ডোমারে অসুস্থ্য মহিষের মাংস বেঁচতে গিয়ে ধরা খেলেন কাউন্সিলর
https://www.obolokon24.com/2017/06/domar.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডোমারে গতকাল বুধবার গভীর রাতে অসুস্থ্য মহিষের মাংস বিক্রির প্রস্তুতিকালে ধরা খেলেন পৌর কাউন্সিলর। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, গতকাল বুধবার গভীর রাতে ডোমার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ছাগলটারী এলাকায় সাইদার রহমান (মিষ্ট্রি)বাড়ীর পিছনে আগেই জবাই করা মহিষ এনে চামড়া ছাড়ানো হচ্ছিল ।এ সময় গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অসাধু চক্র ।এ সময় ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মাংস বিক্রেতা সামিউল ইসলাম (৪০) ঘটনাস্তলে উপস্থিত হলে ডোমার থানার উপ- পরিদর্শক নজরুল ইসলাম তাকে নিয়ে অনুসন্ধানে নামলে তার বাড়ী সংলগ্ন সাইদার রহমান মিস্ত্রির বাড়ীর পিছন থেকে একটি জবাই করা মহিষ ৭/৮ টি কুকুর টানাটানি করছে এ অবস্থায় দেখতে পায় ।কাউন্সিলর সামিউল ইসলামের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেন তিনি । পরে পৌর প্যানেল মেয়র এনায়েত হোসেন নয়ন ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতে উদ্ধারকরা জবাইকৃত মহিষ ডোমার সরকারী কলেজ সংলগ্ন শালকী ব্রীজের নিচে মাটি চাপা দেওয়া হয় ।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান,মহিষ উদ্ধারের সময় কাউন্সিরর সামিউলের আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন । স্থানীয় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিয়ে জবাইকরা মহিষ নদীর ধারে মাটি চাপা দেওয়া হয় ।
এ ব্যাপারে ডোমার পৌরসভার প্যানেল মেয়র এনায়েত হোসেন নয়ন জানান,এ ধরনের জঘন্যকাজে কাউন্সিররদের জড়িত থাকা লজ্জাজনক । আমরা তাকে প্রথমবারের মত সতর্ক করে দিয়েছি ।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর সামিউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে ।