প্রস্তুত শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম; অস্ট্রেলিয়া আসবে তো?
https://www.obolokon24.com/2017/07/sports_9.html
ডেস্ক-
চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছে 'হোম অব ক্রিকেট' খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছি। টার্গেট ছিল অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট খেলতে আসার আগেই সব কাজ শেষ করতে হবে। অবশেষে সেই আগের রূপ ফিরে পেয়েছে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এসবই কর্মকর্তাদের তদারকি আর শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রমের ফল। তবে শঙ্কা এখন একটাই; এত কাঠখড় পুড়িয়ে সিরিজ আয়োজনের পর শেষ পর্যন্ত তা মাঠে গড়াবে তো? ক্রিকেট মাঠে যে সবুঝ ঘাস দেখে আমাদের মন ভরে যায়, সেটাকে খেলার উপযোগী করে তোলাটা কিন্তু মোটেও সহজ কাজ নয়। মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় ৮ ইঞ্চি পুরু সিলেটি বালুর ওপর লাগানো হয়েছে ঘাস। গত মে মাসেই ঘাস লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সবুজায়নের প্রক্রিয়া। প্রতিদিনই চলছে ঘাসের পরিচর্যা। সংস্কারের পর স্টেডিয়ামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। যতই বৃষ্টি হোক না কেন, এখন মাত্র আধধণ্টার মধ্যেই মাঠ খেলার উপযোগী হয়ে যাবে!
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পুরো মাঠের ৮ ইঞ্চি নিচে জুড়ে আছে পারপোরেটেড পাইপ। ছিদ্রকায় এই পাইপ 'জিওটেক্স' নামক মশারির মতো একপ্রকার কাপড় দিয়ে আবৃত। এই জিওটেক্সের চারদিকে আবার ছোট ছোট পাথর দিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে জিওটেক্স সরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনে ব্যঘাত না ঘটায়। এছাড়া স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড আগের চেয়ে আরও দ্রুত হয়েছে।
এদিকে যে সিরিজের জন্য এত পরিশ্রম করে স্টেডিয়াম সংস্কার করা, সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজই অনিশ্চিত হয়ে গেছে! অজি ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দেনা-পাওনা সংক্রান্ত বিবাদের কারণে সব সিরিজ বয়কট করার হুমকি দিয়েছে স্মিথ-ওয়ার্নাররা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া 'এ' দল। গত ৩০ জুনের মধ্যে চুক্তিতে সই না করায় চাকরি গেছে ২ শতাধিক ক্রিকেটারের। শেষ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে কিনা তা নির্ভর করছে ক্রিকেটার এবং অজি ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সমঝোতার ওপর।