ডিমলায় নববধুকে ধর্ষনের চেস্টা
https://www.obolokon24.com/2017/06/dimla_2.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২ জুন॥
এক নববধুকে ধর্ষনের চেস্টাকালে এলাকাবাসীর হাতে আটক সহির উদ্দিনকে (৩৫) ছিনিয়ে নিতে ওই নববধুর পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে চারজনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহে সহির উদ্দিনের পক্ষে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে উল্টো নববধু সহ তার স্বামীর পরিবারের বিরদ্ধে ডিমলা থানায় মামলা করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় ঘটনার নায়ক সহির আলী ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি।
আজ শুক্রবার (২ জুন) উক্ত নববধু সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ মে সকালে আমি বাড়ীতে একাই ছিলাম। এ সময় তার স্বামী ও শ্বশুড়, শাশুড়ি ফসলের মাঠে কাজ করছিল। এ সময় গ্রামের সহির উদ্দিন আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।
আমার চিৎকারে আমার স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ী লোকজন ছুটে এসে সহির উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় সহির উদ্দিনের পরিবারের লোকজন ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি ৯ নম্বর ওয়াড়ের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য নুরল হক, সাবেক ইউপি সদস্য পুত্র গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতে তাদের উপর হামলা চালায়। লাঠি সোটা নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালালে আমি, আমার স্বামী জহুরুল ইসলাম (২২), শ্বশুড় মাজন মিয়া (৫০) ও শাশুড়ি সুখজান বেগম (৪০) সহ তারা ৪জন আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা আহত অবস্থায় ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উক্ত নববধু অভিযোগ করে জানায়, এ ঘটনায় ডিমলা থানায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দিলে পুলিশ তা গ্রহন না করে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিলে হাসপাতাল হতে তিনি ছাড়পত্র নিয়ে পহেলা জুন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে সহির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি নববধুকে ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হওয়ার কারনে একটি মহল তাকে রাস্তায় আটক করে টাকা পয়সা ছিতনাই করে মারপিট করেছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে ৩১ মে ডিমলা থানায় মামলা করেছি।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।