নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপরে আলোচনা সভা
https://www.obolokon24.com/2017/12/14-december_14.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৪ ডিসেম্বর॥
নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহ¯পতিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিটি নিরাবতা পালন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি ঘিরে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরনে আলোচনা সভায় কোন শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ জোনাব আলী, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মোতালেব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবর রহমান, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, সমিলিত সংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, জেলা সিপিবি’র সাধারন স¤পাদক শ্রীদাম দাস, সাবেক অধ্যক্ষ গৌরঙ্গ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।আলোচনা সভায় সরকারী, বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তরা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ লগ্নে যখন বুঝতে পারলো পাকিস্তানীদের পরাজয় নিশ্চিত সে সময় যে মুহুর্তে বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্যই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে চুড়ান্ত বিজয় লাভের দুইদিন আগে (১৪ ডিসেম্বর) রাজাকারদের সহায়তায় পাকহানার বাহিনী বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের র্নিমমভাবে হত্যা করেছিল। সে সময় গোটা দেশে লেখন, বিজ্ঞানী, চিত্র শিল্পী, কন্ঠ শিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারী ও বেসরকারী কর্মচারী, চলচিত্র ও নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি, সমাজ সেবী ও সংস্কৃতি সেবী সহ এক হাজার ১১১ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। বর্তমান সরকারের সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ায় জাতি এখন অনেকটাই কলঙ্কমুক্ত। তবে এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব যুদ্ধাপরাধী রয়েছে তাদের দ্রুত বিচার স¤পন্ন করার দাবি জানানো হয়।