নীলাহাটি ব্রিজ আপাতত ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে
https://www.obolokon24.com/2017/07/nilahati.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১১ জুলাই॥
আপাতত ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচলের উপযোগী হচ্ছে নীলাহাটি সেতু। তবে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা শেষে নীলাহাটি সেতুটির উপর বেইলি ব্রিজ করার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চলতি মাসের আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত মেরামত কাজ চলমান থাকায় ওই পথ ব্যবহার না করতে প্রচারণাও চালিয়েছে দফতরটি।নীলফামারী-ডোমার সড়কের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের নীলাহাটি নামক স্থানে অবস্থিত অর্ধশত বছরের পুরোনো আরসিসি ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে অনেক আগেই। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ করা হয়। সেতুটির দুইদিকের রেলিং না থাকা এবং পাটাতন ফুটো হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছিল ভারী যানবাহনগুলোকে।
সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো সেতুটি। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছিল যানবাহনগুলো। অতিদ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন সেখানে।
এদিকে মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে ডোমার-ডিমলা যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। ব্রিজের নীলফামারী অংশ পর্যন্ত একদিকের যানবাহন এবং ডোমার অংশে ওইদিকের যানবাহন চলাচল করছে। তবে বিপাকে পড়েছেন দুর দূরান্ত থেকে আসা ভারী যানবাহনগুলো। যারা জানেন না ব্রিজ মেরামত কাজের খবর।
দেবীগঞ্জগামী ট্রাক চালক আব্দুল হালিম বলেন, কয়েক টন মালামাল রয়েছে আমার গাড়িতে। কিন্তু আমি জানি না, এখানে মেরামত কাজ হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক দুর ঘুরে যেতে হবে।
নীলফামারী থেকে ডিমলা যাতায়াতকারী চালক রমজান আলী বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে আমরা ব্রিজ পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছি এবং বলেও দিচ্ছি মেরামত কাজের কথা। তারা ওপাড়ে অন্য পরিবহন ব্যবহার করে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
সড়ক বিভাগ সূত্র মতে, ৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বেইলি ব্রিজ স্থাপন কাজ শেষ হবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। ২০ জুলাই ভোর ৫টা থেকে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল শুরু হবে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, নীলফামারী-ডোমার সড়কের হরতকিতলায় থাকা বেইলি ব্রিজটি উঠিয়ে নিয়ে নীলাহাটিতে বসানো হচ্ছে। দ্রুত কাজ চলছে। সময়ের আগেই হয়তো চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে। কাজ শুরু হওয়ার আগে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যাতে ওই পথে যাতায়াতকারীরা অন্য রুট দিয়ে চলাচল করতে পারেন।
সাময়িক দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান জানান, আপাতত আমরা সড়ক বিভাগের আয়োজনে বেইলি ব্রিজটি স্থাপন করছি। কারণ আগের ব্রিজটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছিল।
তিনি আরো জানান, সেখানে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। তবে আপাতত বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হবে সকলকে।