কিশোরগঞ্জে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পরিবারের

মোঃ শামীম হোসেন বাবুকিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজিব গ্রামে শাহনাজ আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে। সে চাঁদখানা ইউনিয়নের  উত্তর চাঁদখানা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নম্বর ৪। তারিখ ৩-৮-১৭।
সরেজমিনে গিয়ে মেয়েটির পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে শাহনাজ আক্তারের সাথে গত এক বছর আগে বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজিব গ্রামের মফিজার রহমানের ছেলে মিন্টু মিয়া (৩০) এর সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসার জিবন ভালই চলছিল। কিন্তু বাঁধ সাধে শাহনাজ আক্তারের শাশুরী কহিনুর বেগম, দেবর মিঠু মিয়া ও শশুর মফিজুল । তারা বিয়ের ছয় মাস পর যেীতুকের পাওনা টাকার দাবিতে মেয়েটিকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শাহনাজের শাশুরী ও দেবর ও শ্বশুর তারা সকলেই মেয়েটিকে গালিগালাজ করতে থাকে। মেয়েটি তাদের গালিগালাজ সইতে না পেরে ওই দিন রাতেই নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আতœহত্যা করে।
মেয়েটির বাবা শহিদুল ইসলাম জানায়, আমার মেয়ের  বিয়ের সময় আমি আমার জামাইকে নগদ দুই লক্ষ টাকা যেীতুক বাবদ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত ছয় মাস আগে মেয়ে বাড়ির লোকজন যেীতুকের দাবিতে আবারো আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করে। বিশেষ করে আমার মেয়ের ননদ  শ্যামলি বেগম পুলিশে চাকুরি করায় সে প্রায়ই আমার মেয়ে ও আমাকে হুমকি দিত। ঘটনার দিন তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করলে সে গোপনে আমাকে ফোন করে জানায় বাবাঁ তুমি আমাকে রক্ষা কর। আমি আর তাদের নির্যাতন  সইতে পারছিনা। মেয়েটির বাবা আরও জানায় মেয়ের ফোন পাওয়ার তিন চার ঘন্টা পর আমার বেয়াই আমাকে ফোনে বলে আপনার মেয়ে খুবই অসুস্থ তাড়াতাড়ি আমার বাড়িতে আসেন । এসে দেখি আমার মেয়ে আর নেই।
শাহনাজের স্বামী, শশুর ,দেবর পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে  শাহনাজের ননদ ( পুলিশ কনষ্টেবল) শ্যামলির সাথে কথা বলতে চাইলে মোবাইল ফোনে তার স্বামী পুলিশের এ এস আই সারোয়ার হোসেন জানান, আমার স্ত্রী তার কর্মস্থলে আছেন।  শাহনাজের মৃত্যুর খবর শুনে সে খুব ভেঙ্গে পড়েছে। তাছাড়া আমরা শুধু তার বিয়ের সময় একবারই বাড়িতে গিয়েছিলাম।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোট আসলে প্রকৃত কারন জানা যাবে। বর্তমানে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6722292951678064262

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item