কিশোরীগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউপি উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ
https://www.obolokon24.com/2017/12/election_28.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৮ ডিসেম্বর॥
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মতোই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও উৎসব মুখোর পরিবেশে আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক (আনারস)। তিনি ভোট পান ৪ হাজার ৭৭৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন জাপার লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী জোনাব আলী। তিনি ভোট পান ৩ হাজার ২৮৪টি।
সকাল ৮টা হতে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন ও সন্ধ্যায় ভোট গগনা শেষে উক্ত নির্বাচনের রির্টানীং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোয়ার হোসেন উপজেলা পরিষদের হল রুমে বেসরকারী ভাবে উক্ত ফলাফল ঘোষনা করে। দলীয় প্রতিকের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতায় ছিলেন মোট আটজন প্রার্থী।
রিটানীং কর্মকর্তা জানান, উক্ত ইউনিয়নের ‘নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি কেন্দ্রে ৫৩টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৮ জন। ভোটের হার শতকরা ৭৮ ভাগ।
তিনি জানান, চলতি বছরের ২২জুন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন মৃত্যুবরণ করায় পদটি শুন্য হয়েছিল। তফসিল ঘোষনার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক মরহুম চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে।
অপর পরজিত ৬ জন প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব সরকার (দুই পাতা)। তার ভোট সংখ্যা দুই হাজার ৮৬০টি। মোজাহার হোসেন (নৌকা) তার ভোট সংখ্যা দুই হাজার ৫৩টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকতারুল ইসলাম (চশমা)। তার ভোট সংখ্যা এক হাজার ৫৩৪টি। জিকরুল হক (ধানের শীষ)। তার ভোট সংখ্যা ৩২৮টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজলী বেগম(ঘোড়া) ভোট পান ৭১ এবং জুলফিকার আলী জুয়েল (মোটরসাইকেল) ভোট পায় ২০ টি।
এদিকে নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোজাহার হোসেন পরাজয়ের বিষয়ে জানা যায় সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার (দুই পাতা), ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে নৌকার ভোট ভাগ হয়ে যায়। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী হলে বিজয় আসতে পারতো। তাছাড়া ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন মরহুম চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে হওয়ায় ভোটারদের সহানুভুতি পেয়েছে।
অপরদিকে ভোট চলাকালিন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা হয়। ভোট প্রদানের পর অনুভুতি প্রকাশ করে দলিরাম গ্রামের প্রতিমা রাণী মাল্যবাদ (৪৮) বলেন, ‘শান্তিত ভোট দিনু বাহে।’ ইউনিয়নের শরিফাবাদ দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তিনি এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে ভোট প্রদান করে বেড়িয়ে আসেন।
এসময় তার অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন,‘ শান্তিত ভোট দিনু বাহে। আগোত ভোট দিবার আসি মেলা ভয় পাইছিনো। এলাতো আর ভয় লাগে না। মুই আসিয়া দেখেছ মেলা পুলিশ, আনসার বিডিআর (বিজিবি) আছে। কেন্দ্রত কোন হৈ হুল্লা নাই। মানষি আসি যার যার মতন ভোট দিয়া চলি গেইল।’
একই কেন্দ্রের ভোটার আব্দুল হাই (৩৫) বলেন, ‘আমি সকালে এসে ভোট প্রদান করেছি। কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।’
দলিরাম উত্তরপরড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শরিফুল ইসলাম (৫০) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ভোট প্রদান করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রের বাইরে। এসময় তিনি বলেন, ‘এইবার শান্তির ভোট হইল বাহে। ভোট শুরু থাকি এলাকাত কোন ঝামেলা নাই। মাইষি শান্তি মতন আসি ভোট দিবার পারিল।’
গণেশ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট প্রদান করে কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসেন ভোটার অন্নদা প্রসাদ রায় (৫৫)। তিনি বলেন,‘ভোট আসিলে এলাকাত হুর হাঙ্গামা আর আতঙ্ক থাকে, এইবার নাই। মাইনষি শান্তি মতন ভোট দিলেক।’
ভোটার আতারুল ইসলাম (৪৫) বলেন,‘এইবারের ভোটোত টাকা-পাইসার কোন কারবার নাই। মাইনষি নিজ ইচ্ছামতন ভোট দান কারিল। আর ভোটের ব্যাপারে এলা মাইনষি সজাগ হইছে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মতোই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও উৎসব মুখোর পরিবেশে আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক (আনারস)। তিনি ভোট পান ৪ হাজার ৭৭৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন জাপার লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী জোনাব আলী। তিনি ভোট পান ৩ হাজার ২৮৪টি।
সকাল ৮টা হতে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন ও সন্ধ্যায় ভোট গগনা শেষে উক্ত নির্বাচনের রির্টানীং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোয়ার হোসেন উপজেলা পরিষদের হল রুমে বেসরকারী ভাবে উক্ত ফলাফল ঘোষনা করে। দলীয় প্রতিকের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতায় ছিলেন মোট আটজন প্রার্থী।
রিটানীং কর্মকর্তা জানান, উক্ত ইউনিয়নের ‘নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি কেন্দ্রে ৫৩টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৮ জন। ভোটের হার শতকরা ৭৮ ভাগ।
তিনি জানান, চলতি বছরের ২২জুন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন মৃত্যুবরণ করায় পদটি শুন্য হয়েছিল। তফসিল ঘোষনার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক মরহুম চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে।
অপর পরজিত ৬ জন প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব সরকার (দুই পাতা)। তার ভোট সংখ্যা দুই হাজার ৮৬০টি। মোজাহার হোসেন (নৌকা) তার ভোট সংখ্যা দুই হাজার ৫৩টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকতারুল ইসলাম (চশমা)। তার ভোট সংখ্যা এক হাজার ৫৩৪টি। জিকরুল হক (ধানের শীষ)। তার ভোট সংখ্যা ৩২৮টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজলী বেগম(ঘোড়া) ভোট পান ৭১ এবং জুলফিকার আলী জুয়েল (মোটরসাইকেল) ভোট পায় ২০ টি।
এদিকে নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোজাহার হোসেন পরাজয়ের বিষয়ে জানা যায় সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার (দুই পাতা), ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে নৌকার ভোট ভাগ হয়ে যায়। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী হলে বিজয় আসতে পারতো। তাছাড়া ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন মরহুম চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে হওয়ায় ভোটারদের সহানুভুতি পেয়েছে।
অপরদিকে ভোট চলাকালিন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা হয়। ভোট প্রদানের পর অনুভুতি প্রকাশ করে দলিরাম গ্রামের প্রতিমা রাণী মাল্যবাদ (৪৮) বলেন, ‘শান্তিত ভোট দিনু বাহে।’ ইউনিয়নের শরিফাবাদ দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তিনি এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে ভোট প্রদান করে বেড়িয়ে আসেন।
এসময় তার অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন,‘ শান্তিত ভোট দিনু বাহে। আগোত ভোট দিবার আসি মেলা ভয় পাইছিনো। এলাতো আর ভয় লাগে না। মুই আসিয়া দেখেছ মেলা পুলিশ, আনসার বিডিআর (বিজিবি) আছে। কেন্দ্রত কোন হৈ হুল্লা নাই। মানষি আসি যার যার মতন ভোট দিয়া চলি গেইল।’
একই কেন্দ্রের ভোটার আব্দুল হাই (৩৫) বলেন, ‘আমি সকালে এসে ভোট প্রদান করেছি। কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।’
দলিরাম উত্তরপরড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শরিফুল ইসলাম (৫০) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ভোট প্রদান করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রের বাইরে। এসময় তিনি বলেন, ‘এইবার শান্তির ভোট হইল বাহে। ভোট শুরু থাকি এলাকাত কোন ঝামেলা নাই। মাইষি শান্তি মতন আসি ভোট দিবার পারিল।’
গণেশ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট প্রদান করে কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসেন ভোটার অন্নদা প্রসাদ রায় (৫৫)। তিনি বলেন,‘ভোট আসিলে এলাকাত হুর হাঙ্গামা আর আতঙ্ক থাকে, এইবার নাই। মাইনষি শান্তি মতন ভোট দিলেক।’
ভোটার আতারুল ইসলাম (৪৫) বলেন,‘এইবারের ভোটোত টাকা-পাইসার কোন কারবার নাই। মাইনষি নিজ ইচ্ছামতন ভোট দান কারিল। আর ভোটের ব্যাপারে এলা মাইনষি সজাগ হইছে।