বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুন্নুর ইন্তেকাল
https://www.obolokon24.com/2017/08/death.html
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে মানিকগঞ্জে নিজের স্থাপিত মুন্নু সিটির মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী হুরুন নাহার, দুই মেয়ে ফিরোজা খান ও আফরোজা খান রিতা। বড় মেয়ের জামাই দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছে।
মুন্নুর মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংস সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ জানান, মুন্নুর ছোট মেয়ে দলের জেলা সভাপতি আফরোজা খান রিতা লন্ডনে ছেলে বিয়ে উপলক্ষে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার সকালে বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই সপিরবার দেশের পথে রওনা দিয়েছেন। তিনি আসার পরই মৃত্যু পরবর্তী সব কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মুন্নুর মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পরার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।
এর আগে মুন্নুর শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসারর পর দেশে আসেন তিনি।
মুন্নুর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক কর্মজীবন:
১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মানিকগঞ্জ-২ (শিবালয়-হরিরামপুর) আসনে নির্বাচন করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালেও তিনি ওই আসন থেকে আবারো জয়লাভ করেন।
২০০১ সালে এই আসনের পাশাপাশি মানিকগঞ্জ-৩ (সদর- সাটুরিয়া) আসনেও জিতেন মুন্নু।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মুন্নুকে মন্ত্রী করা হলেও সে সময় তাকে কোনো দফতর দেয়া হয়নি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন মুন্নু। বিএনপির সর্বশেষ কমিটিতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হন তিনি।