আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অধ্যক্ষ নিয়োগ সহকারী অধ্যাপকের পদ না ছেড়েই অধ্যক্ষ পদে যোগদান

হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম, প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সেই ‘পারিবারিক কমিটির’ নেওয়াশী কলেজের মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন ডিজির প্রতিনিধি। শুধু তাই নয়। নিজের দায়িত্ব নিজেই বুঝে নিয়েছে পূর্বের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে অব্যাহতি না নিয়ে যোগদান করেছেন অধ্যক্ষ পদে। অনিয়ম
জানা গেছে, নেওয়াশী মহাবিদ্যালয়ে শুন্যপদে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় গত ২৩ এপ্রিল। ৭ মে’র মধ্যে এ পদের আবেদন করেন দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার মাষ্টার পাড়ার রফিউজ্জামান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির আসাদুজ্জামান সরকার এবং কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিক্ষখ প্রতিনিধি আব্দুল্ল্যা মিয়া। আবেদনকারী শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ মিয়াকে কলেজ পরিচালনা কমিটি গোপনে নিয়োগের যোগসাজস করলে বাকী দুই আবেদনকারী আসাদুজ্জামান সরকার ও রফিউজ্জামান সরকার ১৪মে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং জেলা যুগ্ম জয় ২য় আদালতে দুজন বাদী হয়ে অধ্যক্ষ, সভাপতি, তিন সদস্য, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ডিজির প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজের উপাক্ষধ্য আবব্দুল মান্নানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে দু’বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। তার জবাব না দিলে ৮ জুন জেলা যুগ্ম জজ আদালত কুড়িগ্রামের যুগ্ম জজ মো. জাহিদুল হক নিয়োগে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরও কোর্টের আদেশ অমান্য করে ১১ জুন ডিজির প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম সরকারী মহিলা কলেঝের উপাক্ষধ্য আব্দুল মান্নান লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে আব্দুল্লাহ মিয়াকে নিয়োগ দেন।  
মামলা এবং অভিযোগ এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, কলেজটির অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য পারিবারিক কমিটি করা হয়। আবেদনকারী আব্দুল্ল্যা মিয়া পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য। সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা আব্দুল্লাহ মিয়ার শ্বশুর। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় তার ভগ্নিপতি আলমগীর সরকারকে। আর এক সদস্য আব্দুল জলিল মোল্লা তিনি আব্দুল্লাহর দাদা শ্বশুর। চাচা শফিকুল ইসলাম মোল্লার বয়স বাড়িয়ে সদস্য করা হয়। আব্দুল্লাহ মিয়াকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে কমিটি বারবার রদবদল করা হয়। নিয়ম না মেনে সিনিয়র বাদ দিয়ে তার ভগ্নিপতি জুনিয়র শিক্ষখ আলমগীর হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। অধ্যক্ষসহ পরিচালনা কমিটি সকল সদস্য একই পরিবারের। নিয়োগের উদ্যেশ্যে ‘পারিবারিক’ কলেজ করা হয়। মামলার বাদী রফিউজ্জামান জানান, পূর্ব থেকে আব্দুল্লা মিয়াকে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করে দেখলাম ‘পারিবারিক কমিটি’। আসাদুজ্জামান সরকার জানান, দরখাস্ত করে প্রতারিত হয়েছে। ডিজির প্রতিনিধি বিজ্ঞ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন।
সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলবনা। বর্তমান অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। যোগাযোগ করা হলে আব্দুল্লাহ মিয়াও বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলবনা। পূর্বের সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে পদত্যাগ না করে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এটা কেন আপনাকে বলবো। পরে আসনে কথা হবে। 
পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল মোল্লা আবহাওয়া অফিসের এসও পদে কর্মরত। তিনি রাজার হাট উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। সরকারী চাকুরী করেও জামাতাকে অধ্যক্ষ করতে প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি হয়েছেন। তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজের উপাক্ষধ্য আবব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি স্থানীয়রা মেনে নিয়ে আমাকে ডেকেছে। আমি গিয়ে নিয়োগ দিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার পরও নিয়োগ কেন নিয়োগ দিলেন এ বিষয়ে তিনি বলেন চিঠি পরে পেয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 437974210894294721

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item