চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ

ডেস্কঃ
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের সব প্রস্তুতি এখন শেষ।  আনুষ্ঠানিক ঘোষণার শেষ মুহূর্তে এসে বক্তৃতার কপিতে চোখ বুলিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।  বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “এবারের বাজেট হলো ‘চাপাচাপি’র বাজেট”।  গতকাল মঙ্গলবার রাতেই বাজেটের কপি বই আকারে ছাপার জন্য সরকারি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট এবং চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঘোষিত হতে যাওয়া বাজেটের শিরোনাম দেয়া হচ্ছে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রস্তাব করা হচ্ছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। উল্লেখ্য যে, এইবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। মূলত জাতীয় নির্বাচন সমানে রেখে বড় বাজেট দিতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এ বাজেট হবে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে চতুর্থ বাজেট। এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ বাজেট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে টানা ৯ম  ও সর্বমোট ১১ বার বাজেট ঘোষণা করবেন।  উল্লেখ্য যে, এর আগে, এরশাদের আমলে দুটি বাজেট দিয়েছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কর্মজীবনের শুরুতে ঘোষিত ৯৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বর্তমানে তিনি ৪ লাখ কোটি টাকার অঙ্কে নিয়ে এসেছেন। আগামি বাজেটে তা পাঁচ লাখ ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। এডিপিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য একনেক মোট ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে জোগান দেয়া হবে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এটি মূল এডিপি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এডিপির আকার এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা হবে।

আর এনবিআর সূত্রে জানা গেছে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নির্ধারণ করা হচ্ছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। যা আগের বাজেটে ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।  বাজেটে ঘাটতি ধরা হতে পারে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০ কোটি টাকা; যা জিডিপির প্রায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।  চলতি বাজেটে যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।  ঘাটতি মেটাতে নেয়া অর্থের জন্য বছর শেষে সুদ বাবদ খরচ হতে পারে ৪২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।

বিশাল এ বাজেটে ঘাটতিও এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে যা জিডিপির প্রায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।  চলতি বাজেটে যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।  ঘাটতি মেটাতে নেয়া অর্থের জন্য বছর শেষে সুদ বাবদ খরচ হতে পারে ৪২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।

এর আগে, গত ১ মে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে পরিবহন খাতে ৪১ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ খাতে ১৮ হাজার ৮৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১৬ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রত্যাশা পূরণের চেষ্টাই থাকবে এ বাজেটে; প্রস্তাব থাকছে সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের পরিধি আরো বাড়ানোর । আর এ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দেরও প্রস্তাব থাকছে বলে জানা গেছে।

এবারের বাজেটে সামাজিক উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, বিনিয়োগ বাড়িয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দিকেও বেশি নজর দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া ব্যাংকে স্থায়ী আমানতে ওপর আবগারি শুল্ক প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার খবরটিও এখন আলোচনায়। ব্যাংকের সুদের হার কমে যাওয়ার পর নতুন করে আবগারি শুল্ক আরোপের খবরে উদ্বেগের মধ্যে আছেন ব্যাংকে আমানতকারীরা।

বর্তমানে সঙ্কুচিত ভিত্তিমূল্যে কিংবা ট্যারিফ মূল্যের ভিত্তিতে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট দেয়া বেশকিছু পণ্য ও সেবাকে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে যাচ্ছে সরকার। আর মাত্র অল্প কয়েক ঘণ্টা বাদেই ঘোষিত হতে যাওয়া বাজেটের সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ‘নতুন ভ্যাট আইন’ বাস্তবায়ন করা। ২০১২ সালে তৈরি করা এ আইন বাস্তবায়ন হবে আজ পহেলা জুলাই থেকে। ব্যবসায়ী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপরীতমুখী অবস্থান রয়েছে এ ইস্যুতে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছেন।

বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত খাতের সঙ্গে শেষ সময়ে এসে কৃষি, খাদ্য, শিক্ষাসহ আরও দুই শতাধিক পণ্য ও সেবা ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষত যেসব খাতের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এমন বেশকিছু খাত ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায় আসতে যাচ্ছে।

করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে। যা এখন আড়াই লাখ টাকা আছে। নতুন মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থাকছে। তবে ভ্যাটমুক্ত টার্নওভারের সীমা বাড়ানো হচ্ছে।  ১২৭টি পণ্য ও সেবা খাতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হতে পারে।  চাল, ডাল, ডিম, ফল, তরল দুধ, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, মাংস, মুড়ি, চিঁড়া, আলুসহ কয়েক শ’নিত্যপণ্য ক্রয়ে কোন ভ্যাট থাকছে না।

অন্যদিকে, ১৭০টি পণ্য বাদে বাকি এক হাজার ৩৪৯টি আমদানিকৃত পণ্যের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনমনে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা কাটছে না। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্বের ১৬০টি দেশে ভ্যাট কার্যকর আছে। এর মধ্যে হাতে গোণা কয়টি দেশ বাদে সব দেশেই ভিন্ন ভিন্ন হারে ভ্যাট ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কার্যত ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এটি সম্ভব নয়। ফলে একধরনের সংকট তৈরি হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ হচ্ছে। ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর দেড়শ টাকার স্থলে দুইশ টাকা দিতে হবে। তবে এক লাখ টাকার ওপর থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর বিদ্যমান পাঁচশ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা গুণতে হবে। ১০ লাখ টাকার ওপরে ও এক কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর দেড় হাজার টাকার স্থলে তিন হাজার টাকা, এক কোটির ওপরে ও পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর সাড়ে সাত হাজার টাকার স্থলে ১৫ হাজার টাকা, পাঁচ কোটি টাকার ওপরে যেকোনো পরিমাণ অর্থের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকার স্থলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।

এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে বিদ্যুৎ খাতে। আর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে মানবসম্পদ উন্নয়নে। প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।  বাড়ানো হতে পারে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, অসচ্ছ্বল প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বেদে, দরিদ্র মা ও কর্মজীবী মায়ের মাসিক ভাতার পরিমাণ।

মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের রূপরেখাও থাকছে প্রস্তাবিত বাজেটে।সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেতন বাড়ানো হতে পারে ৫ গুণ। কমতে পারে জমির রেজিস্ট্রেশন ফি।

এছাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানো হতে পারে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে দুটি উৎসব ভাতা দেয়ার ঘোষণাও আসতে পারে। থাকছে বিনিয়োগবান্ধব নানা উদ্যোগ। উন্মুক্ত করা হতে পারে কালো টাকার বিনিয়োগ। উঠিয়ে নেয়া হতে পারে জমির কেনা-বেচায় সরকার নির্ধারিত মূল্য। দক্ষতা উন্নয়নে ৯৫ হাজার কোটি টাকার বদলে এবার ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা করা হতে পারে। নতুন বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হচ্ছে ২৩ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।

সূত্রমতে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পৌনে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে। বর্তমানে সোয়া দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ থাকলে মোট আয়করের ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়। এ ছাড়া তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের উৎসে কর ০.৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে।

খাদ্য খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে বরাদ্দ হচ্ছে ১৫শ’ কোটি টাকা।  প্রণোদনা বাবদ কৃষি খাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ ৯ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিতে ৪ হাজার কোটি টাকা ও পাটজাত দ্রব্যে ৫শ’কোটি টাকা।  এ ছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অনুকূলে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারের ন্যায় এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। উপস্থাপনার মধ্যে থাকবে-বাজেট বক্তৃতা; বাজেটের সংক্ষিপ্তসার; বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি; সম্পূরক আর্থিক বিবৃতি; মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি; বিকশিত শিশু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ; ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা : হালচিত্র ২০১৭; জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা; জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন; সংযুক্ত তহবিল-প্রাপ্তি; বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৭; মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবীসমূহ (অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন); বিস্তারিত বাজেট (উন্নয়ন); মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সংক্ষিপ্তসার।

এগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ জাতীয় সংসদ হতে সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রণীত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী-২০১৬-১৭ জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে।

বাজেটকে আরো অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট - থেকে সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। দেশ বা বিদেশ থেকে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।

ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি ওয়েবসাইট লিংকwww.bangladesh.gov.bd, nbr.gov.bd/, www.plancomm.gov.bd, www.imed.gov.bd, www.pressinform.gov.bd, www.pmo.gov.bd ঠিকানায় বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বাজেট বক্তৃতা শেষ হবে।  আগামীকাল ২ জুন শুক্রবার বিকেল ৩টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  আগামি ২৯ জুন সংসদে বাজেট পাস হবে।

সবমিলিয়ে আগামী বাজেটে সরকার একদিকে যেমন জনতুষ্টির চেষ্টা করছে, অন্যদিকে ‘নতুন ভ্যাট আইন’ নিয়ে ব্যবসায়ী ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মধুর একটি সম্পর্ক তৈরির রূপরেখা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। যা চলমান উন্নয়ন আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। যেহেতু সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ‘নির্বাচনী বৈতরণী পারের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের এবারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব হবে’- এমনটি মনে করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1301718293213754098

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item