কিশোরগঞ্জে কাজী ফার্মের কম্পোস্ট প্লানে বয়লারের বিষ্ঠার র্দূগন্ধে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে গ্রামের মানুষজন
https://www.obolokon24.com/2017/07/kisargang_69.html
মোঃ শামীম হোসেন (বাবু)কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
একটি পোল্ট্রি ফার্মের ব্রয়লার মুরগীর বিষ্ঠার (মল)র্দূগন্ধে অতিষ্ট হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ি বালাপাড়া ও সুরঙ্গের বাজার গ্রামের শতশত মানুষজন। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিষ্ঠার কারনে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। পরিবেশ দূষন হওয়ায় বিশেষ করে শিশুরা পাতলা পায়খানা, বমি ও মাথা ব্যাথাসহ নানান রোগে ভুগছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া ও দক্ষিন সিঙ্গেরগাড়ী সুরঙ্গের বাজার কাজী ফার্মের একটি মুরগি খামারে বিগত দেড় বছর থেকে ডিম উৎপাদন করা হচ্ছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমান বিষ্ঠা বের করা হয়। এসব বিষ্ঠা ফার্মের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় রাতের আঁধারে খোলা জায়গায় যত্রতত্র ফেলে রাখছে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষ্ঠা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখার ফলে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে এর র্দুগন্ধ। বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বিষ্ঠার গন্ধে ইতোমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন অনেক নারী-পুরুষ-শিশু।দক্ষিন সিঙ্গেরগাড়ি বালাপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ছামিদা বেগম বলেন, বিষ্ঠার গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। এতে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বমি করতে করতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বালাপাড়া এলাকার মজিদুল ইসলাম জানান, বিষ্ঠার গন্ধে এলাকার বাতাস দুষিত হয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। খেতে বসলে র্দুগন্ধে খাবার গলা দিয়ে নামে না। বেড়েছে মশা-মাছির উৎপাত। মাছি বিস্তার ঘটাচ্ছে জীবানুর। জীবানু ও দূষিত বাতাসে অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
ওই এলাকার পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ীর ফার্ম এলাকা থেকে প্রতিদিন চার/পাঁচজন করে শিশু পাতলা পায়খানা, বমি ও মাথা ব্যাথার চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে। বিষ্টা র্দুগন্ধে ওই এলাকার খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাশে মনোনিবেশ করতে পারছে না। পূর্ব দিক থেকে যখন বাতাস পশ্চিমের দিকে ধাবিত হয় ঠিক তখন আর ক্লাশের শিক্ষার্থীরা ক্লাশে থাকতে পারেনা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আবু নছর মোঃ রূহুল ইসলাম বলেন আমি সরেজমিনে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা থেকে ময়লা সরিয়ে রাখার জন্য ফার্ম কর্তৃপক্ষে অনুরোধ করেছি।
এ ব্যাপারে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার মুরগীর বিষ্ঠা খোলা জায়গায় ফেলতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমার কথা তারা কানে নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
মুরগি ফার্মের ক¤েপাষ্ট শাখার ইনচার্জ মঞ্জুর আলম বলেন, প্রতিদিন যে পরিমান বিষ্ঠা বের হয় তা দিয়ে ক¤েপাষ্ট সার তৈরী করে বাজার জাত করা হচ্ছে। তবে খোলা জায়গায় বিষ্ঠা ফেলানোর কারনে এলাকায় কিছুটা গন্ধ হচ্ছে। তবে র্দুগন্ধ নিরসনে প্রতি সপ্তাহে ফার্মের লোক দিয়ে ¯েপ্র করা হয়। মাছির উৎপাত কমাতে প্রতিটি বাড়ীতে মাছি মাড়ার ঔষধ দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিভিন্ন বয়রারের ফার্ম থেকে প্রতিদিন ৪৫ টন মুরগীর বিষ্ঠা বের হয়। আমাদের কম্পোস প্লানে ৪০ টন রেখে বাকী ৫ টন এলাকার কলম আলী নামে এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। কলম আলী ওই ৫ টন বিষ্ঠা বাইরে ফেলে রাখায় এ অবস্থা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু নছর মোঃ রহুল আমিন ও এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা পাবলিক হেলথ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর তালুকদারকে সেখানে পাঠিয়েছি। সে রির্পোট করলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।