মেয়র ঝন্টুর অনুরোধে রসিক কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
https://www.obolokon24.com/2017/07/rasik.html
এস.কে.মামুন
রংপুর মহানগর বাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর (প্রতিমন্ত্রী) অনুরোধের প্রেক্ষিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ রোববার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচী ও ভবিষ্যত আন্দোলনের রুপরেখা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীঐক্য পরিষদের এক সভা সিটি কর্পোরেশন হল রুমে সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব এমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা চলমান কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া ও ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচীর দাবিতে বক্তব্য রাখেন। সভার এক পর্যায়ে রংপুর সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সরফুদ্দিন আহমেদ (প্রতিমন্ত্রী) উপস্থিত হন। মেয়র মহোদয় উপস্থিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বক্তব্যে জানান আমার উপর যে ন্যাককারজনক হামলা হয়েছে তার বিচার ও চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। পাশাপাশি আপনাদের কর্মবিরতির কারনে নগরবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং দুর দুরান্ত থেকে আগত সেবা প্রার্থীরা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন যাহা আমার কাম্য নয়। আমি চাই আমার কারনে যেন নগরবাসী কোন প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় বা ভোগান্তির শিকার না হয়। এ লক্ষ্যে মেয়র মহোদয় কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার অনুরোধজানান। মেয়র মহোদয়ের অনুরোধে কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব এমদাদ হোসেন কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করার ঘোষনা করেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা তুহিন বকসীর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার হোসেন আজাদ, প্রোগ্রামার এ কে এম আহসান ফরিদ, উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নিক্সন, লাইসেন্স কর্মকর্তা রাফিউর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর মোঃ মাইউদ্দিন, প্রমুখ।
সভায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে মেয়র মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন প্যানেল মেয়র-১ মোঃ আবুল কাশেম। সভাথেকে অবিলম্বে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের উপর হামলার চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য রংপুরের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর মহানগর অচল করে দেয়া হবে।
উল্লখ্য যে, কর্মবিরতি চলাকালিন নগরবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে জরুরী সেবা যেমন -পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও কঞ্জারভেন্সি শাখার কার্যক্রম যথারীতিচলমান ছিল।