল ৯ টায় কর্মকর্তাদের আসার কথা থাকলে কোন কর্মকর্তাই সকাল ১০টা থেকে ১১টার আগে অফিসে আসেনা। আবার সকাল ১০ পরে অফিসে আসলেও চলে যান ২ টা থেকে ৩ টার আগে। এর মাঝখানে রয়েছে দুপুরের খাবার ও নামাজের বিরতি। ফলে সেবা প্রত্যাশিগন অফিসে এসে অফিসারদের না পেয়ে ফিরে যান। বিশেষ করে রোবাবার প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় কর্মকর্তারা সচরাচর দেড়ি করে আসেন। আর বৃহস্পতিবার শেষদিন হওয়ায় দুপুরের পর অফিস কার্য়ত ফাঁকা হয়ে পড়ে।রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে অফিসে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান। এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অফিসার, নির্বাচন অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা,মৎস্য কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন অফিসার , প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ট্রেজারী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সকাল দশটা পর্যন্ত কোন কর্মকতা তাদের দপ্তরে আসেননি। এদিকে সকাল দশটার আরো পরে গিয়ে উপজেলা আনছার ভিডিপি অফিসে দেখা যায় আনছার ভিডিপি অফিসে তালা ঝুলছে। জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অফিসে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবা প্রত্যাশি লোকজন এসে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
আনছার ভিডিপি অফিসে আসা এ সেবা প্রত্যাশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাবা আমি এই অফিসের অধীনে ইউনিয়ন আনছার কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত ছিলাম। বয়স বেড়ে যাওয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমি কয়দিন যাবৎ আনছার ভিডিপি কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে আসি কিন্তু তার দেখা পাইনা। অফিসে আপনার কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীলফামারীতে আনছার ভিডিপির প্রশিক্ষন হওয়ায় কথা সেখানে আমার ছেলের নাম দেওয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা দিয়েছি। তাই প্রতিদিন আসি কিন্তু তার দেখা পাইনা।
উপজেলা ট্রেজারী অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ মানুষ সেখানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। আপনি এখানে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা আমি প্রাইমারির শিক্ষক ছিলাম। বছর চারেক আগে অবসরগ্রহন করেছি। এখানে কেন এসেছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার অবসরজনিত একটু কাজ আছে কিন্তু গত তিন দিন থেকে ঘুরে অফিসারের দেখা পাচ্ছিনা।
এ ব্যাপারে ট্রেজারী অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল মালেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্যার এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। স্যার এখানে সপ্তাহে দুইদিন বসেন। তাই একটি সমস্যা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী কর্মকর্তাদের সরকারী কোয়াটারে থাকার নিয়ম কিন্তু অনেক কর্মকর্তা কোয়াটারে থাকেননা তাই ঠিক সময়ে অফিসে আসতে পারেননা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, কিছু কিছু সরকারী দপ্তর উপজেলা প্রশাসনের অধীনে থাকলেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করে জেলা কর্মকর্তারা। যাহোক যাতে করে কোন অফিসার দেড়িতে আসতে সে বিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ভিক্ষুকমুক্ত ও মাদকমুক্ত উপজেলা ঘোষনার অজুহাতকে পুঁজি করে সরকারী নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করছেননা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। সরকারী সময় না মেনে তারা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে আসায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অফিসগুলোতে আসা সেবা প্রত্যাশি লোকজন।
সেবা প্রত্যাশিদের অভিযোগ সুত্রে গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা প্রশাসনের অধীনস্ত ১৭ টি সরকারী দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী অফিস গুলোতে সকাল ৯ টায় কর্মকর্তাদের আসার কথা থাকলে কোন কর্মকর্তাই সকাল ১০টা থেকে ১১টার আগে অফিসে আসেনা। আবার সকাল ১০ পরে অফিসে আসলেও চলে যান ২ টা থেকে ৩ টার আগে। এর মাঝখানে রয়েছে দুপুরের খাবার ও নামাজের বিরতি। ফলে সেবা প্রত্যাশিগন অফিসে এসে অফিসারদের না পেয়ে ফিরে যান। বিশেষ করে রোবাবার প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় কর্মকর্তারা সচরাচর দেড়ি করে আসেন। আর বৃহস্পতিবার শেষদিন হওয়ায় দুপুরের পর অফিস কার্য়ত ফাঁকা হয়ে পড়ে।রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে অফিসে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান। এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অফিসার, নির্বাচন অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা,মৎস্য কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন অফিসার , প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ট্রেজারী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সকাল দশটা পর্যন্ত কোন কর্মকতা তাদের দপ্তরে আসেননি। এদিকে সকাল দশটার আরো পরে গিয়ে উপজেলা আনছার ভিডিপি অফিসে দেখা যায় আনছার ভিডিপি অফিসে তালা ঝুলছে। জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অফিসে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবা প্রত্যাশি লোকজন এসে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
আনছার ভিডিপি অফিসে আসা এ সেবা প্রত্যাশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাবা আমি এই অফিসের অধীনে ইউনিয়ন আনছার কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত ছিলাম। বয়স বেড়ে যাওয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমি কয়দিন যাবৎ আনছার ভিডিপি কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে আসি কিন্তু তার দেখা পাইনা। অফিসে আপনার কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীলফামারীতে আনছার ভিডিপির প্রশিক্ষন হওয়ায় কথা সেখানে আমার ছেলের নাম দেওয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা দিয়েছি। তাই প্রতিদিন আসি কিন্তু তার দেখা পাইনা।
উপজেলা ট্রেজারী অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ মানুষ সেখানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। আপনি এখানে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা আমি প্রাইমারির শিক্ষক ছিলাম। বছর চারেক আগে অবসরগ্রহন করেছি। এখানে কেন এসেছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার অবসরজনিত একটু কাজ আছে কিন্তু গত তিন দিন থেকে ঘুরে অফিসারের দেখা পাচ্ছিনা।
এ ব্যাপারে ট্রেজারী অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল মালেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্যার এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। স্যার এখানে সপ্তাহে দুইদিন বসেন। তাই একটি সমস্যা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী কর্মকর্তাদের সরকারী কোয়াটারে থাকার নিয়ম কিন্তু অনেক কর্মকর্তা কোয়াটারে থাকেননা তাই ঠিক সময়ে অফিসে আসতে পারেননা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, কিছু কিছু সরকারী দপ্তর উপজেলা প্রশাসনের অধীনে থাকলেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করে জেলা কর্মকর্তারা। যাহোক যাতে করে কোন অফিসার দেড়িতে আসতে সে বিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।