পীরগঞ্জে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আজও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি
https://www.obolokon24.com/2017/07/rangpur_17.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধি::
রংপুরের পীরগঞ্জে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি হায় হায় কোম্পানী রাতারাতি ৬৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার নামে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হবার পর দু মাস অতিবাহিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ সে সময় বলেছিলেন বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে টানা দু সপ্তাহ তদন্ত শেষে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ রিপোর্ট প্রদান করেন।
একাধিক সূত্র জানায় উপজেলা সদর ও আশপাশের কতিপয় যুবকের সমন্বয়ে গঠিত একটি চক্র আকর্ষনীয় বেতনের ফাঁদে ফেলে গত ফেব্রুয়ারী ও এপ্রিল মাসে ওই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বপ্ন ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী সংস্থা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদানের কথা বলে পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে রাতারাতি ৬৮টি অস্তিত্বহীন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলে। কোন খানে একচালা কোথাও বারান্দা আবার কোনটিতে তাও নেই শুধুমাত্র সাইন বোর্ড সর্বষ¦ বিদ্যালয়ে। শিক্ষিত চাকুরী প্রত্যাশী বেকারযুবক যুবতিদের ভালো বেতনের আশ্বাস দিয়ে ওই সক স্কুলে শিক্ষক ও কর্মচারী হিসেবে নিয়োগের নামে কাগজপত্রের সাথে মোটা অংকের নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১ জন প্রধান শিক্ষক, ৪ জন সহকারী শিক্ষক ও ১ জন পিয়নসহ ৬ জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় ওই চক্রটি। প্রধান শিক্ষককে ১০ হাজার, সহকারী শিক্ষকদের ৮ হাজার এবং পিয়নকে ৬ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে বেতন প্রতানের আশ্বাস দিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে সূত্রগলো দাবি করেছে। স্থানীয় একটি চিহ্নিত চক্র ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং টাকা উত্তোলন সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে প্রতারিত অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে। সুত্র মতে, এক সময়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির কর্মী হিসেবে পরিচিত পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চককরিম গ্রামের মনোয়ার হোসেন স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের রংপুর জেলার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব থেকে এ প্রতারনার ঘটনা ঘটান। মনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, “স্বপ্ন ফাউন্ডেশনটি নেদারল্যান্ডের ফান্ডে চলবে।
ফাউন্ডেশনটির নির্বাহী পরিচালকের বাড়ী ঢাকায়, তিনিউ বেদন প্রদান করবেন”। তিনি আরও জানান, “রংপুর জেলায় সর্বমোট ১’শ ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকুরী আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।
যে কারনে আমরা সহায় সম্বল বিক্রি করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের স্কুল টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছি। আশা ছিল, চাকরীটা হলে পরিবারের মুখে দ’মুঠো অন্ন জুটবে। উপজেলা সদরের বেকারী ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে একই স্কুল পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য ৩৩ লাখ টাকার দেয়া চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভার:) হিসেবে সেই সময় দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম বলেন, দায়িত্ব পাবার পর আমরা তদন্ত করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট দিয়েছি। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ গত এপ্রিল মাসে বলেছিলেন তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অচিরেই এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তার এ বক্তব্যের পর দু মাস অতিবাহিত হলেও আজো কোনো মামলা হয়নি। বরং উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে গত এপ্রিল মাসে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তরা সবগুলো সাইনবোর্ড রাতারাতি খুলে ফেলে ভাড়া নেয়া অফিস বন্ধ করে নিজেরা গা ঢাকা দেয়ার পর থেকেই প্রতারিত চাকুরী প্রত্যাশীরা তাদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
রংপুরের পীরগঞ্জে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি হায় হায় কোম্পানী রাতারাতি ৬৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার নামে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হবার পর দু মাস অতিবাহিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ সে সময় বলেছিলেন বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে টানা দু সপ্তাহ তদন্ত শেষে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ রিপোর্ট প্রদান করেন।
একাধিক সূত্র জানায় উপজেলা সদর ও আশপাশের কতিপয় যুবকের সমন্বয়ে গঠিত একটি চক্র আকর্ষনীয় বেতনের ফাঁদে ফেলে গত ফেব্রুয়ারী ও এপ্রিল মাসে ওই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বপ্ন ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী সংস্থা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদানের কথা বলে পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে রাতারাতি ৬৮টি অস্তিত্বহীন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলে। কোন খানে একচালা কোথাও বারান্দা আবার কোনটিতে তাও নেই শুধুমাত্র সাইন বোর্ড সর্বষ¦ বিদ্যালয়ে। শিক্ষিত চাকুরী প্রত্যাশী বেকারযুবক যুবতিদের ভালো বেতনের আশ্বাস দিয়ে ওই সক স্কুলে শিক্ষক ও কর্মচারী হিসেবে নিয়োগের নামে কাগজপত্রের সাথে মোটা অংকের নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১ জন প্রধান শিক্ষক, ৪ জন সহকারী শিক্ষক ও ১ জন পিয়নসহ ৬ জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় ওই চক্রটি। প্রধান শিক্ষককে ১০ হাজার, সহকারী শিক্ষকদের ৮ হাজার এবং পিয়নকে ৬ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে বেতন প্রতানের আশ্বাস দিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে সূত্রগলো দাবি করেছে। স্থানীয় একটি চিহ্নিত চক্র ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং টাকা উত্তোলন সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে প্রতারিত অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে। সুত্র মতে, এক সময়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির কর্মী হিসেবে পরিচিত পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চককরিম গ্রামের মনোয়ার হোসেন স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের রংপুর জেলার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব থেকে এ প্রতারনার ঘটনা ঘটান। মনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, “স্বপ্ন ফাউন্ডেশনটি নেদারল্যান্ডের ফান্ডে চলবে।
ফাউন্ডেশনটির নির্বাহী পরিচালকের বাড়ী ঢাকায়, তিনিউ বেদন প্রদান করবেন”। তিনি আরও জানান, “রংপুর জেলায় সর্বমোট ১’শ ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকুরী আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।
যে কারনে আমরা সহায় সম্বল বিক্রি করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের স্কুল টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছি। আশা ছিল, চাকরীটা হলে পরিবারের মুখে দ’মুঠো অন্ন জুটবে। উপজেলা সদরের বেকারী ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে একই স্কুল পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য ৩৩ লাখ টাকার দেয়া চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভার:) হিসেবে সেই সময় দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম বলেন, দায়িত্ব পাবার পর আমরা তদন্ত করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট দিয়েছি। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ গত এপ্রিল মাসে বলেছিলেন তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অচিরেই এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তার এ বক্তব্যের পর দু মাস অতিবাহিত হলেও আজো কোনো মামলা হয়নি। বরং উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে গত এপ্রিল মাসে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তরা সবগুলো সাইনবোর্ড রাতারাতি খুলে ফেলে ভাড়া নেয়া অফিস বন্ধ করে নিজেরা গা ঢাকা দেয়ার পর থেকেই প্রতারিত চাকুরী প্রত্যাশীরা তাদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে।