বালু উত্তোলনের মহাউৎসব
https://www.obolokon24.com/2017/11/thakurgaon_38.html
আব্দুল
আওয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি। প্রশাসনের চোখে ভেলকি লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার
টাংগন ও শুক নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, দেখার কেউ নেই?
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, মোহাম্মদপুর ও সালন্দর ইউনিয়নে টাংগন ও শুক
নদীতে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী ও খাল থেকে বালু উত্তোলনের
ফলে আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত ও বাড়িঘর ধসে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন
স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারগুন ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের
জলপাইতলা কালিতলা নামক ঘাটে, গিলাবাড়ী ও মাতৃগাঁও মোহাম্মদপুরের ঘাটে,
সালন্দর ইউনিয়নের মজাতিপাড়া ঘাটে ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার চালক ও শ্রমিক
দিয়ে কিছু অসাধু অবৈধ বালু ব্যবসায়ী প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ও
জনপ্রতিনিধিদের না তোয়াক্কা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী পারভেজের সাথে
নদীর ঘাটে সাক্ষাত হলে তাকে অনুমোদনের কথা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার
কাছে কিছুই নেই, আমি এভাবে শাহাআলমের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বালু ক্রয়
করে নিয়েছি। শাহাআলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের দেখে গা
ঢাকা দেন। নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পয়গাম আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে
তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, বালু উত্তোলনকারীরা কাউকে না বলেই
খেয়াল খুশি মতো বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান সোহাগ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে না
জানিয়ে নদীর বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখার পর
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সালন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
মহাবুবুল আলম মুকুল জানান, বালু উত্তোলন ব্যাপারে আমার মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অনেক অভিযোগ পেয়েছি, তাই আমি বালু উত্তোলনের ব্যাপারে প্রশাসনকে
অবহিত করেছি কিন্তু কোন কাজ হয় নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী
কর্মকর্তা অরুন কুমার সেন জানান, বালু উত্তোলন বিষয়ে আমার কাছে অনেকেই ফোন
করেছেন কিন্তু তার প্রতিকার করার আমার কাছে কিছুই নেই। বালু উত্তোলনের
ব্যাপারে সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল স্যারের সাথে কথা বললে তিনি
জানান, নদীর বালু উত্তোলনের কোন লীজ বা অনুমোদন দেওয়া হয় নি। অবৈধভাবে নদী
থেকে বালু তুললে শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। স্থানীয়
এলাকাবাসীরা জানান, নদী থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাই
অতি শীঘ্রই বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।