জলঢাকায় স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য চাষীদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
https://www.obolokon24.com/2017/08/jaldhaka_97.html
মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ
টানা কয়েক দিনের ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নীলফামারীর জলঢাকা কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল এলাকার ফেমাস গ্রীন কমপ্লেক্স লিমিটেডসহ উপজেলার সবকটি মৎস্য খামার ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। ফলে মৎস্য চাষীদের যে স্বপ্ন, তা চলে গেছে পানির শ্রোতে। এতে করে উপজেলার ১ হাজার ১৩ টি মৎস্য খামার/পুকুরের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে মৎস্য চাষিরা । অকাল বন্যার পানিতে মাছ বের হয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ওই খামারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের তত্বাবধানে এবং আইসিবি ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় ১৬ একর জমির উপর ফেমাস গ্রীণ কমপ্লেক্স লিমিটেড নামের মৎস্য খামারটি গড়ে উঠে। গত কয়েক দিনের টানা ভারী বষর্ণে বন্যার পানিতে তা তলিয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বের হয়ে গেছে বলে জানান ওই খামারের পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুর রহমান।
এদিকে বালাগ্রাম ইউনিয়নের ভাই ভাই মৎস্য খামারের পরিচালক মিনহাজুল ইসলাম মিজু বলেন, ধার দেনা করে আমার দুটি খামারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম হঠাৎ আকস্মিক বন্যায় সব মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলাটিতে ৭ হাজার ৫ শত ৩০টি পুকুর /খামারের মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার টির। অফিস জরিপে ক্ষতির পরিমাণ. ১ কোটি ১ লক্ষ ৫০ টাকা ধরা হলেও পুকুর /খামার মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ক্ষতির পরিমান সবমিলিয়ে ৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে সাদেক মৎস্য খামারের পরিচালক সাদেকুল সিদ্দিকী বলেন, আমার ২টি খাামার/পুকুর থেকে প্রতি বছর পুরো জেলায় মাছ ও পোনা সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যা এবার আমার সবকিছুই কেড়ে নিয়ে গেছে ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিনারা হাফিজা ফেরদৌস বলেন, টানা ভারীবর্ষণ ও তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ ঘটনার শিকার হতে হয়েছে খামারীদের। তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি তবে আমাদের অফিস হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।